ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুর-(প্রথম পর্ব) || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
দেখতে দেখতেই সময় গুলো কেমনে যে চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না।মনে হচ্ছে এইতো কয়দিন আগেই ডিপ্লোমা শুরু করলাম।আর আজকে ডিপ্লোমার শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।বলা যায় জীবনের আরেকটি অধ্যায় এর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।এইতো আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।এরপর ফাইনাল এক্সাম তারপর সবাই সবার মত করে চলে যাবে ভিন্ন ঠিকানায়।এরপর চাইলেও সেই বন্ধু গুলার সাথে আর দেখা হবে না,হবে না এরকম করে সবাই মিলে একসাথে পিকনিকে যাওয়া,আর আনন্দে মেতে উঠা।তো যাইহোক আমি এবার ডিপ্লোমার শেষ ধাপে অর্থাৎ সপ্তম সেমিস্টারে আছি।তো শেষের দিকে এসে প্রত্যেক সেমিস্টারে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুরে যায়।এই টুর এর মূল উদ্দেশ্য হলো এতদিনে যা যা শিখলাম সেগুলোর বাস্তবিক বা প্রয়োগিক দিক দেখা।তো সেইজন্য আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্বতীপুর কেলোকা (কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা)।এটি হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল লোকোমোটিভ কারখানা।এখানে মূলত রেলের ইঞ্জিন মেরামত ও অন্যান্য সার্ভিসিং করানো হয়।এবং বাংলাদেশের যতগুলো নতুন রেল ইঞ্জিন আছে আগে সেগুলো এখানে নিয়ে এসে টেস্ট করা হয় তারপর রেল লাইনে নামানো হয়।তো সেখানের ভিতরের কার্যক্রম দেখানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
তো আমাদের আগেই সবকিছু ঠিক করা ছিল এবং কলেজ থেকে আমাদের বের হওয়ার কথা ছিল ঠিক সকাল 7:20 এ।আর এদিকে রাতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে আমার 6 টা বেজে যায় এই জন্যে আর ঘুমাইতে পারি না।এইদিকে বন্ধুরা এসে 7 টার দিকে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়।কিন্তু গিয়ে দেখি এখনও অনেকেই আসে নাই।আর যারা আসছে সবাই ফটোসেশন নিয়ে ব্যাস্ত।আমার আবার মনটা একটু খারাপ তার আগের রাতে সৈয়দপুরে একটি কনসার্ট হয়েছে সেখানে যেতে পারি নাই😓।এই জন্য খালি আফসোস হচ্ছিল।মনে হচ্ছে এত দেরি জানলে হয়তো কনসার্ট শেষ করে আজকে সকালের ব্যাস ধরে এসে টুরে অংশ নিতে পারতাম।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এরপর এই সেই করতে করতে প্রায় অনেক বেলা হয়ে গেলো।আমাদের আবার সেখান থেকে যেতে হবে স্বপ্নপুরী।এরপর 9:20 এ গাড়ি ছাড়লো বলা চলে অনেকটা দেরি করে।এরপর বাসের মধ্যে লাগায় দিলো সেই উরাধুরা ডিজে গান।আর সবার সেই উরাধুরা নাচ।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এরপর পৌঁছে গেলাম পার্বতীপুর এর সেই লোকোমোটিভ কারখানায়।দিনাজপুর থেকে আমাদের পৌছাইতে সময় লেগেছিল মত 40 মিনিট এর মত।এরপর স্যাররা গিয়ে ওদের সাথে কথা বললো।এবং আমাদের মতে দুই ঘণ্টা থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।এই জন্যে আমরা তাড়াতাড়ি ঢুকে গেলাম।এবং স্যাররা আমাদের চারটা গ্রুপ তৈরি করে দিলো প্রতিটি গ্রুপে ছিল 30 জন করে ছাত্র।এবং সাথে ছিলো একজন করে ইনস্ট্রাকচার।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এই হচ্ছে ভিতরের পরিবেশ।আর যেটা দেখা যাচ্ছে ওটাই হচ্ছে মেইন কারখানা ওটার ভিতরেই রেলের ইঞ্জিন ও অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়।আর এখানে ইঞ্জিন গুলো ঠিক করার জন্য অনেকগুলো বিদেশি রয়েছে।তো যাইহোক ভিতরের ব্যাপার-সেপার না হয় আরেকদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আজকের মত এখানেই,,,,,
যখন খোলাহাটিতে পড়তাম তখন এখানে যাওয়ার বেশ কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছিল। খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম, রেলের ইঞ্জিন মেরামতের কাজ । আপনার পোস্ট দেখে সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল ।
বাহ শুনে ভালো লাগলো।তবে আমিও অনেক বড় ওখানে গিয়েছিলাম ভাই।কারখানার ভিতরে আমার অনেক পরিচিত আছে যারা ওখানে কাজ করে এখন।তবে যাইহোক ভাই কখন মনে পড়লে চলে আসেন।আমি সাগর আছি তো এখানে কোনো সমস্যা নেই😍
আপনার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের বর্ণনাগুলো পড়তে পড়তে আমার ছাত্র জীবনের শেষ পিকনিকের কথা মনে পড়ল। আসলে শিক্ষা জীবনের শেষে আমরা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করি তখন আর কর্মক্ষেত্রের চাপে পুরনো সেই বন্ধুদের প্রায় ভুলেই যাই। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া, যে বন্ধুগুলো সঙ্গে শেষের পরীক্ষা তে বসে ছিলাম তাদের অনেকেরই খোঁজখবর এখন জানিনা। যাই হোক আপনার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর এর বর্ণনা গুলো পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঠিক আপনার মত করেই আমিও একদিন কারো পোস্ট করব আর আমার এই স্মৃতিগুলো মনে করব। জীবনটা এরকমই হয় কখন যে জীবনের সময়গুলো পার হয়ে যায় আমরা বুঝতেই পারিনা।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুর বাহ্ চমৎকার। আমিও কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম আমাদের কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুরে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
হুম ভাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর। মাঝে মধ্যে এরকম দূরে যাওয়া দরকার, অনেক বাস্তবিক জ্ঞান অর্জন করা যায়। আর আপনিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল টুরে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো।
আসলে ভাই জীবনটা এরকমই কখন যে জীবন থেকে কিছু সময় চলে যায় বোঝাই যায় না। আপনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর এর বর্ণনা গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার সেলফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি , তবে রাতের বেলা ঘুমাতে পারিনি। সেই জন্য ট্যুরে গিয়ে একটু বোরিং ফিল হচ্ছিল।😍
সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর এ এত মজা যেটা আমি বুঝে গিয়েছি যখন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তাম। পলিটেকনিকে পড়া অবস্থায় আমরা দুইটা ট্যুরে গিয়েছিলাম অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম বন্ধুদের সঙ্গে যেটা আপনার এই পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল। বন্ধুদের সঙ্গে একটু রেডি অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও তাহলে ডিপ্লোমা করেছেন। জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে চুলগুলো সব সময় অনেক আনন্দের হয়। এই ছাত্রজীবনে বন্ধুগুলা পাশে থাকি বলে সময়টা অনেক ভালো কাটে।
দেখতে দেখতে ডিপ্লোমা লাইফটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। চার বছরে অনেল কিছুই তো শিখলাম। আপনাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর শুরু হয়ে গেল। আর আমাদের এসবের কোনো খবর নেই। বাস্তবিক জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরি। ভিতরের হয়তো অনেক কিছুই দেখলেন
আপনাদের ডিপার্টমেন্ট হেড এর সাথে কথা বলে একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর এর ব্যবস্থা করে ফেলুন। না হলে ডিপ্লোমা লাইফে বিশাল কিছু মিস করে ফেলবেন 😁
আপনার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর দেয়া শুরু করে দিয়েছেন তাইলে। বন্ধুদের সাথে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করে বেশ আনন্দময় কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। বাস্তবিক জ্ঞ্যান আহোরন করুন এখন। আমাদের সাথে সুন্দর করে গুছিয়ে লেখাগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে ভাই। ভাল থাকবেন।
হ্যা আমরা গেছি ঘুরতে জ্ঞান আহরণ পরের বিষয় হাহা😝।
তবে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা করা অবশ্য মেলা কিছুই শিখেচে।আর আমি অবশ্য এই জায়গায় এর আগেও কয়েকবার গিয়েছি।করোনা আমার বাসা ওখানেই।😍