এলোমেলো চিন্তাভাবনা গুলোকে একটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
দেখতে দেখতে রমজান প্রায় শেষের দিকে।এইতো আর মাত্র তিনটে রোজা বাকি তারপর সেই কাঙ্খিত খুশির মুহুর্ত পবিত্র ঈদুল ফিতর।সবাই কত আনন্দ করবে,নতুন নতুন জামা কাপড় পরে ঘুরতে যাবে।কেবল এক শ্রেণীর মানুষ দেখেই যাবে।কারণ তারা গরীব।যাদের এক বেলার খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের আবার ঈদ।তাদের কাছে কখনো যদি জিজ্ঞেস করেন তবে মনে হয় তারা ঠোঁটের কোনায় এক চিলতে হাসি এনে কিংবা অনেকটা আশ্চর্য হয়ে বলবে ঈদের দিন সেটা আবার কি!ঠিক এমনটাই সমাজের নাট্যচিত্র;এই সমাজে সবার ইদের দিন হয় না,গরীবের তো প্রত্যেকদিনই ইদের দিন।এই ঘুনে খাওয়া পচন ধরা সমাজটা এমন হয়ে গেছে যার যত আছে তার তত চাই।আর এই উচ্চাভিলাষী আকাঙ্খার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে তিলে তিলে নিশেষ হয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ গুলো।
আচ্ছা আমার মনে একটা প্রশ্ন খুব জাগে?কিন্তু সদ উত্তর কখনো পাই নাই।আচ্ছা রমজান মাস কি শুধুই ইবাদতের মাস?রমজান কি মানুষ কি পরিবর্তন করতে আসে না?রমজান কি সমাজের এই বৈষম্য ভেঙ্গে দিতে আসে না?রমজানের উদ্দেশ্য কি এটা নয় যেনো ধনীরা ও উপলদ্ধি করতে পারে খুদার তীব্রতা কতটা যন্ত্রণা দায়ক?আসলে এমনটা বোধয় রমজানের উদ্দেশ্য মোটেও নয় তাই না! তা না হলে এই রমজানে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য ফুটে উঠে ধনী আর গরীবের মাঝে।আপনাদের যদি বিশ্বাস না হয় একটু বাজার মূল্যের দিকে তাকান তাহলেই স্পষ্ট।সারাবছর যেখানে বাজারের দাম অনেকটা সুলভ থাকে সেখানে রমজান আসার সাথে সাথেই বাজার দর চড়া মূল্যে বৃদ্ধি পায়।কেনো পায় জানেন?আপনার আমার মত টাকা ওয়ালা মালদারেরা একবারের এক মাসের বাজার করে নিজের স্টকে রাখে যেনো রমজানে আর কষ্ট করে বাজার করতে না হয়।যেখানে হওয়ার কথা ছিল বাজারের মূল্য আরো শীতল।কারণ সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে এক বেলা কম খেতে হয়।কিন্তু উল্টা খরচ আমরা বাড়িয়ে দেই।সেহেরীতে এমন পর্যায়ে পেট লোড দেই যেনো সারাবছর আর খেতে না হয়।আর ইফতারে তো কয়েক প্রকার ইফতার ছাড়া আমাদের চলেই না।একটা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে তো মিয়া বুঝেন না!কিন্তু ওপর দিকে রমজান মাস আসলে যারা খেটে খায় রিক্সা চালিয়ে কোনরকম দিন পার করে,তাদের অবস্থা একবারও চিন্তা করেছেন।রোজা থেকে কাজ করা কতটা টাফ,আর এমনিতেও রোজা মাসে মানুষ বাইরে খুব কম বের হয়।আর রিক্সাওয়ালা মামাটা আগে যা কামাত তার অর্ধেক ও আর হয় না।কিন্তু দিনশেষে যখন বাজারে যায় দ্রব্য মূল্যের দাম চড়া।আগে তো তাও কামাই একটু বেশি ছিল সেটা দিয়ে না হয় কোনরকম দিন পর হতো।কিন্তু এখন দাম ও বেশ, সাথে আয় রোজকার কম।কেবল কাধের গামছাটা দিয়ে মুখ মুছে,কোনো রকম পেট বাঁচানো বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে।এইযে আপনি আমি ইফতার করি কত্ত আইটেম দিয়ে ওরা ইফতার করে কি দিয়ে জানেন? শুকনো মুড়ি আর এক গ্লাস পানি দিয়ে। গলা দিয়ে নামতেই চায় না কিন্তু তারপরেও কোনো উপায় থাকে না।আর এসব দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় রমজান কেবল আসে আমাদের বুঝিয়ে দিতে ওরা গরীব আর ওরা বড়লোক।
আবার দেখুন না রমজানের শেষে এসে সেই সব মানুষদের কণ্ড কারখানা।যাদের সারাবছর কোনো পাত্তা নেই,ওরাই আবার ফেতরা ফেতরা বলে মুখে ফেনা তুলে।তাদের চিন্তাভাবনা গুলো দেখুন,ওদের ভাষ্যমতে "গরিবদের ও ঈদ বলে কিছু আছে ওরাও ত ইদের কেনাকাটা করবে,তাই সবাই নিজদের ফেতরার টকা গুলো দিয়ে দাও দ্রুত" কতটা হাস্যকর একবার চিন্তা করুন। ফরজ এদিকে তলোফ হয়ে যাচ্ছে সেদিকে খবর নাই আবার ফেতরা নিয়ে সে বাঁচে না।আজকে তো নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে আগ পাঁচ না ভেবে মসজিদে একজন কে বলেই দিছি,আপনার গোদামে যে ৩০০ মণ ধান রাখা আছে আগে সেটার যাকাত দেন।এবং জমি থেকে ধান তুলার সময় নিদ্রিষ্ট পরিমাণ যে ওশর হয় সেটা দিয়ে যান।আপনাকে এত কষ্ট করে ফেতরা ফেতরা বলে মুখে ফেনা তুলতে হবে না ।আজকে আমাদের সমাজে যতগুলো ধনকুব আছে তারা যদি সঠিকভাবে যাকাত আদায় করতো কিংবা ওশর দিত তবে আজকের সমাজের চিত্রটা এরকম নাও হতে পারত।কিন্তু এদেরকে নিয়ে কিছু বলার নাই।এদের কেবল আরো চাই আর চাই।এদের চাওয়া পাওয়ায় কখনো শেষ হবে না।বরং গরিবরা মরে যাওয়াই ভালো।
বাস্তব একটি অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমি অনেক শিক্ষা অর্জন করতে পেরেছি । চমৎকার একটি কবিতা আপনি লিখেছেন। বলতেই হয় আপনি একজন মহত্ব মানুষ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল
যাইহোক পোস্ট টি তাহলে পড়েছেন আপনি।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি দেখে।এভাবে পাশে থেকে উৎসাহিত করবেন।শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
পচা সমাজের সমাজপতিদের গায়ের দুর্গন্ধে,খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আজ বেহুস হয়ে আছে। ধিক্কার জানাই সুদখোর ও ঘুষখোর দের। তাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে, সমাজ হোক সবার জন্য আলোকিত।
অনেকটাই মারা যাওয়ার উপক্রম।শুধু তাদের দোষ দিয়ে কি লাভ।আপনি আমি ঘুষ এর টাকা দেই দেখে তার ঘুষ নেয়।আর আমরা সুদের টাকা নেই দেখে তারা দেয়।শুধু এক পাক্ষিক দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।
আপনি অনেক চমৎকার লিখেছেন, বাস্তবিক সত্য কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের সমাজের ধনকুবের লোক গুলো যদি সঠিকভাবে যাকাত দিতে তাহলে এদেশে গরিব মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যেত। স্বার্থপর মানুষগুলো আরো চাই মানসিকতা আর শেষ হয়না এভাবে তারা কবর পর্যন্ত চলে যায় কিন্তু কানাকড়িও নিয়ে যেতে পারে না, তারপরও তারা শিক্ষালাভ করে না
বর্তমান যে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা আছে।এই ব্যাবস্থা আমাদেরকে ছোট থেকে কেবল এগুলোই শিখাচ্ছে।আর আমরাও শিখছি।কিন্তু নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে বিষয় গুলও বুঝার চেষ্টা আমরা কখনোই করি না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।সমাজ খুবই বৈচিত্র্যময়, আর একে মানুষ বৈচিত্র্যময় করে তোলে।গরিবরা ঠিক মতো ঈদ করতে পারে না কিন্তু সমাজের ক্ষমতাবান মানুষরা দেখে ও দেখেন না।ঠিক তারা অপ্রয়োজনীয় কাজে টাকা খরচ করেন ।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম আপু।
কিন্তু কি আর করার তাদের তো আরো দরকার।সবার মানুষিকতার পরিবর্তন হোক।সমাজে শান্তি বর্ষিত হোক এই কামনা।
হাস্যকর হলেও এটাই সত্যি ভাই। এটাকে তারা কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে আল্লাহ ভালো জানেন। আল্লাহ তায়ালা তাদের বিবেক জাগ্রত করুক। রমযানে ধনী ও গরিবদের মাঝে বৈষম্য দূর হয়ে যাক এটাই কামনা করি। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে হতাশ হয়ে যায়। ঘটে তার উল্টো 🙂।