স্মৃতিচারণ ||
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
পুরনো স্মৃতিগুলো সবসময় সুখকর হয়।আবার কোনো সময় মনটাও একটু খারাপ করে দেয়।আজকে পরীক্ষা ছিলো,পরীক্ষা দিয়ে এসে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে ঘুম।ঘুম থেকে উঠার পর সবকিছু কেমন যানি বোরিং লাগছিল।তো হটাৎ করে মোবাইল চাপতে নিজের ড্রাইভে একটু ঢুকলাম।তো ড্রাইভের ছবি গুলা দেখছিলাম আর ভালই লাগছিল।শুধু ভাবতেছিলাম আহা অতীতটা সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল।তো ছবি দেখতে দেখে হটাৎ একটা জায়গায় চোখটা থমকে গেলো মনটা একটু খারাপ ও হয়ে গেলো।যাইহোক ঘটনাটা বলি তাহলে।
এখানে যারা আছে সবাই আমার এলাকার ভাই ব্রাদার।বলতে গেলে আমার পুরো শৈশব কেটেছে তাদের সাথে তাই এক হিসেবে দেখতে গেলে ওরা বন্ধুও আমার তবে এদের মধ্যে একজন আবার আমাদের চাচা ও হয়।যদিওবা বয়সে আমাদের সমানি এবং বন্ধুর মতোই।তো সময়টা ছিলো 2020 সাল তখনকার সময়টা ছিলো ভরা বর্ষাকাল
চারদিকে শুধু থই থই পানি আর পুকুরে তো কানায় কানায় পানিতে পূর্ণ।তো একদিন আকাশ মেঘলা দেখে ভাবলাম আজকে কাদা আর বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলব।কিন্তু তখন বৃষ্টি আসে নাই।তো সবাই মিলে কাদায় ফুটবল খেলা শুরু করে দিলাম কিন্তু বৃষ্টিই আর আসলো না।তো ওই অবস্থায় খেলা শেষে দেখি একেক জনের অবস্থা কাদায় নাজেহাল।তো সবাই মিলে পুকুরে গেলাম গোসল করতে।আর এমনিতেও ওই সময়টা পুকুরে বেশিই গোসল করি।গোসল করতে গিয়ে আবার সেই চাচা উঠে গেলো কাঠাল গাছে।উঠে দেখে অনেকগুলো কাঠাল পাকছে।আর এই সংবাদ শুনে আমাদের আর পায় কে।গোসল পড়ে আগে কাঠাল খাও।আর ওই চাচা খালি একটার পর একটা পাকা কাঠাল নিচে দিচ্ছিল আর সবাই মিলে পেট পুজো করতেছিল।
তারপর কাঠাল খাওয়া শেষে একে একে ধিপ ধাপ করে লাফ পুকুরে।আর আমরা সেইদিন যারা ছিলাম তাদের কাছে সেইদিনটা মনে হয় সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।কারণ সেইদিন আমরা এত মজা করেছি যে পানিতে ভিজতে ভিজতে একেকজনের চোখ পুরা লাল হয়ে গেছিলো।সেদিন পানিতে কখনো ডুব দিয়ে লুকোচুরি আবার কখনো চর পুলিশ কখনো কারো কাধে চড়ে ডিগবাজি।আর সেদিন এলাকার এমন কেউই বাদ যাই নাই।সেইজন্য ব্যাপারগুলো একটু বেশি জোস ছিল।এই ছবিগুলো দেখলে সেদিনের দৃশ্যপট গুলো স্পষ্ট চোখের সামনে ভাসে।সেদিন একটা গেম ও ছিল।গেমটা ছিল এমন যে আগে সাঁতার কেটে আসতে পারবে তাকে পুরুস্কার দেওয়া হবে।আর সেই রেসে জিতেছিল সেই চাচা।কিন্তু তার পুরুস্কর নেওয়াটা আর হয়ে উঠে নি।ঠিক তার কয়দিন পর পুরস্কার না নিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। তার সাথে আমার অনেক স্মৃতি আছে তার মধ্যে এই স্মৃতিগুলোই শেষসম্বল হিসেবে রয়ে গেছে।এই ছবি গুলও দেখলে আমি আজও ছবির সেই মানুষটিকে ফিল করি।আমাদের মতই দেখতে ছিল সে একদম সহজ সরল একটা ছেলে।একসাথে কত ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি,কত ঝগড়া আবার একসাথে খেলেছি।আজ তার এই ছবিটা দেখলে কেবল তার কথাই মনে হয়।খালি ভাবি চোখের সামনে তাজা একটা প্রাণ কিভাবে ঝরে গেল।ওর মারা যাওয়ার ঠিক আগের দিনও রাতে ওর সাথে আমি গেম খেলছি।তবে যাইহোক আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন।
ফটোগ্রাফি | মোবাইল |
---|---|
অবস্থান | https://w3w.co/drainer.blackboard.motorboats |
আহা ভাই,এই দিনগুলো যদি বারবার ফিরে পাওয়া যেতো!দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন এই দিনগুলোর সাথে সম্পর্ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
আপনার লেখা পড়ে আমারো আগের কথা মনে হয়ে গেছে।ফুটবল খেলার পর সবাই মিলে এভাবে পুকুরে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করেছি।কতই না মধুর ছিল সেই দিনগুলো!!
খুব ভালো ছিল আপনার লেখা এবং ফটোগ্রাফি। শুভ কামনা রইলো 🥰
একদম ভাই। সময়ের ধারাবাহিকতায় সে আগের দিনগুলো কেবল অতীত হয়ে যাচ্ছে। তবে এটা ভেবে ভালো লাগে যে সেই দিনগুলোর কিছু অংশ মোবাইলের গ্যালারিতে এখনো স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে।
সত্যি কথা বলতে এমন আনন্দের দিন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না যতই দিন যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে আগের আনন্দ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আগে যেমন বন্ধুরা মিলে পানিতে হইহুল্য আড্ডা দিতাম গোল্লাছুট কাবাডি হাডুডু অনেক খেলাধুলা খেলতাম কিন্তু সেগুলো এখন আর দেখা যায় না এখন আধুনিক যুগের ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত তাই এই আনন্দগুলো মনে হচ্ছে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই গ্রামে থাকতে যে কত ধরনের খেলা খেলেছি তার কোন হিসেব নেই। সেই দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুর ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাঝে মাঝে আমি নিজেও যখন ড্রাইভে ফটোগ্রাফি গুলো দেখি। আমার অতীতের কথা গুলো মনে পড়ে যায়। এই সোনালী সময়গুলো আর কখনো ফিরে আসবে না। দারুণ ছিল সময়গুলো। ভালো লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ভালই লাগে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে। আসলে প্রযুক্তির বদৌলতে অনেক কিছুই এখন বন্দী করে রাখা যায়।
ভাইয়া আপনার মত আমার জীবনেও এমন অনেক সৃতি আছে। আমারা বৃষ্টি আসলে ফুটবল খেলতাম।কাঠাল দিয়ে,আম দিয়ে আবার খাসি দিয়েও ফুটবল খেলেছি। আপনি তো 2020 সালের সৃতি তুলে ধরলেন । ভালই লাগালো পড়ে। আমার সৃতি গুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে গঠনমূলক একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।