দুই ভাই মিলে ঘুরাঘুরি ও বিরিয়ানি হাউজে খানাপিনা 🤗😋 || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
বাড়িতে এসেছি প্রায় এক সপ্তাহ এর মত হয়ে যাচ্ছে।এদিকে রোজাও প্রায় শেষ কালকে রোজা হলে পরের দিন ঈদুল ফিতর।কিন্তু বাড়িতে এসে কোথাও তেমন ইফতার করতে যাওয়ায় হয় নি।ফ্রেন্ডস রা একটা গেট টুগেদার এর আয়োজন করেছিল কিন্তু সবাই না থাকার কারণে সেটাও হয়ে উঠে নি।বেশ বোরিং সময় পার করছি বাড়িতে।আর বাড়িতে আমার সঙ্গ দেওয়ার মতো কেবল একটা ছোটভাই আছে।ওর নাম হাবিবুর।সবাই কর্ম ব্যাস্ততায় বাইরে চলে গেলেও পড়াশুনার জন্যে ও এখনো বাড়িতেই আছে।হয়তো সেও আর কয়দিন পর বাইরে যাবে।আর ওর ও বাড়িতে আড্ডা দেওয়ার মত কেউ নাই।যখন আমি আসি তখন দুই ভাই মিলেই এখানে সেখানে একটু ঘুরতে বের হই এই শেষ।আর রমজান শুরু হওয়া থেকেই ও বার বার ফোন দিচ্ছিল ভাই বাড়ি কবে আসবেন একা একা আর বাড়িতে ভালো লাগে না পরীক্ষা শেষ করে তাড়াতাড়ি চলে আসেন।আর ওর এই ভালোবাসা আমিও ফেলতে পারি না।ছোট ভাই বলে কথা,তবে অনেটাই বন্ধু সুলভ আচরণ আমাদের মাঝে।বাড়িতে আসার পর থেকেই সে আমাকে বলতেছিল ভাই সবাই তো আসতেছে সবাই মিলে একটা ইফতার আয়জন করলে কেমন হয়।আমার অবশ্য ভালই লাগলো।কিন্তু সবার ব্যস্ততা কারো আবার এগুলোতে কোনো আগ্রহই নেই।কিন্তু তারপরেও আমি আর ও মিলে চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে একসাথে করার।কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি আমরা।শেষমেষ রাগ হয়ে হাবিবুর বলে ভাই কালকে যদি কেউ আসে তাহলে আপনি আর আমি দুইজন মিকে পার্বতীপুর চলে যাবো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:পার্বতীপুর উপজেলা
তো যেই কথা সেই কাজ। আজকেও সবাইকে সকালে বলেছি কিন্তু কারো কোনো ঘুরুক্ষেপ নেই।তাই আমি বাধ্য হয়ে হাবিবুর বললাম হইসে ভাই মেলা চেষ্টা করছো এগুলা খেত পোলাপাইনরা জীবনে শুধু টাকা চিনে এরা এই দুই তিনশ টাকার জন্যে জীবনেও এই ধরনের প্রোগ্রামে আসবে না আর বিশ্বাস করেন ভাই এই ধরনের কার্যক্রমের জন্য আমি এলাকার ছেলেদের সাথে মিশিও না তেমন একটা।তারপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে হাবিবুর বিকেলে বাইক নিয়ে চলে আসলো।আমিও অবশ্য তৈরি ছিলাম।এবং দুইভাই মিলে চলে গেলাম পার্বতীপুরে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:পার্বতীপুর উপজেলা
আমাদের এখান থেকে পার্বতীপুর খুব বেশি দূরে না কিন্তু।আমাদের যেতে প্রায় তিরিশ মিনিট এর মত সময় লেগেছে।গিয়ে দেখি কেবল ভাজে পাঁচটা আর ইফতার এর সময় এখনো বহুত দেরি।তাই বাধ্য হয়ে আমি তাকে বলল চলি স্টেশন এর দিকে যাই,একটা ভাই বলেছিল একটু টিকেট এর খোঁজ করতে আর আমার একটা পাঞ্জাবির পায়জামা নেওয়া ও দরকার। ব্যাস এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে গেলো।এদিকে টিকেট এর খবর ও হয়ে গেলো আর পায়জামা নেওয়াও হয়ে গেলো।তারপর আর কোনো কাজ ছিল না।গাড়ি গ্যারেজে করতে আসতে আস্তে প্রায় ৬:২০ বেজে গিয়েছিল।তাই আমি তাকে বললাম ইফতার এর সময় ও তো আর বেশি নেই বিরিয়ানি হাউজ এ গিয়ে বসি।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:পার্বতীপুর উপজেলা
দুইভাই মিলে গিয়ে বসলাম ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে।এই বিরিয়ানি হাউজে এর আগে কখনো যাওয়া হয়নি আজকেই প্রথম।কারণ পার্বতীপুরে আসলে বেশির ভাগ সময় শাহ হোটেলেই যাওয়া হয়।আর যেহেতু বিরিয়ানি হাউজ ও নতুন তাই ভাবলাম দেখা যাক খাবার মান কেমন এখানকার।বসে দুইটা স্পেশাল কাচ্চি অর্ডার দিলাম আর যেহেতু প্রচন্ড গরম সেই জন্য সাথে দুইটা বোরহানি অর্ডার দিলাম।আর সাথে বললাম এখন দেওয়ার দরকার নাই রোজা আছি আমরা দুইজন ইফতার এর একটু আগে দিয়েন।
.jpg)
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:পার্বতীপুর উপজেলা
ইফতার এর ঠিক পাঁচ মিনিট আগে ওরা বিরিয়ানি দিয়ে গেলো।আর বিরিয়ানি হাউজ এর ভিতরের জায়গায় গুলো কিন্তু বড়ো হয় না সেটা সবাই জানেন।আর দেখতে দেখতে সবগুলো জায়গা ব্লক হয়ে গেলো কারণ সবাই রোজা আছে তো ইফতার এর জন্য সবাই এসে ভিড় জমিয়েছে।এদিকে আযান পড়ার সাথে সাথে আমরা রোজা ভাংলাম।কিন্তু বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই যে বিরিয়ানি গুলো দিছে এগুলো বিরিয়ানি নামের কলঙ্ক না আছে স্বাদ না আছে কিছু মাংস তো দিছে নামকা ওয়াস্তে।বিরিয়ানি খাচ্ছিলাম আর মনে হচ্ছে পোড়া কোনো কিছু খাচ্ছি🙂।কিন্তু কি করার সারাদিন রোজা খুদার ঠেলায় তারপরেও সবকিছু সবার করে দিয়েছি😴।আর যে বোরহানি দিছে নাই কোনো স্বাদ নাই কোনো ঝাল এর থেকে মনে হয় একটা কোক নেওয়া অনেক ভালো ছিল।তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে শরীরটা অনেকটাই নিস্তেজ মনে হচ্ছিল একটু শুয়ে পড়ি।তাই pahsei কমপ্লেক্স ছিল খোলামেলা একটা পরিবেশ ওখানে গিয়ে কিছুক্ষন বসলাম।যখন বের হতে যাবো তখন আবার দেখি সাগর ওরা সবাই মিলে আসছে শপিং করতে।সাথে দেখি ইব্রাহিম সংগ্রাম ভাই আরকি পুরা গ্যাং নিয়ে চলে আসছে ওরা।আবার ওদের সাথে কিছুক্ষণ ঘুরলাম ওদের একটা দোকানে গিয়ে বসে পছন্দ হয় তো দাম মেলে না এই নিয়ে গোটা মার্কেট ঘুরতেছে ওরা।আর আমার এমনিতে সারাদিন রোজা রাখা তার উপর দুপুরে খেলছি ক্রিকেট শরীর এমনিই দুর্বল।তাই ওদেরকে বলে আমি চলে আসি।তবে যাইহোক সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়ে ভালই লাগলো।
যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষে এরপর দেখা হবে অন্য কোনো দিন অন্যকোনো বিষয় নিয়ে।ততক্ষন পর্যন্ত সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি
আল্লাহ হাফেজ🌿
আমার পরিচয় :
প্রথমত আমি একজন বাঙালি।এবং দ্বিতীয় আমি একজন আমার বাংলা ব্লগ এর নিবেদিত সৈনিক।আপাতত এতটুকুই অর্জন করতে পেরেছি। তারপরেও যদি বলতে হয় আমি একজন ছাত্র এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে সবার কাছ থেকেই শিখছি।সেই সাথে আমি স্বাধীন চেতা ভাবুক শ্রেণীর একজন ব্যাক্তি।নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে ব্লগে প্রকাশ করার এক অনন্য প্লাটফর্ম পেয়ে আজ আমি গর্বিত।সবসময় নিজেকে আবিষ্কার করি ভিন্ন এক রূপে আর নিজের আবিষ্কার গুলো প্রকাশ করি আপনাদের সামনে।
দুই ভাই মিলে বুঝা যাচ্ছে ভালো একটি সময় পার করছেন, আসলে ঘুরাঘুরি করলে অনেক ভালো লাগে, কিছু সময়ের জন্য অনেক শান্তি। ঘুরাঘুরির শেষে খানাপিনার আয়োজনে ছিল এটা দেখে ভালো লাগল।ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য, শুভ কামনা রইল
হুম ভাই কিন্তু পকেট থেকে টাকাও খসে খুব🤭।যদিও টাকা কোনো বিষয় না।উপভোগ করা টাই উদ্দেশ্য।যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সবাই মিলে ইফতারের আয়োজন করার সুন্দর একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার পর ব্যর্থ হয়েছেন জেনে খুব খারাপ লাগলো। সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য এরকম সুন্দর মুহুর্ত কাটানোর সুযোগ মানুষ কি জন্য মিস করে তা আমার বুঝে আসেনা। আপনার বন্ধুর মত ছোট ভাই হাবিবুর এর সঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমারও খারাপ লেগেছিল ভাই।কিন্তু কি আর করার।আসলে ভাই গ্রামের পোলাপাইন তো যতই টাকা থাকুক একটু কিপটে হয়।আর ও আসলেই আমার বন্ধু মত😍
বিরিয়ানীর গন্ধে পোস্টটি ভিজিট করতে চলে এলাম। তবে বিরিয়ানি খেতে তেমন ভালো হয়নি জেনে খারাপ লাগলো। পার্বতীপুর জংশন মানে আমার কাছে অনেক পছন্দের একটি জায়গা।
যাক ভালোই ঘুরেছেন আর খাওয়া দাওয়া করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
ভাই কি বলবো যদি ভর পেট থাকতো তাহলে মনে হয় খেতেই পারতাম না সম্পূর্ণ বিরিয়ানি।না ছিল মাংস না ছিল বিরিয়ানির স্বাদ অনেকটা পেটের খুদায় খেয়ে ফেলেছি 🤭
আমরা সব সময় মজার মজার মুহূর্তগুলো দেখতে পছন্দ করি আর তাই আপনিও আপনার কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেল স্টেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড চিত্রটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন এটি।একসময় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্টেশন ছিল তবে এখন দুই নাম্বার।শুধু মাত্র অবহেলার কারণে আজকে এই অবস্থা।তবে এখন নতুন করে সংস্কার এর কাজ চলছে।
জায়গাটা বেশ পছন্দ হয়েছে।
দুই ভাই মিলে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত পার করেছেন। বিশেষ করে স্টেশনে ঘুরতে যাওয়ার মুহুর্তগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আর বিরানির কথা কি বলব এটার কথা শুনলেই তো খেতে মন চায়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।