স্মৃতিচারণ ☺️
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
অনেক তো লেখি কখনো গল্প,কখনো গান বা কখনো কবিতা কিংবা আবৃত্তি আর কখনো কখনো ভ্রমন কাহিনী।আজকে না হয় একটু স্মৃতিচারণ করি।আজকে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মত ফোনের ডাটা অন করে নোটিফিকেশন চেক করছিলাম হটাৎ গুগল ফটো থেকে একটি নোটিফিকেশন আসলো।ভিতরে ঢুকতেই দেখি আজ থেকে এক বছর আগের সেই ছবিগুলো।ছবিগুলা দেখতেই একটু নস্টালজিক হয়ে গেলাম।কারণ ছবির সেই মানুষগুলো কেউ পাশে নাই,আর আমিও সেই পরিচিত দিনাজপুরে নাই।তারপর ধীরে ধীরে আরো অনেক কথাই মনে হলো এই ছবিগুলো দেখে,যেগুলো এখন আপনাদের সামনে শেয়ার করবো।
আজ থেকে ঠিক এক বছর আগের কথা যখন “আমার বাংলা ব্লগে” আমার পদার্পণ হয়েছিল।যদিও শুরুটা হয়েছিল তার ও কিছুদিন আগে কিন্তু তখনও ভেরিফাই মেম্বার এর তকমাটা গায়ে লাগেনি। সবে শুরু করেছি তারউপর তখন নতুনদের সাপোর্ট এর কোনো ব্যাবস্থা ছিল না,কেবল ভেরিফাই হলেই সাই ফক্স এর ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।তাই সাপোর্টের আশা না করেই নিজের মতো করে লেখালেখি করে যাচ্ছিলাম আর বিষয়গুলো সম্পর্কে জনার চেষ্টা করছিলাম।আর তখন ছিল আমার বাংলা ব্লগ এবং স্টিম এর স্বর্ণযুগ।আসলে স্বর্ণযুগ বললাম একারণেই কারণ তখন স্টিম এর দাম ছিল ভালো এবং আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগী ও অনেক কম ছিল।তাই একবার ভেরিফাই মেম্বার হতে পারলে সাপোর্ট পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল।কিন্তু আমি সদ্য নতুন বলে তখন ভেরিফাই মেম্বার এই ট্যাগ পাই নি,কিন্তু সেটা নিয়ে মোটেও আক্ষেপ ছিল না।শুধু চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম কিভাবে ভেরিফাই হওয়া যায়।তো এমন করে দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছিল আর এদিকে সাগর আর ইব্রাহিম আমাকে সবকিছু হাতে নাতে শেখাচ্ছিল।
এরকম চলতে চলতে হটাৎ দাদার মাথায় কি যে ভুত চেপে বসলো।দাদা মজার ছলে একটা গেম নিয়ে আসলো।আর গেমটা হলো লুডু গেম,এই গেমের নিয়ম হলো প্রত্যেকদিন পাঁচ রাউন্ড করে খেলা হবে এবং প্রতি রাউন্ডে যে প্রথমে ছয় তুলতে পারবে তাকে দাদার পক্ষ থেকে একটি করে সাইফক্স এর আপ ভোট প্রদান করা হবে।তো লুডু খেলা শুরু হতো রাত দুইটার পর, দাদা সব কাজ গুছিয়ে শুরু হতো লুডু খেলা।আর এর মাঝে যে ফ্রি সময় থাকতো তখন ডিসকর্ড এ বসত আড্ডার পসরা।তখন আবার আমাকে কেউ পাত্তা দিত না।সাইফুল রাজু ভাই,নওরীন আপু,সাগর এরা ছিল তখন টপ ইউজার। এদের সাথে কথা বলতে পারা মানে বিশাল ব্যাপার সেপার পাত্তাই দিত না আমাদের।আমি আবার তখন আমার বন্ধু ইব্রাহিম কে হুদাই মেসেজ দিতাম অথচ আমরা দুইজন একই রুমে ছিলাম😆।তো প্রথম কয়েকদিন লুডু খেলে ছয় এই তুলতে পারতেছিলাম না আবার ছয় উঠলেও দেখা যায় সবার পরে উঠেছে।তো এমন চলতে চলতে হটাৎ একদিন দেখি সবার আগে আমার ছয় উঠে গেছে।এই দেখে আমি তো পুরায় খুশি,দাদা সাথে সাথে আমার একটা পোস্টে আপভোট দিয়ে দিলো,আর আমার খুশি দেখে কে।আমার চোখে মুখে আনন্দের উল্লাস ঠিকরে পড়ছে।এরপর সাগর আবার পাশ থেকে ইব্রাহিমকে ইশারা দিয়ে আমাকে স্মরণ করায় দিচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞার কথা।
ব্যাপারটা ছিল যখন বাংলা ব্লগে ঢুকি তখন ও কিন্তু এখনকার মতো রেফার সিস্টেম ছিল আর আমাকে রেফার করেছিল আমার বন্ধু সাগর আর ইব্রাহিম। তো ওরা আমার কাছে আবদার করেছিল আমি যদি কোনোদিন সাপোর্ট পাই তাহলে প্রথম যে পে আউট হবে সেটা সবাইকে খাওয়াবো।যাইহোক আমার কথাটা মনে ছিল,আমি ওদেরকে বলি পেরা নিস না খালি পে আউট হইতে দে।এরপর ঠিক সাতদিন পর যখন পে আউট হলো তখন সাথে সাথে উইথড্র দিয়েছিলাম।ওই সময় একটা পোস্ট এর পে আউট থেকে মোটামুটি 1540 টাকা বের করেছিলাম আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে।এরপর আমি সাগর,ইব্রাহিম আর ছোটভাই তারেক মিলে গেলাম রেস্টুরেন্টে আর ওইদিন নিজের উপর নিজেই প্রাউড ফিল করতেছিলাম কারণ সেদিনের ট্রিট টা ছিল আমার নিজের টাকার আমার বাবার টাকার না।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ওই সময়টা স্টিমিট এর স্বর্ণযুগই ছিল। আমিও ওই সময়টিতেই ঢুকেছিলাম। লুডু খেলার কথা মনে পড়লে এখনো খুব ভালো লাগে। যদিও অনেক রাতে খেলা হতো তারপরও যে আনন্দ ওই সময় হতো ওরকম আনন্দ আর কোন কিছুতেই পাওয়া যেত না। তাছাড়া প্রথম প্রথম আপনার মত আমারও একই অবস্থা হয়েছিল কার সাথে কথা বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তাছাড়া সাই ফক্সের ভোট পাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম ছিল। সুপার অ্যাক্টিভ লিস্টে না থেকেও লুডুর মাধ্যমে সাইফক্সের ভোট পাওয়া যেত। আসলেই খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু। লুডু খেলার মধ্যে আলাদা একটা অনুভুতি ছিল।এখনো মিস করি সেই রাত জেগে লুডু খেলার দিনগুলো।আর এটা ঠিক এখন সুপার এক্টিভ লিস্ট ছাড়া সাই ফক্স এর ভোট পাওয়া অসম্ভব।
আমার বাংলা ব্লগের প্রথম দিকের কথাগুলো জানতে পেরে অনেক ভাল লাগল।সেই সাথে আপনার পুরোনো স্মৃতি মধুর স্মৃতিগুলো জেনেও ভাল লাগল।এজন্যই ফেসবুকের মেমোরি অপশন টাকে মাঝে মাঝে সাধুবাদ দিতে মন চায়।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মধুর স্মৃতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে ফেসবুক থেকে নয় গুগল ফটো থেকে নোটিফিকেশন টা পেয়েছিলাম হাহা।আর হ্যা ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।
সরি ভাইয়া। আসলে ফেসবুক এর মেমোরি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি তো তাই ভুলে ওটাই লিখে ফেলেছি।
সত্যি ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে স্টিমিটে জার্নির শুরুর দিকটার কথা মনে পড়ে গেল। আমার এখনো মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা। যখন আমি এই কমিউনিটিতে কাজ করা শুরু করি তখন শুধুমাত্র কমিউনিটির ভোট ছিল। তাও সপ্তাহে একটা পাওয়া যেত। আমি আসার অনেক পরে সাইবক্স এর জন্ম হয়েছে। যাই হোক ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
হ্যা আপু আপনার কথা অনেক শুনছি,আপনি তো কমিউনিটি শুরুর সময়কার সদস্য।আপনার পথচলাটা আরো দীর্ঘ হোক সাফল্যমণ্ডিত হোক এই কামনা করি ।
আমি তো একেবারেই নতুন। আমার এই কমিউনিটির বিষয়ে কোন আইডিয়াই ছিলো না। তবে এর আগে খেলার ছলে একটা আইডি খুলে ছিলাম। কয়েকদিন ব্যবহার করে, ইন্টারেস্ট পাই নি। তাই আর আর থাকা হয় নি। এরপর আবার কয়েক বছর পর অ্যাকাউন্ট খোলা আর এই কমিউনিটির সাথে পরিচয়। এখন তো একরকম জড়িয়ে গেছি। আপনার পূর্ব স্মৃতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
যাইহোক এবার আপনার গন্তব্য একদম সঠিক জায়গায় নিয়ে এসেছে।আশা করি আমার বাংলা ব্লগে আপনার যাত্রাটা অনেক সুখকর হবে।☺️