📸 পুরনো কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফেলে আশা অতীতের স্মৃতিচারণ || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
today 05 April,2022
আজ ২২ই চৈত্র,১৪২৮ বঙ্গাব্দ
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
আসলে ফটোগ্রাফি তোলা বা করা মানুষের একধরনের শখের মধ্যে অন্যতম।আর আজকের এই সময়ে এসে ডিজিটাল যুগে চাইলেই আমরা মুঠো ফোনের সাহায্যে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারি।আর ফটোগ্রাফি মানুষ সাধারণত দুইটি কারণে কারণে করে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু ভাব নেয়ার জন্য আর দ্বিতীয়ত নিজের সুন্দর সময়ের সেই মুহূর্তগুলো স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য। আমি মূলত দুই নাম্বার কারণটির জন্যই ফটোগ্রাফি করি। এবং আমার কাছে এমন কিছু ফটোগ্রাফি আছে যার ফটোগ্রাফি সে নিজেই জানে না হয়তো।তাই বছর কয়েক আগে আমার তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো,যেগুলো এর আগে কখনোই প্রকাশ করার মত কোন প্লাটফর্ম পাইনি।যাইহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার তোলা সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে চলেছি। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।আর হ্যা এই ফটোগ্রাফি গুলো যখন তুলেছিলাম আমার মোটেও ভালো লাগে নি কিন্তু কেনো জানি ড্রাইভে আপ দিয়ে রাখছিলাম আর আজকে যখন দেখছি দারুন একটা অনুভুতি হচ্ছিল।
📸ফটোগ্রাফি:০১📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
যতদূর মনে পড়ে এই ফটোগ্রাফি টি সম্ভবত বর্ষাকালের শেষের দিকের সময়ে তোলা। সারাদিন বৃষ্টির পর বিকেলের দিকে একটু খানি রোদের দেখা পাওয়া মেঘ গুলোকে তুলোর মত মনে হচ্ছে। আর আকাশের মেঘ ভর্তি ছিল না, চারদিকে শুধু এক টুকরো করে মেঘের রাজ্য ভাসছিল। অসম্ভব লাগছে আজকে এই ফটোটা দিতে, নিজেই নিজেকে বাহবা দিতে ইচ্ছে করছে এই ফটোগ্রাফি দেখে 😍। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০২📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
আপনাদের মনে আছে ২০২১ সালের শেষের দিকে একবার সূর্যগ্রহণ হয়েছিল।সেই সময়টা করোনার কারণে লকডাউন চলছিল, আর আমিও অবশ্য সেই সময় বাড়িতেই ছিলাম। কয়েকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল সূর্য গ্রহণ হবে। সেই সময় হঠাৎ করেই সূর্যটা ঢাকা পরলো আর চারদিকে একটু অন্ধকার হয়ে গেছিল। এবং একটু পর সূর্যটা যখন দেখা যায় তীব্র আলো ছিল, সেই সময় আমি আমার মুঠোফোন নিয়ে সেই মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছি। আর সেটাই আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০৩📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
কালবৈশাখী ঝড় তো সবাই দেখেছেন, তবে যারা গ্রামে থাকে তারা এই ঝড়টাকে বেশ কাছে থেকে অবলক্ষণ করে। হঠাৎ দেখবেন ভালো আবহাওয়া দুম করে কালো মেঘে ঢেকে যাবে। আজ শুরু হবে সেই কাল বৈশাখের প্রলয় তান্ডব। ওই সময়টায় অবশ্য জমিতে ধান কেবল বের হয়। আমিও গিয়েছিলাম ওই সময় নিজের জমি দেখতে, আর হঠাৎ করেই এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে যায়। আর আমার কেন জানি মনে হয়েছিল একটা ছবি তুলে রাখি। আর সেটি আজকে আপনাদের দেখাচ্ছি। আর এটি হলো কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্ব মুহূর্ত। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০৪📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
চাঁদের ভরা যৌবন অর্থাৎ জ্যোৎস্নারাত। চারদিকে মৃদু বাতাস বইছে আর আমি মাঠের মধ্যে বসে মোবাইল চাপছি। আর চারদিকে চাঁদের সেই মিষ্টি আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছে। আর এই মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক উপভোগ করার মতো। ব্যাস কি আর করার থাকে ছিল মুঠোফোন তুলে ফেললাম একখানা ছবি। যদি অতদুর থেকে জুম করা সম্ভব হয়নি কারণ জুম করলে ছবিটি হয়তো ফেটে যেত। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০৫📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
আপনি যদি একজন গ্রামের ছেলে হন আর কখনো এভাবে মাছ মারতে জানেন তাহলে আপনি গ্রামে থাকার মজা কখনো উপভোগই করেননি। আমি অবশ্য মাছ থেকে মোটেও পছন্দ করিনা, আর এদিকে আমাদের অনেক বড় পুকুর ও আছে সেখানে মাছের অভাব নেই।তার জন্য আম্মু এগুলোতে কখনোই যেতে দিত।কিন্তু আমি হলার দুরন্ত এগুলে বলে কি আর আমাকে আটকানো সম্ভব। আর আব্বু ও কিছু বলতো না আব্বু বলতো আরে এই বয়সে করবে না 😍। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমাকে আমার সহপাঠীরা মাছ মারার সাথে সহযোগী হিসেবে নিতে চাইতো না,আমি গেলে নাকি মাছ পাওয়া যায় না।কিন্তু বেশ পানি তাঁর দায়িত্ব কাধে নিয়ে তারপরেও জোর করে যেতাম আমি এভাবে মাছ ধরতে।ঐযে কালো গেঞ্জি পরা জে ছেলেটিকে দেখতে পারছেন অটিয় আমি। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০৬📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
এটি হচ্ছে আমার ক্রিকেট দল আর আমি হলাম এই দলের ক্যাপ্টেন।আসলে যখন করণার প্রচন্ড দাপট শুরু হলো চারদিকে লকডাউন তো ওই সময় আমরা সবাই বাসায় বসে বোর হয়ে যাচ্ছিলাম। আবার বাইরের কোন দলের সাথে খেলতে পারছিলাম না কারন নিষেধ ছিল। আমি আবার সেই সময় একটি প্ল্যান করলাম, আমাদের গ্রামেই তো অনেকগুলো প্লেয়ার আমরাই সবাই মিলে কয়েকটি দল ভাগ করে একটি টুর্নামেন্ট খেলি। তাতে আমাদের ভালো লাগবে আর অবসর সময়গুলো খুব ভালো ভাবে কাটবে। আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল যেন পোলাপাইন গুলো মোবাইল আর ভিডিও গেমসে আসক্ত হয়ে না পড়ে, কারণ ওই সময় পড়াশোনা এবং স্কুল-কলেজ সবকিছুই বন্ধ। তো আমরা যে টুনামেন্ট আয়োজন করেছিলাম সেটির নাম ছিল "COVID-19" আর আমার দলের নাম ছিল "করোনা" বাকি দুটি দলের নাম হলো "হান্ডওয়াশ এবং মাস্ক" 🤣। |
---|
📸ফটোগ্রাফি:০৭📸
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
এই ব্যাটা বাটপার হইল আমার চাচাতো ভাই🤣।সবসময় আমার সাথে খালি ঝগড়া ওর।আর বাসায় গিয়ে আম্মুর যাচ্ছে খালি নালিশ আমি নাকি ওরে ধরে মারি খালি।আর এই ছবি তোলার জন্য আমার কাছ থেকে দশ টাকা নিয়েছিল।ওর দাত গুলো পড়ে গিয়েছে মাটিতে উষ্ঠা খেয়ে পড়ে, আর এজন্য আমি তাকে খেপাতাম ফোকলা ফোকলা বলে। তাই সে ছবি তুলতে চাইলে বলে 10 টাকা লাগবে, পড়ে অবশ্য ওই দশ টাকা দেই নাই ওকে,কিন্তু আব্বুর কাছ থেকে গিয়ে ২০ টাকা আদায় করছে । |
---|
অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে চাঁদনী রাতের ছবি গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছিল। এছাড়াও বর্ষাকালের প্রথম ছবিটি দেখতে অনেক ভালো লাগতেছে। শেষের ছবিটি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।🖤
আপনি সূর্য গ্রহণের ক্যাপচার সুন্দরভাবে করেছেন। তবে সূর্য গ্রহণের সময় আগের কার সময়ের মানুষ মসজিদে চলে যেত। আল্লাহ আমাদেরকে নতুন আরো একটি বছর দিয়েছে এজন্য শুকরিয়া আদায় করি। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন,
প্রথম ফটোগ্রাফি টা অসাধারন হয়েছে। তবে সাত নম্বর ফটোগ্রাফি টা দেখে অনেক হাসি পেয়েছে। ছোট বাচ্চাটি কে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। তার সাথে আপনাকেও। অনেক সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ছবিগুলো সম্পর্কে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঐটা আমার ভাই ছিলো☺️
আপনার অতীতের স্মৃতি বিজড়িত কিছু দৃশ্য পটভূমির ফটোগ্রাফি সত্যিই আমার ভালো লেগেছে। আসলে এরকম স্মৃতিবিজড়িত বিষয় সবার জীবনে কমবেশি রয়েছে যেটা কখনো ভুলবার নয় ।আমার কাছে ভালো লাগে অতীতের বিষয়গুলো সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও
পুরনো কিছু ফটোগ্রাফিতে আপনি ফেলে আসা সেই স্মৃতিগুলো মনে করেছেন আমিও মাঝে মাঝে ফোনের গ্যালারি চেক করে পুরনো দিনের সেই ফটোগুলো দেখি আর মনে মনে হাসি, পুরনো সেই দিনগুলো কতইনা সুন্দর ছিল এই ভেবে ভেবে একটা সময় নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়ি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই ফিল টা অবশ্য বেশ ভালই😍
৫ নাম্বার ফটোটি আমার ছোট বেলার অতীতের সাথে সম্পৃক্ত। এভাবে কত মাছ ধরছি ছোটবেলার স্মৃতি গুলো এখনো অনেক মিস করি। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো আমার অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর স্মৃতিময় লেখেগুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই একটা আনন্দ পাওয়া যায় কিন্তু😍
ভাই আপনার মত আমিও পুরনো স্মৃতি গুলোকে ধরে রাখার জন্য ফটোগ্রাফি করি, আর ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক বড় একটি শখ।
যাইহোক আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাঝে মাঝে ফোনের গ্যালারি বা ল্যাপটপের প্রোফাইল গুলোতে ঢুকলে অনেক ছবি দেখতে পাই যে গুলো দেখলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় । আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনার পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন আমাদের মাঝে । শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ভাই🖤
আসলে ভাই আমাদের জীবনে অনেক মুহূর্ত ক্যামেরার মাঝে বন্দি হয়ে রয়ে যায়। পরবর্তীতে এই গুলো দেখে শুধু আফসোস হয় যদি ঐ সময় আবার ফিরে যাওয়া যায়। জীবনের পাতায় অনেক স্মৃতি রয়ে যায় যেগুলো মাঝে আবার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।🖤
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বিশেষ করে রাতের বেলায় চাঁদের সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই🖤