কিসের আশায় এতটা পথ দূরে পড়ে আছি......
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
কিসের আশায় এতটা পথ দূরে পড়ে আছি ঠিক নিজেও মাঝে মধ্যে বুঝে উঠতে পারি না।মাঝে মধ্যে ফিকে মনে হয় সবকিছু,মনে হয় সব নেকামো আর ভাড়ে ভরা অভিনয় ছাড়া কিছুই নয়।যাইহোক বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছি প্রায় এক মাস হতে চললো কিন্তু এর মাঝে একবারও বাড়ি যাওয়ার জন্য মনের টান অনুভব করি নাই।পাশে বন্ধুরা ছিল আর বাপের পাঠানো টাকা,ভুলেই গেছিলাম মায়ের হাতের রান্না আর মেঠোপথের ওই অজপাড়া গ্রামটাকে।বার বার মনে করেছি এইতো এখানে আমার বাড়ি চাইলেই তো যেতে পারছি আর আব্বু আম্মুর সাথে তো নিয়মিত কথা হচ্ছেই এই নিয়ে এত পেরা নেওয়ার কিছু নাই।কিন্তু হটাৎ করেই এই শান্ত মনটা অশান্ত হয়ে উঠেছে। বার বার এই ইট পাথরের নিগ্রপলিস ছেড়ে যেতে চাইছে সেই শান্ত নিবিড় পথে হেঁটে মায়ের ওই আঁচলে।এর আগে বোধয় এমনটা কখনো হয় নি।বাসার পাশেই মেস যদিও একটু দূরে,কিন্তু চাইলেই চলে যেতাম বাসায়।মনেই হতো না মায়ের কাছ থেকে দূরে আছি।
যাইহোক দিন দুই থেকে প্রচন্ড জরে ভুগছি শরীরের তাপমাত্রা 100 ছুঁই ছুঁই।পুরো শরীর জ্বরের তাণ্ডবে কাপছে আর চোখ দিয়ে ঠিকরে পড়ছে আগুনের লাভা।মধ্যরাতে জ্বরের প্রখরতায় কাতরাচ্ছি কিন্তু পাশ থেকে উঠে এসে কেউ কম্বলটা গায়ে জড়িয়ে দিলো না।অথচ কারো একজনের ঘুমের ডিস্টার্ব হচ্ছে বলে ঝাড়ি মেরে বললো ঘুমাইতে দেতো বাল,আবার পাশে একজন তখনও কানে হেডফোন গুঁজে ফোন চাপছে কিন্তু কেউ একজনও সহানুভূতি দেখালো না।অথচ আমরা ওই এক রুমে থাকি চারজন।যাইহোক সেদিন ওভাবেই রাত পার করে দিলাম,সকালে উঠে দেখি অবস্থা আরো বেগতিক। কাউকে আর তেমন কিছুই বললাম না।অমনেই উঠে গেলাম ডাক্তার এর কাছে,এসে আবার ওদেরকে কিছু বুঝতেও দিলাম না।ওদের সাথে এসে রান্নাতেও সাহায্য করলাম।কেউ একবার জিজ্ঞেস ও করলো না তোর কি কোনো সমস্যা।যাইহোক কারো কাছে কোনো প্রত্যাশাও নাই এই জন্যে এই নিয়ে কোনো আক্ষেপ ও নাই।খাওয়া দাওয়া শেষে ওষুধ খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম।শুয়ে শুয়ে তখন শুধু নিজেরে একা মনে করছিলাম।চারপাশে এত মানুষজনের ভিড়েও নিজেকে একা মনে হচ্ছিল বারবার।মনে হচ্ছিল এই সময় যদি আমার গ্রামে থাকতাম,তবে পুবের হওয়ায় জরটাও বোধয় এতক্ষনে চলে যেত।এতক্ষনে আম্মু আমার উপর চিল্লায় বলতো "আরো টো টো করে ঘুরে ক্রিকেট খেল,দুপুরের খাবার খাস রাতে তাইলে তোর জর হবে না।আব্বু আবার গায়ে হাত দিয়ে দেখে ওষুধের বাক্স থেকে কিছু ওষুধ দিয়ে বলতো সকালের নাস্তা সেরে তাড়াতাড়ি খা।আবার আম্মু এক গ্লাস দুধ নিয়ে এসে বলতো দুপুরে কি খাবি।আর রাত হলে আম্মু একবার এসে দেখে যেত আমার গায়ে কাথাটা ঠিক আছে কি না।আব্বু আবার আরেকবার এসে গায়ে হাত বুলিয়ে দেখতো জর কমেছে কি না।”
যাইহোক "বাবা-মা" তো "বাবা-মা" তাদের তুলনা যদি আর কারো সাথে হতো তবে মা আর বাবা কথাটার তাৎপর্য বোধয় অনেকটাই কমে যেত।খুব করে মনে চাইছে বাড়িতে যাই গিয়ে মায়ের হাতের রান্না খেয়ে পাড়ার ছেলেদের সাথে একটু ক্রিকেট খেলে আসি।যাইহোক এ যাত্রায় ভাগ্য সহায় হবে তাই এসব নিয়ে ভেবেও লাভ নাই।এখন শত মন খারাপ নিয়েও এগিয়ে যেতে হবে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে কারণ পিছনে তাকানোর সুযোগ নেই।
ভাইয়া এটাই তো আমাদের জীবন। আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে চলে গিয়েছি চাইলেই হারিয়ে যাওয়া সেই সময় আর খুজে পাবনা। আমারও আজ দু'দিন ধরে প্রচন্ড জ্বর আর এই সময় আপনার মতো আমারও মায়ের কথা খুব মনে পড়ছিল কিন্তু কিছুই করার নেই। আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় সেই ছোটবেলার জগতে যদি ফিরে যেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো। আপনার সুস্থ কামনা করছি।সত্যি ভাইয়া বাবা-মার সাথে কারো তুলনা হয়না। ধন্যবাদ আপনার মনের কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আসলেই আপু সময়ের সাথে সবকিছুই কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে যায় আর এটাকেই বোধহয় বিবর্তন বলে। দোয়া করি তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হন এবং স্বমহিমায় উজ্জীবিত হন নিজের চেতনায়।
বাবা মা তো বাবা মা ই হন।তাদের জায়গা কেউ কখনো নিতে পারবে না।আর আপনার বন্ধুরা যে কেমন সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।বন্ধু অসুস্থ তার খোজ টাও নিল না,সেবা তো দূরের কথা।প্রার্থনা করি যেন আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আসলে ব্যাপারটা কি হয়েছে জানেন তো আমিও ওদের ঠিক তেমন করে বুঝতে দেইনি। আর বন্ধুবান্ধবরা তো কেমন হয় সেটা তো মনে হয় জানিনি সব সময় হাসি ঠাট্টা সিরিয়াস কিছু হইলে ওরাও সেটা নিয়ে মজা তামাশা বানিয়ে ছাড়ে। তবে এক্সপেক্ট করতে ছিলাম যে ওরা আমাকে বুঝুক কিন্তু তেমন কিছু মোটেও হয়নি। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনিও ভালো থাকেন সব সময়।
আসলে বাবা মার মত কেউই হয় না। অসুস্থ হলে মনে হয় যেন কোন ওষুধ লাগতো না যদি মায়ের সেবা পেতাম। মনে হয় ওটাই বেশি প্রয়োজন অসুস্থতার সময়। যাইহোক অসুস্থ হলে সবাই সবার মাকে খুব বেশি মিস করে। আপনার জন্য অনেক অনেক সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া।
আমার মনের কথাটাই আপনি বলেছেন। আসলে সব সময় সব জায়গায় সব ওষুধে কাজ হয় না। আমারও তাই মনে হচ্ছে মায়ের হাতের রান্না খেলে বোধয় এতদিনে ভালো হয়ে যেতাম।
আসলে ভাইয়া বাবা-মার কাছে থাকলে অতটা বুঝা যায় না বাবা মা আমাদের জন্য কতটা করে। এতদিন বুঝতে পারেননি আর এখন মা বাবার কাছ থেকে দূরে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন আসলেই বাবা-মা আমাদের কতটা খেয়াল রাখে। যাইহোক ভাইয়া পর তো পরে পর কখনো আপন হয় না। এজন্যই আপনার পাশে থাকা বন্ধুরা আপনার অসুস্থতার কথা বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান ধরে থাকে। এটাই আসলে পৃথিবীর নিয়ম এই জন্যই তো বাবা মার সাথে কাউকে তুলনা করা যায় না। আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভালো থাকবেন সব সময়।
বুঝতে পারিনি বললে ভুল হবে। আসলে মা বাবা সব সময় পাশেই ছিল তো তাই তাদের কখনো এতটা বেশি মিস করিনি,এখন যতটা করছি।আর কারো কাছ থেকে তেমন কোন প্রত্যাশাও নেই তাই এই নিয়ে কোন মন খারাপও নেই।
মা বাবা তো মা বাবা , পৃথিবীর কোন কিছুর সাথে বাবা মার তুলনা হয় না। আপনার পাশে যে সকল বন্ধু রয়েছে, এধরণের বন্ধু থাকার চেয়ে না থাকা উত্তম। সত্যি ভাইয়া অসুস্থ হলে বুঝা যায় বাবা মা কি জিনিস। যাইহোক আপনি তারা তাড়ি সুস্হ হয়ে উঠবেন এই কামনা করি।
আরে না না বন্ধু-বান্ধবও খুব দরকারী জিনিস সময় হলে অবশ্য টের পাওয়া যায়। আসলে আমিও একটু ব্যতিক্রম টাইপ তো সহজেই সবকিছু সবাইকে বুঝতে দিই না।
পৃথিবীতে বাবা মায়ের সমকক্ষ কেউ হতে পারেনা। আমরা যখন বাবা মায়ের ছত্রছায়ায় থাকি তখন তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা, কিন্তু যখন তাদের থেকে অনেক দূরে যাই তখন তাদের অভাব অনুভব করি। আশেপাশের মানুষ সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত কার সময় আছে যে আপনি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন সেটা দেখার, আপনি জ্বরে কাতরাচ্ছেন অথচ পাশের জনের ঘুমের ব্যঘাত ঘটেছে বলে খারাপ ভাষায় গালি দিতেও তার একটুও দ্বিধাবোধ হলো না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মায়ের কাছে ফিরে যান এবং কয়টা দিন তার ক'টাদিন থেকে আসেন তাহলে দেখবেন শরীর মন সব ঠিক হয়ে গেছে। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
আসলেই আপু এটাই বোধহয় জীবনচক্র। সবাই সবার গতিপথে অলসহীন ভাবে ছুটে চলছে কে ধারে কার ধার। যাই হোক দোয়া করবেন আপু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়, আর আপনার পরিবারের জন্যেও অনেক দোয়া রইল।
এটা সত্য স্বার্থের জন্য সবাই ঘুরঘুর করে সে যত বড় বন্ধুই হোক না কেন। আর স্বার্থ ফুরালে আপনার খোঁজ নিয়ে দেখার সময় নেই কারো। তবে জীবনে এখনো অনেক কিছু শিখছি এবং শিখে যাচ্ছি হয়তো এভাবেই শিখে যাব আর ঠকে যাবো।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে পোস্টটি পড়ে খুবই ইমোশনাল হয়ে গেলাম। আসলে আমাদের জীবন এমন ই আমাদেরকে অনেক দূর দূরান্তে পাড়ি দিতে হয়। তখনই পরিবার পরিজনের কাছে ফিরে আসতে বার বার মন চায় মায়ের হাতে রান্না খেতে খুব ইচ্ছে করে। মায়ের সাথে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই অনুভব করা যায়। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই ভাই মা আর বাবা যে কি জিনিস কেবল তাদের থেকে দূরে গেলেই বোঝা যায়। মা আর বাবা যে ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখে সেটা এখন বুঝতে পারি।
আসলে আমরা সবাই এমন টাকা আর কিছু বন্ধু থাকলে অনেক কিছু ভুলে যাই ৷ মা বাবার মতো আপন কেউ হয়না ৷ টাকা যতক্ষণ থাকবে মানুষের ভালোবাসা ততক্ষণ থাকবে ৷ আর মা বাবার ভালোবাসা অজীবন ৷ জ্বরে ভুগছেন অথচ পাশের বন্ধু গুলোর খবর নাই ৷ যাই হোক আপনার সুস্থতা কামনা করছি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আর এটাই তো নিয়ম এটাই তো বাস্তবতা। সবাই সব কিছু ভুলে যায় আবার একটা সময় পর সেই পুরনো কথাগুলোই মনে পড়ে যায়। যাইহোক কে খবর নিলো আর না নিল সেটা এখন আর মুখ্য বিষয় নয় এখন সুস্থ আছি এটাই বড়ো কথা,ভালো থাকবেন🙏।