এ এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা 😅

আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।}}

শেষ দুই সপ্তাহ থেকে বেশ ব্যাস্ত সময় পার করছি।পোস্ট করার ইচ্ছে থাকা সত্বেও হয়ে উঠছে না। অ্যাসাইনমেন্ট,প্রজেক্ট,প্রেজেন্টেশন,ভাইবা,লিখিত পরীক্ষা ব্লা ব্লা এইসব নিয়ে মোটামুটি একটা দৌড়ের উপরে আছি।আর এই জন্য ইচ্ছে থাকা সত্বেও পোস্ট করা হয়ে উঠছে না।যাইহোক আর মাত্র দুইদিন তারপর একটু রিল্যাক্স হওয়া যাবে আশা করি।আর এদিকে গল্প জমতে জমতে অনেক গল্প জমে গেছে আশা করি সব গল্পই শেয়ার করা হবে আপনাদের সাথে।আর এই কয়দিন নিয়মিত না থাকার কারণে সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

যাইহোক দেখতে দেখতেই আজকে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর শেষ লগ্নে এসে ঠেকেছি।এই ট্রেনিং রত অবস্থায় অনেক কিছুই শিখেছি আবার অনেককিছুই এখনো অজানা রয়ে গেছে,তবে যতটুক শিখেছি সেটাও মন্দ নয়।আর শেখার তো কোনো শেষ নেই, তাই উদ্ধৃত কন্ঠে বলতে চাই না সব শিখেছি।তো আজকে আমাদের প্রেজেন্টেশন ছিল।আমাদের প্রেজেন্টেশন ছিল অনেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতার মত যেটা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা ছিল।সামনা সামনি দুই গ্রুপ থাকবে এবং প্রত্যেক গ্রুপ একে একে তাদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করবে এর মাঝে ওপর পক্ষের কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা জিজ্ঞেস করবে।আর এই পদ্ধতিতে বেশ ভালই হয়েছে একসাথে দুইটা জিনিস সম্পর্কে জানা যাবে যদি না জানা থেকে।

আজকে আমাদের প্রেজেন্টেশন এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “ট্রান্সমিশন সিস্টেম ওফ অটোমোবাইল”।তো একে একে আমার গ্রুপের সবাই মিলে পুরো বিষয়টা সুন্দর করে উপস্থাপন করে।তবে আমাদের উপস্থাপনার প্রথমজন ছিলাম আমি।যদিও এর আগে স্কুল,কলেজ এর অনেক প্রেজেন্টেশন লিড করেছি আমি কিন্তু এইরকম অভিজ্ঞতা খুব কম ছিল।এর আগে যতগুলো ছিল সব পরিচিত মানুষ,পরিচিত স্যার তাই ওই ভয়টা ছিল না।কিন্তু আজকে যারা ছিল সবাই মোটামুটি অপরিচিত আর নতুন একটা পরিবেশ এইজন্য একটু ভয়ে ছিলাম।কিন্তু সবার সামনে যখন গেলাম তখন সব সংশয় ভুলে গেলাম,তখন মনে হচ্ছিল আমই সব জানি,আর সামনে যারা আছে তারা আমার থেকে কম জানে আর এই ব্যাপারটাই আমাকে সাহস যোগালো তারপর আরকি, পুরো ব্যাপারটা সুন্দর সাবলীলভাবে উপস্থাপন করে দিলাম।

এরপর আমাদের অপনেন্ট ও খুব ভালো পাররম্যান্স করেছে।প্রেজেন্টেশন শেষে স্যার আবার একটু বিনোদন এর ব্যাবস্থা করলো।আর জানেন তো আমি খুব গান গাই, সৎ সাহস নিয়ে দাড়ায় গেলাম সবার সামনে গাইলাম একটা গান।আর আমার গান শুনে সবাই বেশ প্রশংসা করেছে,আর ব্যাপারটা আমারও ভালই লেগেছে।এরপর গান গাওয়া শেষে আরো একজন গান হইলো ওর গানটাও ভালই হয়েছে।এরপর স্যার নিজে থেকে অনুরোধ করলো একটা গান গাওয়ার কিন্তু আমি এবারে একটা আবৃত্তি করলাম।আমার আবৃত্তি শুনে মোটামুটি সবাই অবাক। স্যার তো শেষমেষ বলেই ফেললো বাহ বেশ সুপ্ত প্রতিভা আপনার।

তারপর সবাই গ্রুপ ভাগ হয়ে ছবি তুললাম স্যারদের সাথে একটু আড্ডা দিলাম আর জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে আসলাম।😅