মানুষ হোক মানুষের জন্য 🙏 || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
দুচোখ ভরা অনেক স্বপ্ন ছিল।কেউ কেউ হয়তো ভাবছিল সারাদিনের ঘাম ঝরানো ক্লান্তি শেষে।যে দুপয়সা আয় হয়েছে তা দিয়ে কিছু চাল ডাল কিনে নিয়ে গিয়ে বউ বাচ্চার সাথে শান্তিতে খাবে।কেউ আবার সারাদিনের ক্লান্ত শরীর নিয়ে একটু বিছানায় গা এলান দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।কিন্তু কেই বা জানত এটাই তাদের শেষ ঘুম।আবার হয়তো কোনো ফায়ার ফাইটার তাদের প্রিয়জনকে কথা দিয়েছিল সামনে মাসে ছুটি পেলেই বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে দেখা করবে।কিন্তু সেই সুযোগ আর হলো কোথায়।অগ্নি রাক্ষসের মত এক লহোমায় গ্রাস করে নিল সেই স্বপ্ন দেখা নিরীহদের,তার আগুনের লেলিহান শিখায় খসে গেল তাদের স্বপ্ন দেখা সেই চোখ দুটো।তাহলে কি এটাই হওয়ার ছিল তাদের সাথে?নাকি সেই স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলোর আরো কয়েকটা দিন বেঁচে থাকার কথা ছিল।
যারা এই সাধারন মানুষদের বাঁচাতে এসেছিল আজ তারাই জলে পুড়ে ভর্ষ হয়ে গেলো।একটা ছেলে লাইভ করে মানুষকে দেখাচ্ছিল মুহূর্তেই এক ধামাকাতে তার শরীরটা উড়ে গেল কয়েকশো ফুট দূরে।লাইভ টা তখনও চলছিল।কিন্তু কাউকে আর দেখা যাচ্ছিল না,কেবল মোবাইল এর মাইক্রোফোনে ভেসে আসছিলো বেচে থাকতে চাওয়ার সেই করুন আর্তনাদ।কিন্তু কে বাঁচাবে তাকে, তার মত যে সবাই উড়ে গিয়েছে সেই এক বিস্ফোরণে।আমি সেই লাইভ এর কিছু অংশবিশেষ শুনেছিলাম,বিশ্বাস করুন পুরোটা শেষ করতে পারি নি।ভিডিওটা যখন দেখছিলাম মনে হচ্ছে আমি মনে হয় মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখছি।তারা এখনো আমার সামনে আর্তনাদ করছে অথচ আমি কিছুই করতে পারতেছি না। যে মানুষগুলো এসেছিল সবাইকে বাঁচাবে বলে তারাই নিমিষে মিলিয়ে গেল সেই বিস্ফোরণে।চোখের সামনে যেনো পুরো দৃশ্যপট একপলকে পাল্টে গেলো।চারদিকে তখন শুধু লাশের গন্ধ আর হাহাকার।কেউ কেউ প্রিয়জনের খোঁজে ব্যাস্ত।একজন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এসে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার স্বামীর লাশ। কি জবাব নিয়ে ফিরবে সে ঘরে?তার অনাগত সন্তানকে কি সান্তনা দিয়ে বলতে পারবে এই যে তোমার বাবার কবর?এক সন্তান মৃত্যুর ঠিক পূর্বমুহূর্তে তার বাবাকে ফোন করে বাঁচার জন্য আকুল আবেদন করছে।আপনি কি একবারও বুঝতে পারছেন কতটা হৃদয় বিদাড়ক এই মুহূর্ত।অতঃপর সেই বাবাও সন্তান হারানোর ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে স্বেচ্ছায় (হার্টঅ্যাটাক) প্রাণটা ত্যাগ করলেন। আজকের এই পরিস্থতির জন্য কে নিবে এই দায়ভার।এটা কি শুধুই একটা দুর্ঘটনা।নাকি নিরাপত্তার আর অনিয়মের ফলে ঝরে গেল এই প্রাণগুলো?কি জবাব দিবেন যাদের লাশগুলোও এখনো খুঁজে পায় নি পরিজনরা? অথচ সেই ডিপোর মালিকেই নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এখনো। কর্তিপক্ষ তো অন্তত একবারের জন্য ও বলে নি এখানে রাসায়নিক দার্জ পদার্থ আছে,এমনকি ফায়াসার্ভিসের লোকদেরও না।হয়তো বললে সেখানকার লোক গুলোকে অন্তত নিরাপদে সরানো যেত।হয়তো হতাহতের সংখ্যাটা আরেকটু কম হতো। কি বা বলবো এইসব নিয়ে,চলতেই থাক এমন পরিস্থিতি আর একের পর এক দুর্ঘটনায় বলি হোক আমাদের মত কিছু সাধারণ মানুষ।আর এই দেখে মহাজনরা তেলের দাম বাড়িয়ে আরো কিছু টাকা পয়সা কামিয়ে নিক।আজকের এই পরিস্থতিতে আমার প্রিয় কিছু গানের লিরিক্স মনে পড়ছে, শেয়ার করছি আপনাদের সাথে....
আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি
কথায় ইচ্ছায় আর সাধনায় আর কারখানায়
আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি
হয়তো এই লাইনগুলোর সাথে কিছুটা হলেও বর্তমান পরিস্থিতি মেলাতে পারছেন।যেখানে শ্রমিকের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম গড়ে উঠে অর্থনীতি।সেখানে তাদের নিরাপত্তায় উপেক্ষিত,আর তাদেরকেই মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিয়ে তামাশা দেখে মহাজনরা।হয়তো এই জন্যে কবি এই লাইনগুলো লিখেছেন।
পাথর ঘষে ঘষে যে আগুন যেলেছিলে
তারই শিখায় পুড়ছো তুমি নিজেই
আর মানুষ সেই জালানি
যা পুড়লে গতি পায় মানব সভ্যতা
হয়তো কবি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন।মানুষ একদিন নিজের সৃষ্টি আগুনে নিজেই পুড়বে।আর শেষের লাইন দুইটা তো চরম বাস্তব।মানুষ মরছে,মানুষ পুড়ছে আবার সবাই বলে মানুষ তো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।মানুষের লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে বোধয় উন্নয় হয়!
বড়লোক এর
অবৈধ লোভে হয় পাপ।
সেই পাপে,বেচে থাকতে
গরীবের মৃত্যু।
আমার প্রিয় একজন গায়ক আজকে সকালে এই মন্তব্যটি করেছেন।অনেক্ষন ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলাম।তারপর বুঝলাম তিনি খারাপ কিছুই বলেন নাই।এইতো ডিপোর মালিক তার অতিরিক্ত লোভেই তো ঝরে গেল আজকে গেলো এত গুলও প্রাণ কই তার তো কিছুই হয় নাই।হয়তো হবেও না,তাকে জবাদিহিতাও করতে হবে না।মাম খালুর হয় ধরে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবে সে হয়তো।এরপর সবাই ভুলে যাবে এই ঘটনা।তারপর লাশের গন্ধ বিবর হয়ে সবাই আবারও মেতে উঠবে এই মৃত্যু উৎপাদন কারখানায়।
তবে যাইহোক এতকিছুর পরেও কালকের কিছু ঘটনা ভিতরটাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে।একবার ভাবুন যে দেশে এক বোতল পানি কিনতে লাগে 15 টাকা।সেই দেশে এক ব্যাগ রক্ত পাওয়ায় যায় ফ্রীতে।মানুষ যে মানুষের জন্য সেটার প্রমাণ কাল চট্টগ্রাম বাসি আর একবার দিয়েছে।কালকের এমন পরিস্থিতির পর যে যেখানে ছিল যেভাবে পেরেছে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।কেউ রক্ত দিয়েছে,কেউ পানি নিয়ে এসেছে,কেউ খাবার নিয়ে এসেছে কেউ সাধ্যমত ওষুধ নিয়ে এসেছে।সবাই কাল জাত-পাত ধর্ম ভুলে মানুষের সাহায্যের জন্য রাস্তায় নেমেছে আর এটাই তো চাওয়া।কাল ছিল না কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ,ছিল না কোনো রাজনৈতিক ভেদাভেদ এমনকি দুইদিন আগেও আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল ভক্তের মধ্যে যে বিভেদ ছিল সেগুলো ভুলে সবাই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।আমি শুনেছি কাল রাস্তায় কোনো যানবাহন কোনো ভাড়া নেয় নি,কোনো ফার্মেসি ওষুধ এর জন্য কোনো টাকা নেয় নি।এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে।আমরা সবাই মানুষ আমরা আমাদের নায্য অধিকার নিয়ে কাধে কাধ রেখে চলি এটাই আমার চাওয়া।
আমাদের সমাজে দায়ভার নেওয়ার প্রবণতা একেবারেই দেখা যায় না। তার উপর সহযোগিতার কথা শুধু মুখের বুলি ।যা বাস্তবে কখনো দেখা যায় না। তার পরেও থেমে নাই জীবন। চলছে তার মতো করেই। সুন্দর করে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক ধরেছেন,তবে ভালো কাজের ক্রেডিট নিতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে।তবে সহযোগিতার কথা বললে এখনো অনেক মানবিক মানুষ আছে যারা মানুষের জন্য কাজ করে।
তাতো ভালো-মন্দ থাকতেই হবে, তবে ভালোর পরিমাণ অনেক কম।
ভাইয়া আপনার পোষ্টের কি লিখবো সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে আমি নিজে দেখেছি নিজেও ভালো উপলব্ধি করতে পেরেছি। আসলে আমাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফলে আজ পয়সাওয়ালা রাজত্ব করে। তবে ছোট-বড় আছে বলেই পৃথিবী। কিন্তু সবচেয়ে বড় কষ্ট লাগে এই জায়গায় যখন আমরা কাজ করতে গিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হই, যখন আমাদের সেপ্টি কিংবা মেডিকেল খরচ থাকেনা এবং পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার মতো লোক থাকেনা কষ্টটা তখন অনেক বেড়ে যায়। জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কাজ তো করতেই হবে। আর সেটা হোক আগুনের হোক পানির আপনি অসাধারণ লিখেছেন, আপনার পোষ্ট পড়েই আমার চোখে অশ্রু চলে এসেছিলো। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে তুলে দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি ভালোবাসা অবিরাম।
হ্যা এই ব্যাপার টা আমার ও খারাপ লাগে।মাঝে মধ্যে মনে হয় ওরা আমাদের মানুষই মনে করে না।যেখানে কাজের প্রথম শর্তই হলো "সেফটি ফার্স্ট দেন ওয়ার্ক"অথচ এটাই তরানে না।তাদের কাজে শুধু কাজ দরকার।
মূল সমস্যা হচ্ছে কেউ বলবে না এ দূর্ঘটনার জন্য আমরা দায়ী। বাংলাদেশে তা কখনো হতে দেখিনি কিন্তু ঝড়তে দেখেছি অজস্র প্রান। এখানে যে ক্যামিক্যালের জন্য আগুন লাগছে এগুলো অত্যন্ত মারাত্মক। এরজন্য আলাদা ডিপো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত ছিল, কিন্তু কিছুই করেনি তারা। এ আগুন থামবে না, যতক্ষন না ক্যামিক্যাল শেষ হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ দিতেই হয় কারন তারা মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
সবাই জানে সবাই বুঝে কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ ফুটে বলতে পারে না। চারদিকে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন, উন্নয়নের তাপে জ্বলছে বাংলাদেশ।এইতো আজকেও দুইটা অগ্নি কান্ড।এর উত্তর একটাই সব অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা। কিন্তু এত কিছুর পরেও কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। এসব গরীব মরলেই তো মোড়লদের লাভ।
এই দৃশ্যগুলো যতবার দেখি ততবারই খুবই খারাপ লাগে। আর আমার সত্যি বলতে খুব ভয় লাগে। তবে আপনি একটা ঠিক কথা বলেছেন ভাই এই যে বিপদ এটা কিন্তু আমরা নিজেরাই ডেকে আনি। আর এই বিপদে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা আসলে কেউ নেবে না। আর যার জন্য এটা হয়েছে তার হয়তো সঠিক বিচার হবেনা। কিন্তু এর দ্বারা অনেক সাধারন জনগন কত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা মনে পড়লেই আসলে খুবই খারাপ লাগে। আমাদের উচিত একজনার বিপদে এগিয়ে যাওয়া
নেওয়ার আগেই তো সে লাপাত্তা🙂।
তার যদি বিচার হয় ও তবে সেটা লোক দেখানো এর বেশি কিছু হবে না।আর এই ব্যাপার গুলও আমারও খুব খারাপ লাগে ভাই।
ভিডিওটি আমিও দেখেছি খুব মর্মান্তিক একটি লাইভ ছিলো। সবগুলো এপিসোড দেখেছি অনেকেই অনেক ভাবে কার্ট অংশ দিয়েছে। তবে এই লাইভটি আমি দেখেছি অনেক খারাপ লাগল শেষ পর্যায়ে।
https://www.facebook.com/100035942350807/posts/720489745825764/
😭😭😭😭😭😭😭🖕
এদের জন্য যেমন মায়া লাগতেছে আবার মনে হচ্ছে ঠিক আছে।মানুষ এখন এতটাই উৎসুক হয়ে গেছে জে যে কোনো কিছু হইলেই আগে সাহায্য করা বাদ দিয়ে ছবি আর লাইভ করতে যায়।কি একটা অবস্থা
মানুষ মানুষের জন্য, কিছু মানুষ এখন পর্যন্ত এই বিশ্বাসটা ধরে রেখেছে বলেই সমাজে এখনও টিকে আছে। যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিল এতগুলো মানুষের জীবন হয়তো এর কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না বা হলেও আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবে রাঘব বোয়ালেরা। উচিত ছিল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যাতে পরবর্তীতে সবাই যেন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা অবলম্বন করে। সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ দুর্ঘটনা আসলেই আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা আল্লাহ যেন সেখানে মৃত্যুবরণকারী সকলকে শহীদের মর্যাদা দান করেন।
সেই নিমতলা ট্রাজেটি তো আমাদের ভাবিয়ে দিয়ে গেছে।আমরা কি এত তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেলাম।সেটার যখন কোনো শাস্তি হয় নি এটির ও হবে না।তবে যাইহোক সকল সহিদকে আল্লাহ কবুল করুক,আমিন।
কবি একদম যথার্থ লিখেছিল ভাই। দেখবেন বড় বড় লোকেরা দুর্নীতি করে আর সেটার প্রভাব পড়ে সাধারণ জনগণের উপর। ফ্যাক্টরির মালিক বলেছিল ফায়ার সার্ভিসকে এখানে শুধু এক্সপোর্ট কিছু মাল আছে কিন্তু সেখানে ক্যামিকেল এর কন্টিনও ছিল। যার ফলে পানি দেয়াতে এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে। মানুষে বিবেক জাগ্রত হোক এই আশায় করি। আল্লাহ তায়ালা সহায় হোন 🙏
হুমম ভাই।যদি আগে থেকেই এই কথা টা বলতো হয়তো এতগুলো প্রাণ এভাবে নাও যেতে পারতো ।সব অবহেলা আর অনিয়মের ফল
আসলে আপনার পোস্ট পড়ে কোথা থেকে কি শুরু করবো এমন কি কি লিখবো সেটাই বুঝতে পারছি না। সবকিছুই যেন ধোঁয়াশার মত। বিশেষ করে চট্টগ্রামের এই ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক একটা বিষয়। হয়তোবা এই বিষয়টা নিয়ে আরো বেশি সিকিউরিটি কিংবা সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু এরপরেও এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও সবাই যে যার মতো এগিয়ে আসছে। এই জন্যই হয়তো বলে মানুষ মানুষের জন্য।
এরকম মানুষ গুলও পৃথিবীতে আছে বলেই পৃথিবীটা বোধয় আজকে এত সুন্দর।তবে সেই বিষাক্ত মানুষ গুলো যে কোন সুন্দর হবে সেটাই দেখার পালা।
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য মানুষ যখন বিপদে পড়ে অন্য মানুষের সহযোগিতায় তখন কাম্য ।যেটা তার প্রতি হিংসা কে দূর করে দেয় বিপদগ্রস্ত মানুষকে সবসময় সাহায্য করা উচিত। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য আমি খুবই ব্যথিত যেটা কখনোই কেউ আশা করে না। যেখানে অনেক মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। যাইহোক, অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
ভাইয়া আগুনের খবরটা শুনার পর থেকে মনটা অনেক খারাপ। কিভাবে ঘটলোএমন ঘটনা। কাকে দুষ দিবো ভাগ্যকে না কি নিজেদের কে। জানিনা কি হচ্ছে প্রতিদিন শুধু আগুন লাগার খবর পড়তেছি।