অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঘরে ফেরা || 10% for @shy-fox
11-12-2021
২৬ অগ্রহায়ণ,১৪২৮ বঙ্গাব্দ
শুভেচ্ছা স্বাগতম
সম্মানিত আমার বাংলা ব্লগ বাসি সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন সুস্থ আছেন ও নিরাপদে আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও ভালোই আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আপনাদের সামনে আমি আমার আরেক নতুন ব্লগ পোস্ট নিয়ে হাজির।
যখন বাসার বাইরে থাকি তখন বাসায় আসার জন্য মনটা যেন শুধু ছটফট করে। আর যেন কিছুতেই বাইরে থাকতে চায় না আর এদিকে অপেক্ষার প্রহরও শেষ হতে চায় না।কি যে একটা অবস্থা কিন্তু উপায়ন্তর না থাকায় দ্বিতীয় কোন অপশন না থাকায় বাধ্য হয়েই থাকতে হয় কারণ আমরা ছাত্র। সেই অপেক্ষার গল্পটি আজকে আপনাদের শোনাবো।
image source
অবশেষে যেনো সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।আসলে আমি একজন ছাত্র এবং আমি পড়াশুনা করি দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে এবং আমার বাসা হচ্ছে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায়।পড়াশুনার খাতিরে আমাকে দিনাজপুরে থাকতে হয়।আমার বাসা থেকে দিনাজপুর এর দূরত্ব প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার হবে।দিনাজপুরে আমি সাধারনত একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকি।সচারাচর আমি মাসে দুই থেকে তিনবার কমপক্ষে একবার হলেও বাসা যাই কারণ আমাকে লাগাতার এতদিন মেসে থাকা একদম বোরিং লাগে তাই বাসায় যাই এবং বাসায় গেলে সবার সাথে দেখা হলে অনেকটাই একঘেয়েমি কেটে যায়।কিন্তু এবার একটু ভিন্ন কিছু ঘটেছে আমার সাথে।কারণ দীর্ঘ দুই মাস সতেরো দিন হয় আমি বাসায় যাই নি।আর যার কারণে মনটা বাসায় যাওয়ার জন্য কেমন জেনো আনচান করছে। আর বাসায় না যাওয়ার মূল ও প্রধান কারণ ছিল আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আর আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দীর্ঘ এক মাস ধরে চলছে। সেটা চললে ঠিক আছে কিন্তু তার ফাঁকে আবার আর এক মাস ধরে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা যেটা সবচেয়ে বোরিং ছিল। ইচ্ছে করছিল নাহ আর পরীক্ষাগুলো না দিই। মনে হচ্ছিল সবকিছু এরকমই রেখে চলে যাই বাসায়। কিন্তু কি আর করার যে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যেই বাইরে থাকা হয় সেটাই যদি সম্পূর্ণ করে না যাই তাহলে কেমন হয়। এদিকে মন বাসায় যাওয়ার জন্য আকুল আর পরীক্ষা টাও যেন শেষ হতে চাচ্ছে না।একেকটি দিন যেন একেকটি বছরের মতো। কিন্তু অবশেষে আজকে সবগুলো পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল এবং আলহামদুলিল্লাহ সবগুলো পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু একটি দুঃখের কথা পরীক্ষা শেষের অনুভূতিগুলো ছিল যেমন আনন্দে মুখরিত ঠিক তেমনি খারাপ ও লাগছিল। কারণ প্রিয় ক্যাম্পাস কে ছেড়ে এতদিন বাসায় গিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরে সরে যাওয়া কেমন যেন একটি লাগছিল।কিন্তু কি আর করার যেতে তো হবেই বাসায় অনেক দিন থেকে যাওয়া হয়নি তাই রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। |
---|
image source
আমি বাসায় যাওয়ার জন্য সাধারণত রেল যোগাযোগ কেই বেশি পছন্দ করি। আমি ও আমার আরেকটি ফ্রেন্ড রুহুল দুইজন মিলেই দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। 2:30 মিনিটে একটি ট্রেন আছে যেটি পার্বতীপুরে যাবে। আমরা ঠিক দুইটার সময় স্টেশনে গিয়ে পৌঁছলাম কারণ একটু আগে যাওয়াই ভালো। এবং ঠিক 2:25 মিনিটে ট্রেন আসলো এবং আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। |
---|
image source
দিনাজপুর থেকে আমাদের পার্বতীপুর পৌছাইতে সময় লেগেছিল আধা ঘন্টার মত।কারণ আমরা যে ট্রেন টিতে এসেছি সেটা ছিল এক্সপ্রেস ট্রেন বড়ো কোনো স্টেশন ছাড়া সব স্টেশন এ স্টপেজ দেয় না।তাই আমাদের পার্বতীপুর পৌছাইতে বেশি সময় লাগে নি।এরপর সেখানে আমার ফ্ল্যাটের ছোট ভাই @md-ashik এর সাথে দেখা করার কথা ছিল।কারণ তার রুমের চাবি সে ভুলে বাসায় রেখে এসেছিল।এবং ওর কাছে আমার একটি হেডফোন ছিলো যেটা ও ভুল করে নিয়ে এসেছিল।তারপর ওর সাথে দেখা সাক্ষাৎ শেষে আমি ও আমার ফ্রেন্ড রুহুল খেতে চলে যাই কারণ আমরা সারাদিন কিছু খাইতে পারি নাই কারন পরীক্ষা আর ট্রেন ধরার তাড়াহুড়োয় সময় এই পাই নাই।এর পর খাওয়া দাওয়া শেষ করে অটোরিকশায় চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে চললাম।ফিরে এলাম চেনা সেই ধুলোবালি মাখা আমার ছোট্ট গ্রামে।এই ধুলোবালির মধ্যেও যেথা বুকে ফুলে নিঃশ্বাস নিতে পারি আমি |
---|
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে।