প্রথমবারের মত ইট পাথরের শহর “ঢাকা” যাওয়ার অভিজ্ঞতা ☺️
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
এর আগে কখনো দেশের রাজধানী ঢাকা যাওয়ার সুযোগ হয় নি।আসলে কখনো প্রয়োজন ও পড়ে নাই তো এই জন্যে কখনো ঢাকা যাওয়ার দরকার ও পড়ে নাই।কিন্তু এবার প্রথমবারের মত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করার সুবাদে ঢাকা যাওয়ার সুযোগ হলো।যাইহোক যাওয়ার সময় একটু মনখারাপ ও ছিল সাথে একটু প্রথমবার ঢাকা যাওয়ার এক্সাইটমেন্ট ও ছিল।বলা যায় সবকিছু মিলে মিশ্র এক অনুভূতি।
আমাদের ট্রেনে যাওয়ার কথা ছিল চারজন বন্ধু মিলে।কিন্তু কপাল খারাপ থাকার কারণে টিকেট পাই নাই।কিন্তু তবুও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি নাই।আমাদের সিদ্ধান্ত ছিলো যেমনে হোক ট্রেনেই যাবো টিকেট পাই আর না পাই।7 তারিখ আমাকে রেখে আসার জন্য আব্বু আর ভাইয়া স্টেশন পর্যন্ত এসেছিল কিন্তু এসে দেখি ট্রেনের সিডিউল এর বেহাল দশা।ট্রেন লেট, যে ট্রেন আসার কথা 9.40 pm এ সেই ট্রেন পাক্কা 3 ঘণ্টা দেরি।শেষমেষ আব্বু আর ভাইয়া বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে যায়।তবে একটা মজার ব্যাপার হলো স্টেশনে বোরিং ফিল হয় নাই।সবাই একসাথে ছিলাম তো আড্ডা দিতে দিতে কখন যে সময় চলে গেছে বুঝতেই পারি নাই।
এদিকে ট্রেন আসার পর অবস্থা দেখে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ।এদিকে একি তো সিট পাই নাই তারউপর সাথে আছে মালামাল।এই ৮-৯ ঘণ্টার লম্বা জার্নি আমি কেমনে দাড়ায় যাবো সেই চিন্তায় আমি আরো নাজেহাল।তারপর কষ্ট করে ট্রেনে উঠে গেটের কাছে ঠেলাঠেলি করে জায়গা নিলাম।তারপর সারারাত বসে গল্প আড্ডা করতে কখন যে সকাল হয় গেছে টের এই পাই নাই।আর এদিকে ট্রেনে যা অবস্থা একটা তিল ধারণের জায়গা নাই।কিন্তু এত প্রতিকূলতার মাঝেও যে বসে এত লম্বা পথ পাড়ি দিতে পেরেছি এটাও অনেক।কিন্তু সমস্যা হয় আরেক জায়গায়।যখন ঢাকা এয়ারপোর্ট স্টেশনে এসেছি আমরা ভুলে কমলাপুর স্টেশন মনে করে নেমে পড়ি। পরে যখন মানুষদের জিজ্ঞেস করি তখন জানতে পাড়ি কমলাপুর স্টেশন এখনো দূরে।তারপর নিরুপায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম এখন বাসে যাবো,কিন্তু আমাদের কপাল এতই ভালো একটু পরেই একটা লোকাল ট্রেন ঢুকে গেছে।আসলে এমন সেইদিন হয়েছে যে,ওই লোকাল ট্রেন ও দেরি করে এসেছে না হলে আমাদের আরো ভোগান্তিতে পড়তে হতো।আর লোকাল ট্রেনে উঠার সময় আমাদের এক বন্ধু অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে।আসলে এত ভিড় ছিলো যে ও ট্রেনে উঠতেই পারে নাই।আর ও একটু মোটাসোটা তো যার কারণে উঠতেও পারে নাই,কিন্তু এদিকে আমরা উঠে গেছি। পরে অবশ্য জীবনের ঝুকি নিয়ে সে ট্রেনে উঠতে পেরেছে।আর আমার যে ওইসময় ভয়টা লেগেছিল সেটা বলার মত না।যাইহোক তারপর অবশেষে অনেকগুলো বিপত্তির পর এই ইট পাথরের শহরে পৌঁছে গেলাম।আর ঢাকায় পৌঁছে আবার আরেক সমস্যা।এমনিই সারারাত ঘুম নাই সারারাত শরীর ক্লান্ত কিন্তু খুঁজতে হবে বাড়ি।আর এদিকে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে সবাই নারাজ।তারপর সারাদিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসা খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক ভদ্রলোক বাড়ি ভাড়া দিতে রাজি।যাইহোক এখন সেই বাসাতেই আছি।আর এখানে আমরা আছি মোটামুটি আট জন।বলা যায় আমাদের আট জনের একটা সংসার।আর সেই গল্প না হয় আরেকদিন শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আজকের মত সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায়।
আমিও যখন প্রথমবার ট্রেনে করে ঢাকায় যাই আমারও আপনার মত পরিস্থিতি হয়েছিল। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঢাকায় পৌঁছেছিলাম। আসলে ব্যাচেলরদের জন্য ঢাকা শহরের মানুষেরা খুব একটা বেশি বাড়ি ভাড়া দিতে চায় না ।সত্যিই অনেক কষ্ট করতে হয় ব্যাচেলরদের বাড়ি খোঁজার জন্য।
আমাদের অবশ্য দাড়িয়ে যেতে হয় নি।ট্রেনের গেটে মালামাল গুলো রেখে ওগুলোর উপর বসেই এসেছিলাম।আর ঠিক বলছেন ঢাকায় ব্যাচেলর বাসা পাওয়া খুব মুস্কিল।
কখনো ট্রেনে চড়ে ঢাকা ভ্রমণ করি নাই ভাই।
তবে অন্য জায়গা ভ্রমণ করেছিলাম।
আপনার মত আমারও অবস্থা হয়েছিল।
রাত্রেবেলা ভ্রমণ করতে গিয়ে কোন টিকিট না পেয়ে নিচে বসে সারারাত যেতে হয়েছিল।
তবে ভাই বন্ধুদের সাথে থাকলে কোন কষ্টই কষ্ট মনে হয় না কোন খারাপ সময় সেটা খারাপ মনে হয় না।
দোয়া করি ভাই আপনাদের জন্য যেন সুস্থ সবল ভাবে আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছে যান
একদম!
তবে একা একা এতদূর পথ জার্নি করলে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না😅।