বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
কালকে রাত বারোটা সবাই মোটামুটি ঘুমায় গেছে আশেপাশের বাসার।কিন্তু আমাদের মাঝে কেউ ঘুমায় নি তখনো।কারণটা হচ্ছে রাত বারোটার পরেই কনক এর জন্মদিন আর তার এই বিশেষ দিন আমরা ভুলে যাই কি করে।যদিও ফেসবুক মারফত আমরা আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম কিন্তু এমন ভাব নিয়েছিলাম যেনো কনক বুঝতে না পারে যে,আমরা ওর জন্মদিনের বিষয়টা জানি।তো আমাদের প্ল্যান ছিলো রাত 12 টার দিকে আমরা সবাই মিলে ওকে বের করে নিয়ে গিয়ে ওকে ইচ্ছেমত উইশ করবো।কিন্তু রাত 11 টার দিকে আমরা সবাই মিলে যেই ওকে ডাকতে গেছি ও আর যাইতে চায় না,হয়তো বিষয়টা কিছুটা হলেও সে বুঝতে পেরেছে।কিন্তু ওকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললাম আজকে আর্জেন্টিনার খেলা বাইরে প্রজেক্টরে দেখাচ্ছে ওখানে খেলা দেখতে যাবো আর কনক আবার আর্জেন্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান।যাইহোক টেনে হিচড়ে হলেও তাকে সাথে করে নিয়ে গেলাম সেই লাঙ্গল বনের উদ্দেশ্যে কারণ আমাদের পাশের যে বাজার আছে সেটা সন্ধ্যাতেই বন্ধ হয়ে যায়।
সবাই মিলে মিনিট বিশেক হাটার পর পৌঁছালাম সেই লাঙ্গল বন বাজারে।কিন্তু গিয়ে দেখি বাজারে ডিমের দোকান নাই আর ময়দা আটা কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।যাইহোক শেষমেষ হোটেল এর মালিককে কোনরকম বুঝিয়ে পড়িয়ে ডিম কিনলাম দুটো কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো আটা পাই নি।যাইহোক বিকল্প হিসেবে একটা কোক নিলাম সাথে সোডা না থাকায় একটা টেস্টি সেলাইন।এরপর পিছন থেকে সজীব আচমকা গিয়ে কনক এর হাত ধরলো সাথে সাথে নিরব আর হিমেল ঠাস ঠাস করে মাথায় ডিম দুটো ফাটিয়ে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম।আমি এদিকে সেদিকে তাকিয়ে দেখি চারপাশে হেভি ধুলো আর ধুলো দিয়েই আটার কাজ চালিয়ে দিলাম।বেচারা তখন না পারে কিছু কইতে না পারে সইতে।
বেচারা পুরায় হতভম্ব হয়ে গেছে, ও মনে মনে ভাবছে এইটা কি হইলো আমার সাথে।তার চেয়ে ওর বেশি ভয় এই রাতে ওকে গোসল করতে হবে।কিন্তু খেলা যে এখনো বাকি সে ওটা বুঝে উঠতে পারে নাই। ও ভাবছে এতটুকুতেই শেষ।এবার পাশ থেকে সজীব টুপ করে আমার কানে এসে বলে গেলো ওকে চেং দোলা করে জমা থাকা পানিতে চোবাবো। যেই কথা সেই কাজ, অমনে সজীব এসে খপ করে ধরে ফেললো ওর হাত আর আমি নিরব ওর পা ধরে ছেশ্রানি দিতে থালাম ওই ময়লা পানিতে।আর কনক এর এমন করুন অবস্থা দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ।কিন্তু আমরা যে অত্যাচার চালাইছি ওর উপর ও কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র না ও কাউন্টার মারলো আর এদিকে আমার গা মাথা গেঞ্জি সব শেষ।
এরপর সবাই মিলে ওকে উইশ করলাম ছবি উঠলাম আর চা নাস্তা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আর আজকে আমরা সবাই মিলে কেক কেটে কনক এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম আর সেও আমাদের পেট পুরে বিরিয়ানি খাওইলো তবে সেই গল্প না হয় কাল শেয়ার করবো আপনার সাথে।যাইহোক আজকে এতটুকুই থাক বাকিটা না হয় কাল শেয়ার করবো আপনাদের সাথে সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন এই কামনা করি।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | ওয়ান প্লাস |
অবস্থান | নারায়ণগঞ্জ |
আপনার বন্ধুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনে অনুষ্ঠানের সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানগুলো খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই শেয়ার করার জন্য।
বিশেষ দিন বলে কথা আর এই দিনটাকে যদি স্মরণীয় করে রাখা না হয় তাইলে তো সব বৃথা।যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
মেয়েদের আবার এভাবে কখনো বান্ধবীর জন্মদিন পালন করা হয়না। এই সুন্দর মুহূর্ত আর বাহিরে গিয়ে এভাবে আনন্দ করতে ছেলেরাই পারে। আপনার বন্ধুর জন্মদিন খুব সুন্দর ভাবে পালন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এভাবে বন্ধুর জন্মদিন পালন করার মজাই আলাদা। আপনার বন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপনারা কিন্তু এক মুহুর্ত গুলা খুব মিস করেন।তবে এটা ঠিক ছেলেরা সত্যিই ভাগ্যবান আর ছেলেদের বন্ধুত্ব গুলাও হয় অসাধারণ।আমরা ছেলেরা বরাবর সেরা😍।
জন্মদিনে তো বেশ মজা করলেন ডিম ভেঙ্গে মাথায়।এই শীতের মধ্যে মাথায় ডিম ভেঙ্গে ধুলোবালি মেখে জন্মদিন পালন করার মত দুঃখজনক আর কি হতে পারে।হা হা হা বেচারার আবার গোসল করতে হবে।যাক তবে ব্যাপারটা ভিন্ন ভাবে উদযাপন করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ওইদিন সন্ধ্যায় আরো বেশি মজা হয়েছে আপু যেগুলা এখনো শেয়ার করার হয় নি।তবে আজকে দেখি শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।আর হ্যা প্রচুর মজা করেছি আপু কালকে।😍
প্রথমে জানাই আপনার বন্ধুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে আপনারা সকল বন্ধু মিলে আপনার বন্ধু কনককে এভাবে উইশ করবেন কনক নিজেই বুঝতে পারেনি।সত্যিই এই শীতে কনককে গোসল করা লাগবে, এটা আসলে কষ্টের। কষ্ট হলে ও এটা অনেক আনন্দের ও ছিল বটে। এমন আনন্দ ঘন মূহুর্ত বারবার ফিরে আসুক আপনাদের জীবনে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
বুঝতে যে পারেনি এমনটা মোটেও না কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দেই নি এই আরকি।আর কষ্ট বলতে কিছুই না,ওগুলো হয়েই থাকে সাধারণ ব্যাপার এগুলা।🤗😁
আহা বেচারাকে আর্জেন্টিনার খেলা দেখিয়ে কি এক অত্যাচার হাহাহা 🤣🤣🤣🤣। কিছু দিন আগে এমন আমার সাথেও হয়েছিলো। যাক আটার কাজ ধুলা দিয়ে চালিয়েছেন তাহলে। ছবিতে আপনারে দেখেই বুঝে ছিলাম আপনার বন্ধু কাউন্টার দিয়ে ছিলো আপনাদের।
খেলা তো ওখানে আর দেখিয়ে নাই🤣।ওকে উইশ করে ওখান থেকে এসে বাসায় খেলা দেখেছি।আর উপায় না পেয়েই ধুলো দিয়ে কাজ চালিয়ে দিয়েছি হাহা।
বন্ধুদের কাছ থেকে এরকম হুটহাট সারপ্রাইজ পেয়ে আপনার বন্ধু অথবা অবাক হয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া আমাদেরকে অনেক দিক থেকেই উপকার করছে এই যেমন ধরুন জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী এই আর কি এগুলো আমরা অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারি। বন্ধুর জন্মদিনে খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে বন্ধুকে এই শীতের সময় একদম গোসল করিয়ে দিয়েছেন বেচারার জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে হাহাহা।
আসলেই ভাই।সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।আর রাতে একদিন গোসল করলে কিছু হয় না। দুই একদিন গোসল করলে ওটা কিছু মনেই হয় না😁।
প্রথমে জন্মদিনের অনেক শুভেচছা আপনার বন্ধুকে। আপনি আপনার বন্ধুর জন্মদিনে সেই মজা করলেন, আমার খুব ভাল লাগলো দেখে।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি খুব মজা হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।আর আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সবগুলো পোস্ট পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।🖤