আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।}}

---

অনেকদিন থেকে কোনো ফটোগ্রাফি পোস্ট করা হয় না।তাই ভাবলাম আজকে কিছু ফটোগ্রাফি পোস্ট করা যাক।গ্রামে এসেছি সেই ঈদ এর আগে অথচ সময় এই পাচ্ছি না ফটোগ্রাফি করার।গ্রামে চাইলে কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায়।বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করার বিষয়বস্তু আছে।তার মধ্য থেকে আমি কিছু রেন্ডম বিষয়কে কেন্দ্র করে আজকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি।আপনারা হয়তো জানেন বর্তমানে কৃষকের সোনালী ধান ঘরে তুলার সময় চলছে।এবং সেই দৃশ্য গুলোরও কিছু অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

---

#01

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

প্রথম ছবিটি হচ্ছে দুপুর এর দিকে।তখন আকাশ বেশ পরিষ্কার আর ভালই রোদ দেখে ধান আর খেড় মাঠে শুকাতে দিয়েছিল।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একটু পরেই আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে সাথে দমকা হাওয়ায়।তাই বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে আবার ধান গুলো বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য জড়িয়ে নিচ্ছে।আসলে এই ধানের মৌসুমে এরকমটাই হয়।এই আকাশ ভালো তো এই মেঘাচ্ছন্ন।

---

#02

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

এটা হচ্ছে ঝিঙ্গা ফুল।গ্রামের দিকে এটার ডাক নাম হলো তরাই🤭।গ্রামে আবাদি জমির সাইডে হালকা ভাবে লাগানো হয় এমনিতে বাড়িতে খাওয়ার জন্য।কিন্তু কেউ একজনকে দেখলাম উনি ওনার পুরো জমি জুড়ে শুধু ঝিঙ্গার আবাদ লাগিয়েছে ।

---

#03

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

এটি হচ্ছে সেই ঝিঙ্গা ওরফে তরাই🤪।খেতে কিন্তু বেশ ভালই,আপনি এইটার ভর্তা ও খেতে পারেন আবার তরকারি খেতে পারেন।পুরো জমি জুড়ে দেখলাম বেশ ভালই ঝিঙ্গা ধরেছে।আর সবগুলোই বেশ পুষ্ট ফল।দেখে বোঝাই যাচ্ছে জমি ওয়ালা ভালই পরিচর্যা করছে।

---

#04

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

এই ধানের মৌসুমে সাধারণত দুই ধরনের ধান রোপণ করে কৃষকরা।একটা কে বলে ২৮ ধান আরেকটি ১৬।২৮ ধান সবার আগে পাকে এবং এই ধান বাড়ির চাল করার জন্য লগান হয়।আর অপরটি বিক্রি করার জন্য।তো এটি হচ্ছে সেই ২৮ ধান যদিও আমি চিনি না।তবে একটু পাক ধরেছে বলে আন্দাজ করে নিয়েছি এটি ২৮ ধান।দেখে মনে হচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে ধান কাটা যাবে।

---

#06

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

গ্রামে এসেছি তবে একদিনও বৃষ্টির স্পর্শ পায়নি।সেদিন আবার বৃষ্টি অপার দেখা পেয়েছি কিন্তু স্পর্শ নিতে পারি,সন্ধার দিকে এসেছিল বলে😍।তবে দারুন একটা মুহূর্ত ছিল।আর বৃষ্টির পর চারদিকটা এত সতেজ হয় আর খুব সুন্দর একটা হিমেল হওয়া বয় মনটা একদম জুড়িয়ে যায়।তবে গ্রামে থাকলে এই ফিলটা বেশি পাবেন কথা দিচ্ছি।

---

#07

---

_{^{ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:}}

---

সারাদিনের প্রখর রোদ দেওয়ার পর আকাশও যখন ক্লান্ত হয়।আসলে কিছুদিন থেকে এত রোদ এর তাপ, রোদ এর তাপ দেখে বাইরে বের হতেই ভয় লাগে।কিন্তু একটা ব্যাপার আবার অবাক লাগে দুপুরে যে রোদ আর গরম লাগে সেই হিসেবে বিকেল হতেই পরিবেশটা ধাম করে ঠান্ডা হতে শুরু করে। তো বিকেলে রাস্তায় একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম সেই মুহূর্তে এই ছবি ক্যাপচার করা।

_{যাইহোক অনেক গুলও ছবিই তো শেয়ার করলাম।আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো ভালই লেগেছে আপনাদের।তবে এটা বলতে পারি ফটোগ্রাফি এর ক্যাপশন গুলো বেশি জোস লাগবে আপনাদের🤪।এবং সবার উৎসাহ পেলে এরকম গ্রামীণ পরিবেশের আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হব।আর বেশি কথা না বাড়াই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।}

---

---

আল্লাহ্ হাফেজ🌿