ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
পৃথিবীতে বাবাকে ভালোবাসেন এমন সন্তান মনে হয় খুঁজে পাওয়া ভার।বাবার প্রতি যদি হাজারো মান অভিমান ক্ষোভ থাকে তারপরেও হৃদয়ের এক কোনে বাবার প্রতি ভালোবাসাটা থাকবেই থাকবে।এই দুনিয়া বুঝে উঠার আগেই যারা বাবাকে হারিয়েছে তারা বুঝে দুনিয়ার এই বাস্তবতাটা কতটা নির্মম।বাবা শুধু একজন মানুষ নন প্রতিটি সন্তানের জন্য তিনি সুপার হিরো।বাবা ডাকটা শুধু একটা শব্দ নয় এটা একটা মধুর বাণী।আগে শুধু বাবাকে বাবা ডাকতাম তিনি আমার জন্মদাতা বলে।তখন বাবা ডাকে এতটা প্রশান্তি ছিল না,এখন যখন বাবাকে ডাকি তখন হৃদয়টা শান্ত হয়ে যায়।যাইহোক আজকের বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল সন্তানের বাবাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।আর হা বাবাকে ভালোবাসার জন্য কোনো বিশেষ দিনের প্রয়জন নেই।বাবার জন্য ভালোবাসার প্রতিটি দিনই স্পেশাল।যাইহোক আজকের এই বাবা দিবসে আমার বাবার জন্যে আমার মনের গভীরের লুকাইত ভালোবাসা গুলো আমার বাবাকে উৎসর্গ করলাম।জানি উনি দেখবে না,তারপরেও লিখলাম কারণ বাবাকে প্রচন্ড ভালবাসিত।
এইতো কিছুদিন আগের কথা তখন ও ছোট ছিলাম।দেখতে দেখেতেই বাবা মায়ের আদর ভালোবাসা আর শাসনে বড়ো হয়ে গেলাম।আমি সেই ছোটবেলা থেকেই গ্রামেই বড়ো হয়েছি।তাই বলা চলে দুরন্তপনা আমার রন্ধে রন্ধে।কিন্তু সমস্যা হলো আমার পরিবার নিয়ে।আমাদের পরিবার এর লোকজন ছিল আবার একটু সচেতন বা শিক্ষিত টাইপ আরকি।ওদের চাওয়া পাওয়া আমি যেনো গ্রামের বখাটে সবার সাথে না মিশি।আমি নাকি তাদের থেকে আলাদা।বেশ চর্চা চলত এইসব নিয়মকানুন।আমার মা তো কিছু বলত না,কিন্তু আমার বাবা ভীষণ রাগী।বাবার একটা ধমকে একদম চুরমার হয়ে জাই।কিন্তু আমি তো গ্রামেই বড়ো হয়েছি,যেখানে আমার সহপাঠীদের দেখি দাঙ্গুলি নিয়ে দৌড় যেতে সেখানে আমি কিভাবে ঠিক থাকি।আমি তাদের সাথে সবই করেছি কিন্তু চুপ করে।আর এইসব এর জন্য কত যে মার খেয়েছি বাবার কাছে।আর বাবাকে এতই ভয় করতাম যে,এবং এখনও করি কিন্তু কখনো বাবাকে নিজ মুখে বলার সাহস হয় নি। যা কিছু দরকার সব আম্মুর কাছেই বলতাম আর আম্মু আব্বুর কাছে গিয়ে।এভাবেই চলছিল দিনকাল।ধীরে ধীরে যতবড় হচ্ছিলাম বাবার শাসন একটু কম হচ্ছিল।কিন্তু বাবার সাথে কেমন জানি একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে হচ্ছিল।বাবাকে এতই ভয় করি যে বাবা যখন খাইতে বসে তখন ভয়ে বাবার সাথে বসে খাইতে পারি না।কারণ ও ছিল অবশ্য সবসময় কিছু না কিছু একটা বলত।কখনো বলতো পড়াশুনা ভালো না লাগলে এখন থেকে বাড়ির হল ধর,আবার এর ছেলে ওর ছেলের সাথে তুলনা দিত আরো অনেক কিছু।এবং স্কুল কেরিয়ার টা শেষের দিকে গিয়ে একপ্রকার অসহনীয় হয়ে গেছিলো।যদিও বুঝতাম আমার ভালোর জন্যেই এগুলা বলে কিন্তু তাও বিরক্ত লাগতো।আসলে একটা বয়স আছে না যখন যেকোনো ভালো উপদেশ তিতা লাগে,আর নিজেকে মনে হয় সর্বজানতা আসলে আমিও ওই অবস্থায় ছিলাম।
আর এইসব থেকে ছুটকারা পেতে মনে মনে ভাবতাম মাধ্যমিকটা পাশ করলেই বাইরে পড়াশুনা করার জন্য পারি জমাবো। তাই মাধ্যমিক পাশ করার পরই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হলাম।প্রথম যেদিন মেসে আসি আমি খুব খুশি কারণ সব ঝুটঝামেলা শেষে একটা বিন্দাস সময় পার করবো।কিন্তু যেদিন আসি সেদিনও আসতে আসতে বাবার বকা খেয়েছি।কিন্তু যখন আমাকে রেখে বাবা আসতেছিল তখন আমার প্রতি বাবার ভালোবাসাটা আমি অনুভব করেছি।ওইসময় বাবা আমায় বলেছিল বাবা সাবধানে থাকিস আর তোর মার সাথে নিয়মিত কথা বলিস।একটাই ছেলেতো আমাকে ছেড়ে থাকার অভিজ্ঞতাটা নতুন ছিল তাদের কাছে।এভাবেই চলছিল দিন এভাবে প্রথম মাস শেষ হওয়ার পর এখন বাবার কাছে টাকা চাবো কেমনে বুঝতে পারছিলাম না।কারণ বাবার কাছে টাকা পাওয়ার সভাবটা কখনোই ছিল না। পরে আম্মুকে ফোন করে সেই মাসের টাকা চাইতে হইছিলো আমার।এরপর বাড়িতে যাই তখন আমি আর বাবা একসাথে বসে খাচ্ছিলাম।ওইসময় বাবা অনেকটা আক্ষেপ এর সুরে আম্মুকে বলছিলো ছেলেটার সাথে তো আর দুরত্ব তৈরি করে দিচ্ছ।এখন আমার কাছে টাকাও চায় না।আর ঠিক তখন আমিও একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম,আর তারপর থেকে বাবার সাথে একটু ফ্রি হয়ে চেষ্টা।আর এরপর থেকে যা কিছু দরকার সব বাবার কাছেই আবদার।আর বাবা হাসিমুখে সব পূরণ করে যাচ্ছে।তবে জীবনে একদিন বাবার সব দায়িত্বে কাধে নিয়ে বলবো বাবা আজকে থেকে আপনার ছুটি।যাইহোক বাবা ভালোবাসি আপনাকে,যদিও এইকথা আপনাকে কখনো বলা হয় নি তবে আপনি তো জানেন আপনাকে কতটা ভালোবাসি।
প্রথমে আপনাকে বাবা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
সকল বাবাদের প্রতি রইলো ব শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। বাবা দিবস সম্পর্কে চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমি কিন্তু এখনো বাবা হইতে পারি নাই😁
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বাবা-মায়ের জন্য সব দিনই বিশেষ ও ভালোবাসার আমাদের জন্য।দারুণ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।ভালো লাগলো পড়ে।আসলে বাবা-মাকে নিয়ে যতই লেখা হোক না কেন কম মনে হয় আমার কাছে।যাইহোক পৃথিবীর সকল মা -বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা অফুরন্ত থাকুক এই কামনা করি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম
বাবা মা যে কে,যখন তারা বিপদে পড়ে তখন এই বোঝা যায়।
বাবাকে ভালোবাসতে আসলেই কোন স্পেশাল দুন লাগে না।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।ভালো লাজলো আপনার লিখাগুলো।আমি ও বাবার বকাগুলো বড় হওয়ার পর অনেক মিস করি।ধন্যবাদ
হুমম যারা বাবা মাকে ভালোবাসে তাদের কাছে প্রত্যেকটা দিনই স্পেশাল।
আসলে ভাই বাবার ভালোবাসা ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন একটা বিষয়। কারণ যে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে না খেয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয় তার নাম হচ্ছে বাবা। তবে আমার খুব কষ্ট হয় মাঝে মাঝে, আমি যখন কর্মজীবনে আসলাম আমার উপার্জনের একটি টাকাও আমার বাবাকে দিতে পারেনি, কারণ বাবা চলে গেছেন ও পরপারে। এখন শুধু কষ্ট টাই বুকে বাসা বেঁধে আছে। দোয়া করি সুখে থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা। বাবা দিবস উপলক্ষে এতো সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনাকে কি বলবো ভাই 😢
শুধু দোয়া করি আপনার বাবার জন্য।ভালো থাকুক উনি ওপারে 🖤
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাবা কে ভালবাসতে কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না আমরা তো সবসময়ই আমাদের বাবাদের কে মন থেকে শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত বাবা আমাদের জন্য যা করেছে হাজার বার জন্ম গ্রহণ করলেও তার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া খুবই ভালো লাগলো পড়ে ভালো থাকবি থিবীর সকল বাবা
বাবা মায়ের ঋণ কখনো শোধ করার মতো না।
আপনার টাইটেল টা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি সকল বাবারা ভালো থাকুক। আর আপনার একটা কথায় আমি একদম একমত, বাবাকে ভালবাসতে কোন নির্দিষ্ট তারিখের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটা দিনই আমাদের জন্য স্পেশাল। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর লিখেছেন। এভাবে হয়তো আমি প্রকাশ করতে পারবো না।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।🖤
আসলে ঠিকই বলেছেন আমাদের বাবার প্রতি অনেক রাগ অভিমান থাকে কিন্তু দিনশেষে মনের কোনে বাবার জন্য একটা আলাদা ভালোবাসা থাকে। আর আপনি আরেকটি কথা একদম ঠিক বলেছেন ভাই বাবাকে ভালোবাসার আসলে কোন দিবস লাগে না তাকে সবসময় ভালোবাসা যায়। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা
জ্বি ভাই বাবা মানেই হাজারো খুশির কারণ।
কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। বাবা আমাদের জন্যে তার সর্বস্ব দিয়ে দেন। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা তা ভুলে যাই। এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আপনাদের লেখাগুলো যেন আমাদের দায়িত্ব কে মনে করিয়ে দেয়। নিজের দায়িত্ব কে একবার স্বরণে আনি। এরকম লেখার অপেক্ষায় থাকবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।