শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর (পর্ব-০৩)
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ। আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তারপর কি অবস্থা সবার? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আর সকলেই ভালো থাকুক এমনটাই চাওয়া। তবে দিন দুই ধরে আবওয়াহা পরিবর্তনে বেশ বেহাল দশা আমার জ্বর আর সর্দিতে কাবু হয়ে গেছি। এমন আবওয়াহা পরিবর্তনের সময় সবাই একটু বাড়িতে ভাবে সচেতন থাকুন বিশেষ করে বাচ্চাদের একটু নজরে রাখুন। আর যতদূর সম্ভব হয় ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এই সময়ের জ্বরে একবার আক্রান্ত হলে আর রক্ষে নাই পুরো শরীর একদম মেছাকার করে দিবে এজন্য একটু বাড়তি সচেতনতাই ভালো।
যাইহোক এর আগে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর নিয়ে দুইটি পর্ব আমি শেয়ার করেছি। আজকে তারই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি আশা করি অনেক পুরনো নিদর্শন জানতে ও দেখতে পারবেন। আর জাদুঘরে অনেক বেশি পুরনো নিদর্শন থাকায় সবগুলো এক পর্বে শেয়ার করতে পারছি এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এই মূর্তিটি কাঠের তৈরি। এটি সম্ভবত বৌদ্ধ ধর্মাবম্বীদের কোনো দেবতার মূর্তি যদিও সঠিকটি মনে নেই এখন।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এই নিদর্শনটি দেখলে বোঝা যায় কতটা বিশ্বায়নের যুগে বাস করছি আমরা। যাইহোক এটি হচ্ছে খড়ম যা কাঠের তৈরি ছিল।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটি হচ্ছে কাঠের তৈরি নকশা করা দরজা।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এই ছবিটি নিয়ে লিখলে পুরো একটি ব্লগ লেখা যাবে। যাইহোক এই ছবিটি দেখে হয়তো আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন এটি হচ্ছে গ্রামীণ জীবনধারার একটি প্রতিচ্ছবি। তবে কালের বিবর্তনে এরকম দৃশ্য এখন প্রাচীন নিদর্শন হয়ে গেছে।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটি হচ্ছে কাঠের তৈরি সিন্দুক। আমি বাস্তবে কখনো এমন সিন্দুক দেখি নাই শুধু নামই শুনেছি তবে এই সিন্দুকটি একটু ব্যতিক্রম ছিল।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
রূপকথার পঙ্খীরাজ ঘোড়ার কথা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। হ্যা, এটিয় হচ্ছে সেই পঙ্খীরাজ ঘোড়া যা নির্মিত হয়েছে কাঠ দিয়ে।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
টিনের চালা ঘর তো দেখেছেন যেগুলোতে দেয়াল থাকে টিনের তৈরি। তবে এই দেয়াল একটু ভিন্ন এটা পুরোটাই তৈরি কাঠের তৈরি এবং খুব সুন্দর নকশা করা।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এটি হচ্ছে হামাম দিস্তা। আগেকার সময় এই হমাম দিস্তা দিয়ে ধান ভাঙ্গা হতো কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এইটা এখন নাই বললেই চলে। তবে এখনও গ্রামে দেখা যায় গ্রামের মানুষরা এটা দিয়ে মশলা বাটে। আমাদের বাড়িতেও অবশ্য এরকম একটা এখনো আছে।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
মাটির তৈরী মৃৎশিল্প।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
সেই সময়ে প্রচলিত নৌকার আদলে তৈরি নৌকার প্রতিকৃতি। এখানে বিভিন্ন ধরনের নৌকা আছে সম্প্পান,পাল আর অনেক যেগুলার নাম আপাতত মনে নাই🤗।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
এগুলা হচ্ছে সম্প্রতিকালে বহুল ব্যাবহৃত কাঠের তৈরি কারুশিল্প।
তারিখ: ১১ নভেম্বর, ২০২২
সময়: বিকেল ৪ টা ২৪ মিনিট
স্থান: সোনারগাঁও,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর
আজকের মত এতটুকুই আবার দেখা হবে এই সিরিজের পরবর্তী পর্ব নিয়ে। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন নতুন কিছু নিদর্শন দেখতে পারবেন।
ক্যামেরা | মোবাইল |
---|---|
অবস্থান | সোনারগাঁ জাদুঘর |
শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীনের জাদুঘরে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন বোঝাই যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে অনেক কিছু দেখেছেন এবং সুন্দর সুন্দর না দেখা জিনিসের ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে জাদুঘর ভ্রমন করা উচিত এতে করে প্রাচীন নিদর্শন গুলো খুব কাছ থেকে দেখা যায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই অন্তত নিজের শিকড়ের কথা জানার জন্য হলেও জাদুঘর ঘুরতে যাওয়া দরকার।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডা জ্বরের উপদ্রব খুব করে বেড়ে গেছে।।
এ পড় বেশি অনেক সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র এবং সুন্দর বর্ণনা এর সাথে পরিচিত হতে পারলাম বিশেষ করে গ্রাম্য পরিবেশের চিত্রগুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।।
ধন্যবাদ ভাই,আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যায় করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।🖤
ভাইয়া এর আগের পর্বগুলো দেখা হয়নি তবে আজকের পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগছে। শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে জাদুঘর থেকে নেওয়া কিছু প্রাচীন নিদর্শন দেখতে পেলাম। প্রাচীন এই জিনিস গুলো দেখলে অনেক খারাপ লাগে। কারণ তারা আগে কত কষ্ট করে জীবন যাপন করতো। যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তাহলে হয়তো মিস কোটে গিয়েছেন আপু যাক ব্যাপার না। আর আগের জীবন কষ্টের হলেও সুখের ছিল হাহা।😅
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে আবহাওয়ার কারণে কমবেশি সবার জ্বর ইচ্ছে। এর আগে জাদুঘর এ পর্বগুলো দেখতে পারিনি আজ দেখতে পেলে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন।দেখতে সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর জাদুঘরের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু। আর এখনকার জর ও খুব মারাত্মক একবার হইলে আর নিস্তার নাই। তবে সাবধানে থাইকেন আপু।
আপনি আমাদের মাঝে সোনারগাঁ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের জাদুঘর ভ্রমণ এর পর্ব উপস্থাপন করেছেন।সোনারগাঁও এই জাদুঘর আমিও দেখেছি। এই জায়গাটা আসলেই দেখার মত। অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিস রয়েছে এখানে যেগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারলে অনেক ভালো লাগে সবার। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরেহ বাহ তাইলে তো এগুলা আপনার কাছে সব পরিচিত আগে থেকেই।
আসলে এমন প্রাচীন নিদ্রসমের সাথে পরিচিত হওয়াটা একটা দারুন আনন্দের ব্যাপার।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে সোনারগাঁও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘরে ভ্রমণ পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে বেশ কিছু ইতিহাসের আদি জিনিসের সাথে পরিচিত হতে পারলাম। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই বর্তমানে আবহাওয়ার কারণে মানুষের ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি সবকিছুই প্রবল আকারে বেড়ে চলেছে। আপনার পোষ্টের মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে নৌকার আদলে তৈরি।
সামনের পর্বে আরো নতুন নতুন কিছু জিনিসের সাথে পরিচিত হতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
শুধু সাথেই থাকুন।
সোনারগাঁও জাদুঘর বেশ কিছু চিত্র আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। গত তিন বছর আগে আমিও গিয়েছিলাম কিন্তু ফটোগ্রাফি করার মতো সুযোগ ছিল না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আসলে আমিও ফটোগ্রাফি করতাম না। কেবল আপনাদের দেখাবো বলেই ছবি তোলা।
আপনার সুস্থতা কামনা করি। আশা করি জলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জাদুঘরে ঘোরাঘুরির মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এখানে থেকে আমাদের অতীতের জীবন যাপনের ধরণ সম্পর্কে ধারণা পেলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আশা করি সামনের পর্বে আরো চমৎকার কিছু নিদর্শন তুলে ধরতে পারবো।🙏
শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীনের শিল্প একদম বাস্তবধর্মী এবং মনোমুগ্ধকর। যিনি গ্রাম বাংলার অত্যন্ত এলাকার বৈচিত্র্যরূপ তুলে ধরেছেন ৪৩ এর মন্বন্তর তুলে ধরেছেন তার চিত্র কর্মধারা এছাড়াও আরো অনেক কিছু আমাদের মাঝে অংকন করে গেছেন। যা সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। আপনি জাদুঘর থেকে সুন্দর কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে এনেছেন এবং দেখিয়েছেন। যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো এবং ধারণা পেলাম নতুন কিছু।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আর হ্যা অল্প কিছু ফটোগ্রাফি করি নি পুরো জাদুঘর ক্যামেরা বন্দি করে নিয়ে এসেছি। আস্তে আস্তে সব নিয়ে আসবো আপনাদের সামনে😁।
আবহাওয়াটা আসলেই বেশ খারাপ। তাইতো আমাদের প্রত্যেকের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক দিন আগে আমিও গিয়েছিলাম এখানে। বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে এই যাদু ঘরটি। তবুও আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু কারু শিল্প দেখতে পেলাম।
সরকারি আওতাধীন তো এই জন্যে এগুলা রক্ষণাবেক্ষণ এ বেশ গুরুত্ব বেড়েছে এখন আগের চেয়ে। যাইহোক আপনি এখানে ঘুরে এসেছেন জেনে খুশি হলাম।🖤🙏