নাড়ির টানে ঘরে ফেরা || 10% beneficiary @shy-fox
সম্মানিত আমার বাংলা ব্লগ বাসি "আসসালামু আলাইকুম"। আশা করি আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সুস্থ সুন্দর ও ভালো আছেন। সবাইকে উষ্ম অভ্যর্থনা জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করতেছি। উপস্থাপনায় ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
দীর্ঘ দুই মাস পরে ঘরে ফেরা।
দীর্ঘ দুই মাস পরে আজকে ঘরে ফেরা
সাধারণত আমি পড়াশুনার জন্য আমি বাসার বাইরে তথা দিনাজপুর এ থাকি।আর মেসে আসার পর কখনোই আমি এতদিন মেসে ছিলাম না।আর বাসায় যাওয়ার জন্য মন টা আকু পাকু করছিলো।আর বাসা থেকে আব্বুও ফোন দিয়ে বললো তোর আপু আসছে আয়।এদিকে অপু ও ফোন দিয়ে বললো চলে আয়।আর তখন আমাকে রুখে কে সাথে রাজি এবং তাহলে যাচ্ছি দেখা হবে বাসায় গিয়ে।যেই বলা সেই কাজ।পড়ে দিনেই বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
আমি সবসময় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন কে বেশি প্রায়োরিটি দেই।কারণ আমি ট্রেন এর যাত্রা বেশি উপভোগ করি।তাই আমি আমার বন্ধু সাগরকে জিজ্ঞেস করলাম যে এখন কোনো ট্রেন আছে কি না।সে সে বললো আছে 2:30 এ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস।তাই আমি বেশি দেরি না করে স্টেশন এর উদ্দেশ্যে বের হলাম।আমার মেস থাকে স্টেশন এর দুরত্ব প্রায় দশ টাকার ভাড়া।কত কিলো সেটা বলতে পারলাম না।আমি স্টেশন যাওয়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকি।এবং সেখানে সব ধরনের লোক দেখতে পাই।হয়তো কেউ নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে হয়তো কেউ নতুন কর্মের খোঁজে হয়তো কেউ আমার মত বাসার উদ্দেশ্যে।আর স্টেশন এ এসে দেখি প্রচুর ভিড় অনেক লোক।কারণ এই ট্রেইন টি হচ্ছে মেইল ট্রেন।এটা শুধু দিনাজপুর ও আরেকটি স্টেশন এই থামে।এবং ডাইরেক্ট ঢাকায় নিয়ে যায়।এই জন্যে এখানে লোকের ভিড় টা অনেক বেশি।এর পর আমি টিকেট কাটতে যায় কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিট ছিলো না।তাই আর টিকেট করলাম না।
এরপর আমি ট্রেন এ উঠে পড়ি।কিন্তু ছিট না থাকায় আমাকে দাড়ায় থাকতে হয়।কিন্তু তাতেও অমর মন খারাপ নেই কারণ এর আগেও আমার দাড়িয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।তাই আমি দরজার পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে থাকলাম।যদিও থাকা উচিত না।কিন্তু দরজার সাথে দাড়িয়ে ভ্রমণ অন্যরকম একটা শান্তি।এরপর ট্রেন ছেড়ে দেয় ।কে একে মোহাম্মদ পুর স্টেশন,চিরিরবন্দর স্টেশন পার করে আমি আমার গন্তব্য পার্বতীপুর এ এসে পড়ি।আর এখান থেকে আমার বাসা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে।
এরপর আমি অটো স্টেশন এ আসি।এবং অটো স্টেশন আসি এবং অটো স্টেশন এ আসার পর পর একটা অটো ঠিক করি।সেখান থেকে আমি কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে বাসার উদ্দেশ্যে যাই।
এরপর গ্রামের রাস্তায় হাঁটার সময় কিছু ক্লিক এ সবুজ শেমল এ ভরা নয়নাভিরাম প্রকৃতির ছবি নেই।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে নেক্সট কোনো পোস্ট এ নেক্সট কোনো বিষয় এ।ততদিন সবাই সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
আসলে ট্রেনে ভ্রমন অনেক আনন্দের একটি যাত্রা। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ট্রেনে ভ্রমন করতে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে দেখে ভালো লাগলো আশা করছি আপনি ভালোভাবে আপনার বাসায় পোছেছেন।আর ট্রেন ভ্রমন টা দারুন ছিল।💖💖
আপনি আজকে অনেকদিন পরে নিজের বাড়িতে গিয়েছেন। এজন্য আপনার কোন কিছুতে খারাপ লাগেনি। আপনি যখন ট্রেনে দাঁড়িয়েছিলেন তখনও একটা আনন্দ অনুভব করেছিলেন বাড়ি যাওয়ার।
আপনার শেষের ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমিও সব সময় ট্রেন কে বেশি প্রায়োরিটি দেই। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে আমার বাসা থেকে ট্রেনের যাতায়াত করার মতো রাস্তা খুবই কম। খুবই কম বললে হবেনা বলতে গেলে খুবই খুবই খুবই কম। এজন্য আপনার মুহূর্তগুলো দেখে আমি খুব উপভোগ করলাম।
ট্রেন ভ্রমণ টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক মজা লাগে। আর অনেক দিন পরে বাড়ি যেতে সবারই ভালো লাগে। সবাই অনেক আদর করে, ভালো ভালো খাবার খাওয়া যায়😃
সবই বুঝলাম ভাই, কিন্তু নাড়ির টান এটা আবার কি....??
সত্যিই আমি ট্রেনে চড়ার একসময় স্বপ্ন ছিল। ট্রেনে চড়ে অনেক আনন্দ করেছিলাম এখানে কোন শব্দ হয় নাই। বোঝা যায়না যে আমি ট্রেনে চলে আসছি। এটা এজন্য ভালো লাগে। আপনি ভালভাবে পৌছে গেছেন দোয়া করি। খুবই ভালো ছিল