রান্না করতে গিয়ে নাকের জল,চোখের জল সব এক জায়গায়🤣
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
পাকিস্তান আসলেই একটা আনপ্রেডিক্টেবল দল। যে দলের নক আউট পর্ব পার হওয়া নিয়ে সংখ্যা সেই দল এখন ফাইনালে আর এটাই বোধয় ক্রিকেটীয় সৌন্দর্য।এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে এত আগ্রহ ছিল না কিন্তু সেমি ফাইনালে খেলা দেখতে বসে অগ্রহটা আবার জেগে উঠলো।শুধু এখন একটাই চাওয়া ভারত যেনো ফাইনালে যায়।এবং ক্রিকেট যেনো আরো একবার ইতিহাসের সাক্ষী হয়।যাইহোক ক্রিকেট আমার আজকের লেখার প্রতিপাদ্য বিষয় নয়।
কাল থেকে বাসায় বুয়া নাই খাওয়া দাওয়ার যাচ্ছে তাই অবস্থা।উপায় না থেকে দুইদিন থেকে বাইরের হোটেলেই খেতে হচ্ছে।আর হোটেলের খাবার তো কেমন সেটা না হয় নাই বলি।বাইরের খাবার একদিন খেয়েই পেটের যাচ্ছে তাই অবস্থা।তো আজকেও সকালে উঠে দেখি রান্না বান্না হয় নাই,কিন্তু কাকে কি বলবো সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না কারন আমি নিজেও রান্না পারি না।তারপর অমনেই উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইরে থেকে হালকা পাতলা খেয়ে গেলাম ট্রেইনিং এ।ট্রেনিং শেষে বের হয়ে খুদার তীব্রতা মনে হচ্ছে আরো বেড়ে গেলো। তাই বাইরে বেশি দের না করে চলে আসলাম বাসায়।এসে দেখি এরা কেউ ঘুম থেকে উঠে নাই খিদার ভয়ে।যাইহোক তারপর সবাইকে বললাম বাইরে আর খাওয়া যাবে না এর চেয়ে বরং চলো নিজেরাই রান্না করি।কিন্তু বেটারা এতই অলস যে রান্না করার ভয়ে সবাই বললো আমরা বাইরে থেকেই খেয়ে নিবো বরং তুই রান্না করে খা🤣।যাইহোক এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিয়ে নিলাম খিচুড়ি রান্না করার চ্যালেঞ্জ কারণ বাইরের খাবার আমার একেবারেই সুট করে না।তবে আমি অবশ্য একা ছিলাম না,আমার সাথে সহযোগিতায় ছিল আমাদের সর্বজনীন সুমন ভাই (বন্ধু কিন্তু দুষ্টুমির ছলে ওরে সর্বজনীন ভাই বলি সবাই)।
যাইহোক লেগে গেলাম খিচুড়ি রান্নার মিশনে।সুমন আমাকে পাতিল আর চাল পরিষ্কার করে নিয়ে এসে দিলো।আর আমি ততক্ষনে আলু,পেঁয়াজ,মরিচ কেটে রেডি করলাম।আর এদিকে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নাক,চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে🥲।এক হাত দিয়ে নাক মুচি তো ওই হাত দিয়েই চোখ ও মুছি।যাইহোক যেমনে হোক কষ্ট করে দিলাম খিচুড়ি চুলায়।
এরপর মসল্লা দিতে গিয়ে আরেক বিপদে পড়ে গেলাম।কোন মসল্লা দিবো আর কোনটা কতটুক দিবো সেটাও বুঝে উঠতে পারলাম না।তারপরেও দিলাম আইডিয়া করে।
কিন্তু সবকিছু দিতে দিতে যে রান্নার প্রধান উপকরণ এখনো দেওয়া বাকি সেটা মনেই ছিল না। চুলায় কিছুক্ষণ চলার পর সুমন আমারে বললো লবণ দিছিস,তারপর চুলার আগুন নিভিয়ে আবারও দিলাম লবণ🤣।
যাইহোক ঘণ্টা খানেক চুলার উপর থাকার পর অতঃপর সেই কাঙ্ক্ষিত খিচুড়ি রান্না হইলো।তারপর কারো দিক না তাকায় সুমন আর আমি মাথা নিচু করে খাওয়া শুরু করলাম।খিচুড়ি কেমন হইসে সেটা ঠিক জানি না,তবে যা খিদা লাগছিল।খাওয়া শেষ করে সুমন বললো খিচুড়িটা ভালই হইসে🤣।তবে বাকিরা যখন খাবে তখন বোঝা যাবে আসলেই ভালো হইসে নাকি খারাপ।তবে আর যাইহোক নিজের রান্না নিজের কাছে কখনো খারাপ হতেই পারে না।আর নিজে রান্না করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে।তবে একটা মজার বিষয় শোনেন,এই মুহূর্তে সবাই জানাইলো খিচুড়ি নাকি ভালই হইসে।😅
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
অবস্থান | নারায়ণগঞ্জ |
নাকের জল চোখের জল সব একসাথে করে ভালই রান্না করেছেন। এত কষ্ট করার কি দরকার ছিল ভাইয়া আমাদের কারো একজনের খিচুড়ি রেসিপি দেখে রান্না করে ফেলতেন। আমার বাংলা ব্লগে খিচুড়ি রান্না করার রেসিপির অভাব নেই ভাইয়া। যাইহোক আইডিয়া করে অবশেষে রান্নাটা করে খেয়েছেন এটাই অনেক । তবে পরবর্তীতে রান্না করলে রেসিপি দেখে রান্না করবেন তাহলে এত কষ্ট হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার রান্নার অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দেখে দেখে শেখা আর বাস্তবে করা কিন্তু অনেক ফারাক😌।তবে এটা ঠিক অনেকটা আইডিয়া বাংলা ব্লগের রেসিপি গুলো দেখেই হয়েছে।আর রান্না করার সময় বেশ মজাও করেছি কিন্তু।😅
যাই হোক রান্নাটা সম্পূর্ণ হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। যদিও একটু ভুল বানতি হয়েছে। আমারও প্রথম প্রথম রান্না করতে এরকম অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন যে কোন রেসিপি তৈরি করতে পারি। পরবর্তীতে রানার সময় নিশ্চয়ই এই সমস্যাগুলো কথা মনে থাকবে তখন অনেক ভালো করে খিচুড়ি রান্না করতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রথমবার তো তাই একটু ভুল হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।আর বাস্তব থেকেই তো শিক্ষা নেওয়া যায়।এখন আমার কাছেও রান্না করা বেশ সহজ একটা কাজ।ইনশাল্লাহ সামনে আরো নতুন নতুন রেসিপি শিখবো।
খিদা লাগার ভয়ে কেউ ঘুম থেকে উঠেনি বিষয়টি বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আসলে আমরা যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকি ততক্ষণ হয়তো খিদা লাগে না। ঘুম থেকে উঠলেই পেটে মোচড় দিয়ে ওঠে। তবে এই পরিস্থিতিতে আসলে রান্নাবান্না করা সত্যি অনেক কষ্টের কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো যখন দেখবেন খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই তখন খিদা আরো বেশি লাগে।
হ্যা আপু।আমাদের ছেলেগুলো একটু আলসে বেশি।আর হ্যা ঘুমিয়ে থাকলে কিন্তু খিদা একটা খুব বোঝা যায় না।তবে নিজে রান্না করলে কিন্তু সেই মজার হয় রেসিপি গুলো।আর এখন যেহেতু উপায় নেই তাই রান্না করতেই হবে।
🤣🤣🤣আপনার পোস্টের টাইটেলের নাম টা পড়েই আমার অনেক বেশি হাসি পাচ্ছিল🤣🤣।তবে হোটেলের খাবার সবাই খেতে পারে না।এইটা ভালো কাজ করছেন বাসায় রান্না করেছেন । প্রথম রান্না করছেন তো তাই এতো কষ্ট হয়েছে। বুঝেন কি ভাবে মা বোনরা রান্না করে🤭🤭🥵।আচ্ছা যাই হোক লবণ ছাড়া কিন্তু সব মাটির মতো🤣🤣।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার প্রথম যুদ্ধ না রান্না খিচুড়ি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হিহি,মজা করেই কিন্তু টাইটেল টা দিয়েছি আপু আর বাস্তবেও এমনটা হয়েছে কিন্তু😌।আর আমিও কিন্তু হোটেল এর খাবার খেতে পারি না আর এজন্য বাধ্য হয়ে বাসায় রান্না করেছি।তবে সুমন না বললে কিন্তু ওভাবেই খিচুড়ি রান্না হয়ে যেত।🤣
শুরুতে অমনটা হয় অনেকেরই। এবার যেই ভুল হয়েছে, পরেরবার দেখবেন সেই ভুল আর হবে না। আমিও ক্লাস ৬ এ থাকতে প্রথম পাঁপড় ভাজতে গিয়ে পুরিয়ে ফেলেছিলাম।এখন তো আমি ঘরের শেফ। তবে একটা কথা ভাই গ্যাস ওভেনটা একটু মুছতে বলবেন রান্নার মাসি কে। এ কি হাল? 😆
উনি যে রান্না করেন এটাই আমাদের কপাল।আসলে ব্যাচেলর পোলাপাইন বুঝেন তো।দিনশেষে একটু খাওয়া আর থাকার জায়গা হইলেই হইছে।আর রান্না ঘরে তো ভুলেও কেউ যায় না।খালা এসে রান্না করে আর আমরা খাই এই যা।🤣
ভাইয়া জীবনে প্রথম রান্না করেছেন আবার সবাই খেয়ে ভালো বলেছে যাক আপনার রান্না সার্থক । তবে আপনার লেখাটি পড়ে বেশ মজা পেয়েছি । খিদের ভয়ে সবাই ঘুম থেকে উঠে নি ব্যাপারটা সত্যি বেশ মজার ছিল । আসলে রান্না করতে করতেই অভিজ্ঞতা হয় ।আর মানুষ এক সময় হয়ে ওঠে পাকা রাধুনী ।আপনিও হয়ে যাবেন এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান ।ভালো ছিল।ধন্যবাদ ।
প্রশংসা শুনতে কিন্তু ভালই লাগলো।তবে এই প্রশংসা সত্যিই মণ থেকে করেছে নাকি আমাকে পাম দেওয়ার জন্য করেছে এটা কিন্তু বুঝতে পারি নাই🤣।তবে আর যাইহোক আমার পাকা রাধুনী হওয়ার কোনো ইচ্ছেই নাই😁।
কি আর বলবো ভাই টাইটেল পড়েই হাঁসতে-হাঁসতে-পেট-ব্যাথা, আমি যখন ইন্টার্নশিপ এ ছিলাম তখন এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, বন্ধুরা মিলে রান্না করার ট্রাই , যদিও আমাদের এক বন্ধু ভালো রাঁধুনী ছিল। কিন্তু তাকে হেল্প করা নিয়ে আমাদের অনেক ঝগড়া হতো কয়েকটি ছিল তারা কোন কাজ করতে চাইত না, তবু ও সেই দিনগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে।
খালি আপনাদের গ্রুপেই এমন পোলা নাই,আমাদের এখানেও এমন কয়টা ক্রিঞ্জ পোলাপাইন আছে।আর ওদের জন্যেই বুয়াও ঠিক করছি।তবে বুয়া নেওয়ার পর থেকে দুইয়ে একে আবার থাকে না বুয়া এই নিয়ে লাগে আবার সেই আগের ঝগড়া।তবে যাইহোক দিনগুলা আসলেই সুন্দর,একটা সময় পর খুব মনে পড়বে আমারও।