সদ্য জন্ম নেওয়া ভাগ্নিকে দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দিনাজপুর টু রংপুর ভ্রমণ || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
ডিভাইস: মোবাইল
ইমেজ সোর্স:image source
অনেকদিন থেকেই খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয় না। কারণ এখন পড়াশোনা কাজ সব মিলিয়ে বেশ একটা ব্যস্ত সময় পার করি।তো গত পরশুদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে মামা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করি।আমার নিজের বোনের একটি ফুটফুটে মেয়ে বাচ্চা হয়েছে।খবর টা শুনার পর থেকে বেশ খুশি খুশিই লাগছিল কারন মামা বলে কথা।আমার অবশ্য সেদিনই যাওয়ার কথা ছিল কিন্ত একটা কাজে আটকে যাওয়ার কারণে সেদিন আর যাওয়া হয় উঠে নি।আম্মু ও ফোন দিতে বললো সবাই মেডিকেল এ আছে আসতে চাইলে এসে দেখে যাও।আমিও আর লোভ সামলাতে পারলাম না।আম্মুকে বললাম কালকে সকলের ট্রেন এ রংপুর যাবো আর ওখানে দেখা হবে।কারণ আপুকে ওখানেই একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করানো হইছে।
ডিভাইস: মোবাইল
ইমেজ সোর্স:image source
এরপর সকালে অ্যালার্ম দিয়ে রখালাম কারণ সকাল 6 টায় একটা ট্রেন আছে যেত সরাসরি রংপুর নিয়ে যাবে।কিন্তু আমি রাতে ঘুমিয়েছি 4 টার দিকে।আর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নয়টা বেজে গেছে।যাইহোক 11টার দিকেও একটা ট্রেন ছিলো ওটাও সরাসরি রংপুর যায় কিন্তু ওটা লোকাল।তারপরেও এক প্রকার বাধ্য হয়ে গেলাম কারণ বাসে আমি চড়তে পারি না।যাইহোক বেশ সাচ্ছন্দেই গেছি কিন্তু।আমি অবশ্য আগের দিনেই আর এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে রেখেছিলাম আমি যাবো।তাই ট্রেন এ করে তাকেও ব্যাপারটি জানিয়ে রাখলাম।
ডিভাইস: মোবাইল
ইমেজ সোর্স:image source
রংপুর স্টেশনে গিয়ে প্রথমে হৃত্বিক অর্থাৎ আমার বন্ধুকে ফোন দেই।সে আবার স্টেশনে এসে আগে থেকেই বসে আছে আমাকে নেওয়ার জন্য।কারণ আমি রংপুরে খুব একটা বেশি পথঘাট চিনি নাতো এই জন্যে ওকে আগেই বলে রেখেছি।অবসর একটু হালকা করে ঘুরাঘুরি করার ও পরিকল্পনা ছিল এজন্যই আরকি।
ডিভাইস: মোবাইল
ইমেজ সোর্স:image source
অনেকদিন পর রংপুরে এসে বেশ ভালই লাগছে পরিবেশটা। আর আগের থেকে রংপুর বেশ উন্নত শহর এখন এবং পরিপাটি ও বটে।আর শাপলা চত্বরের সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম অটো তে থেকেই কিছু ছবি তুলার চেষ্টা করেছিলাম।
ডিভাইস: মোবাইল
ইমেজ সোর্স:image source
অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে দুজনই বেশ খোশ গল্পে জমাচ্ছিলাম।আর যে পরিমাণে গরম পড়েছে মুখ চোখ ঘেমে একাকার অবস্থা আর গলাও অনেকটা শুকিয়ে গেছে তাই ওকে বললাম চল কিছু ঠান্ডা খাই। ও অবশ্য বেশ ভালো একটা হোটেল এই নিয়ে গেলো এবং দুইটা দই অর্ডার করলাম।তবে দই গুলা ঠান্ডা কম ছিল খেয়ে মজা পাই নাই।আর সেখান থেকে যাওয়ার সময় মামা হওয়ার খুশিতে সবার। জন্য মিষ্টি আর রসমালাই কিনে নিয়ে গেছিলাম।যখন কিছুটা হলেও টাকা উপার্জন করছি তাহলে আর কৃপণতা কিসের😁।যাইহোক এরপর সেই মেডিকেলে গিয়ে পৌঁছালাম।দেখি ওখানে সবাই আছে আমার আম্মু,ভাইয়া প্রায় সবাই।আর আপু বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে আল্লাহর রহমতে।তারপর বাবুকে কোলে দিলো আমার যদিও এত ছোটবাবু কখনো কোলে নেই নি।একটু নিয়ে আবার আম্মুর কোলে তুলে দিছি।তবে বাবুর ছবি দিয়ে পারছি না কারণ সবার নিষেধ আছে।
আপনার ভাগ্নির কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে নতুন কেউ আমাদের মাঝে যখন আসে তখন খুবই আনন্দ লাগে। এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে হলেও দেখতে চলে আসি। তেমনি আপনার এত দূর থেকে যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই আপনারও অনেক আনন্দ লাগছে মামা হতে পেরে। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহূর্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম আমারও অনেক ভালো লেগেছে তাইতো দেরি না করে সাথে সাথেই চলে এসেছি।আর ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ভাগ্নির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। তার ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করি। যাওয়ার পথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বিশেষ করে বন্ধুর সাথে আলাপ চারিতা মুহূর্তগুলো খুবই দুর্দান্ত ছিল। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বোনের নতুন সদস্যের জন্য প্রথমে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই। এই পৃথিবীতে এসে সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। আপনার নুতন অতিথি মানে আপনার ভাগ্নিকে দেখতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এ সময়টা আসলে অনেক আনন্দের একটি সময় যা কখনো ভোলার নয়। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একদম এই আনন্দ অনেক যেটা প্রকাশ করার মত না।তবে আপনার চমতকার মন্তব্য দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, আপনি আমার পার্শ্ববর্তী বিভাগ রংপুরে এসেছেন এটা জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আমার বাড়ি থেকে রংপুর মাত্র ৫০কিলোমিটার। তাই বলছি, ভাগ্নিকে দেখার পরে আমার নিজ জেলাঃ কুড়িগ্রাম সদর এসে বেরিয়ে যাবেন। আপনার বোনের মেয়ে হয়েছে জানতে পেরে ভীষণ খুশি হলাম। আপনি যেহেতু প্রথমবার মামা হয়েছেন তার অনুভূতি অবশ্যই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আমিও যখন প্রথমবার মামা হয়েছিলাম সেই অনুভূতির কথা আজও আমার মনে আছে। যাইহোক ভাইয়া, দিনাজপুর থেকে রংপুর এ আসার আনন্দঘন মুহুর্তের সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার কিউট,কিউট সো কিউট ভাগ্নির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার পার্শ্ববর্তী জেলা আর আমার নিজ জেলা😁।তবে পড়াশুনার জন্য দিনাজপুরে থাকি।আমার বাসা থেকে প্রায় 30 কিলো এর মত।আর ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।তবে কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই যাবো।
নিজের বোনের মেয়েকে দেখতে গেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো৷ কিছু দিন পর মামা বলে ডাকবে। আর যাওয়ার পথে যে শাপলা চত্তরের ফটোগ্রাফি করেছেন তা সত্যি অনেক সুন্দর ছিলো। আপনার ভাগ্নীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আমার পক্ষ্য থেকে। আশা করি পরবর্তীতে ছবি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।তবে ভাগ্নি বড় হোক তখন না হয় দেখব একদিন আপনাদের।
খুবই খুশির একটি সংবাদ দিলেন ভাই।নিজের বোনের বাচ্চা হওয়ার মুহূর্ত টি যে কতটা আনন্দদায়ক সেটা বলে বুঝানো দায়।তাও আবার মেয়ে সন্তান।শুভকামনা রইলো।
একদম ভাই,সত্যিই অনেক আনন্দের ছিলো বিষয়টি।আর আপনার চমৎকার একটি মন্তব্য আনন্দ টাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।ধন্যবাদ ভাই।
নতুন মেহমানের জন্য শুকুরিয়া।আল্লাহ নবজাতককে ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিক।সেই সাথে নতুন শিশুকে দেখতে যাওয়ার যে দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
ভালবাসার প্রিয় মানুষগুলো ভালো থাকুক।
জি ভাই দোয়া করবেন,আল্লাহ যেনো তাকে সুস্থ রাখে।এবং যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অবশ্যই ভাই।আগন্তুকের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া অবিরত।
আপু বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।যদিও আমরা আপনার ভাগ্নির মুখ দেখতে পারিনি তবুও বাচ্চারা খুবই সুন্দর, পবিত্র ও মিষ্টি দেখতে হয়।অনেক ভালোবাসা ও আদর রইলো আপনার ছোট্ট ভাগ্নির জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে।