চাচা ভাতিজা মিলে বিরিয়ানি হাউজে🤪 || 10% for @shy-fox
আসসালমু আলাইকুম
সম্মানিত আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি আপনারা সকলেই সুস্থ আছেন ও নিরাপদে আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ভালবাসা জ্ঞাপন করে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
পরীক্ষা শেষে মেস থেকে বাসায় আসার অনেকদিন হলো।কিন্তু বাসায় এসে তেমন একটা ঘুরোঘুরি খেতে যাওয়া কিছুই হয়নি।তাই গতকাল আমার এক ছোটভাই বললো ভাই চলেন বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই।আমি বললাম এলাকায় আশেপাশে কোথায় আর ঘুরতে যাবা আগে থেকেই তো সব জায়গায় পরিচিত আমাদের। সে বললো ভাই চলেন সৈয়দপুর থেকে ঘুরে আসি তারও নাকি কিছু কেনাকাটা করার আছে।তাই আমি ভাবলাম তাহলে যাওয়াই যাক বাসায় আর কতই বসে থাকি গেলে একটু ভালই লাগবে।
image source
সেইদিন আবার ঠান্ডাও ছিল প্রচন্ড।সারাদিন রোদের দেখা নাই।তাই বিকেলের কিছু আগে আমি আমার ছোটভাই ও আমার একটি চাচা তিনজন মিলে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে।প্রহমেই বলে রাখি আমাদের কিন্তু খাওয়া দাওয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিলনা।যাত্রাপথে ছোটভাই বলতেছিল সৈয়দপুরে নাকি একটি হোটেল রয়েছে সেখানে খুব ভালো বিরিয়ানি পাওয়া যায়।আমি মজার চলে বললাম কেনো আজকে খাওয়াবা নাকি আমাদের। সে কিছু না বলে মৃদু একটা হাসি দিল।তার হাসির মানেটা ছিল এমন যেখানে বড়ো ভাই চাচা আছে সেখানে আমাকে খাওয়াতে হবে কেনো। ওহ বলে নেওয়া ভালো আমাদের বাসা থেকে সৈয়দপুর প্রায় বিশ কিলোমিটার পথ গল্পঃ করতে করতে সেখানে পৌছাইতে আমাদের প্রায় আধাঘণ্টা সময় এর মত লাগলো।এরপর ছোটভাই এর কেনাকাটা এর জন্য মার্কেটের ভিতরে গেলাম ওর যা প্রয়োজনীয় ছিলো সব কেনা শেষ করলো।আবার এদিকে আমাদের সাথে যে চাচা এসেছিল সে নাকি কিছুদিন আগে একটি প্যান্ট কিনেছিল সেটিতে নাকি তার সাইজ সমস্যা তাই সেটা এক্সচেঞ্জ করবে।তাই সেই দোকানে গিয়ে সেটি পাল্টিয়ে আরেকটি নিলাম।এরপর সেখানকার কাজ মোটামুটি শেষ।এরপর সবাই মিলে সেই হোটেল টার উদ্দেশ্যে চললাম।
image source
এরপর আমরা তিনজন মিলে হোটেল এর ভিতরে প্রবেশ করলাম।এবং একটি বিষয় যেটা ভালো লাগছে হোটেল এর ভিতরটা অতটা বড়ো না ছোট খাটো একটা জায়গা কিন্তু ভিতরের পরিবেশটা অনেক গোছানো পরিচ্ছন্ন।আমরা বেসিনে গিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিলাম।এরপর কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম কারণ এত ভিড় ছিলো জে কোনো টেবিল ফাঁকা ছিলো না। এরপর একজন সেখানে দায়িত্বরত কর্মচারী এসে আমাদেরকে একটি টেবিলে বসিয়ে দিল। আমি ওয়েটারকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম মামা আপনাদের এখানে মেনু নেই। উনি ভদ্রতার সাথে বলল না বাবা এখানে আমাদের মেনু নেই তবে আমি মুখে বলতেছি আপনাদের যেটা পছন্দ হয় আমি এনে দিচ্ছি। এরপর আমি সবাইকে বললাম যেহেতু ফাস্টফুড নেই এখানে তাহলে আর কি করা যায় চলেন বিরিয়ানিএই খাই।তাই খাসির মাংস দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার করলাম।
image source
কিন্তু বিরিয়ানিটা যখন দিয়ে গেল জাস্ট সিম্পল ছিল দেখতে মোটেও ডিলিসিয়াস ছিল না। সাধারণত কাচ্চি বিরিয়ানি যেমনটা হয় সেরকম ছিলো না শুধু পোলাও সাথে মাংস আর ডিম আর কিছুই ছিল না।কিন্তু মাংসের পরিমাণ যথেষ্ট ছিল।এরপর আমাদেরকে খাসির মাংসের ঝোল ও সালাদ দিয়ে গেলো।কিন্তু যখন খাওয়া শুরু করলাম বিরিয়ানিটা জাস্ট অসাধারণ ছিলো।এবং পরবর্তীতে আমরা আরো এক প্লেট করে নিয়েছিলাম।এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে খাওয়া দাওয়ার বিল আমাদের সাথে যে চাচ্চু এসেছিল উনিয় দেন।আমাদের তিনজনের মিলে মোট বিল হয়েছিল বারশত টাকা।এরপর খাওয়া দাওয়া শেষে বাইরে এসে গাড়ি নিয়ে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই ।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকবেন,নিরাপদে থাকবে আর নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।।
চাচা ভাতিজা সহ খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। হালকা ঘোরাফেরার মাঝে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা খুব সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন। 🖤
আপনি আপনার ভাতিজার সাথে সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন।আপনার মাধ্যমে আমরা আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারতেছি।খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই🖤
শুধু চাচা ভাতিজা গেলেন আমাদেরকে নিলেন না। বিরিয়ানি আমার খুবই পছন্দ। আমি প্রায় সময়ই বিরিয়ানি রান্না করে ফেলে খেতে ইচ্ছে করলে।আপনার বিরিয়ানি টা দেখে মুখে জল এসে গেছে। এত রাতে তো আর বাসা বানাতে পারবো না। ধন্যবাদ আপনাকে এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
জি আপু এবার গেলে নিশ্চয়ই আপনাকেও ডাকবো😍
চাচা ভাতিজা মিলে বিরানি হাউজ এর আগমন, আসলে সত্যি বলতে বাড়িতে অনেকদিন থাকলে একঘেয়েমিতা লাগে, কোথাও দূরে ঘুরে আসলে মনটাও ভালো লাগে। তাও যদি থাকে বন্ধু ও চাচা পাশে । চাচা আপন প্রাণ বাঁচা বিষয়টি এমন হয়নি ভেবেখুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।🖤😍
শীত যে খুব পড়েছে তা আপনাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে যত শীত পড়ুক বিরানির গন্ধে লোভ সামলানো দায়।সময় টি ভালোই কাটিয়েছেন । ধন্যবাদ ভালো থাকবেন
জি ভাই উত্তর অঞ্চলের লোক তো তাই ঠান্ডা টা একটু বেশিই অনুভব করি।😍
আপনারা চাচা ভাতিজা মিলে বিরানি হাউজ অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনাদের বিরিয়ানির ছবি দেখে জিভে জল এসে গেল। অনেকদিন হলো বিরিয়ানি খাইনা। খুব শীঘ্রই আমিও রেস্টুরেন্টে বিরিয়ানি খেতে যাব। আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন। আসলে আপন মানুষদের সাথে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। আপনার পোস্টের উপস্থাপনা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্লাটে মাংসের পিছ টা ভালোই বড় ছিলো। সুন্দর একটি মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ