ভাই ব্রাদার মিলে পিকনিক
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
পরীক্ষা শেষ প্রস্তুতি চলতেছে ভিন্ন এক গন্তব্যে যাওয়ার।যাওয়ার আগে দিনগুলা বেশ তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছিলো।তবে এলাকার ভাই ব্রাদারদের সাথে খুব ভালো সময় ও পার করেছি সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।আর ওরা সবাই আমার ছোটভাই হয়,আমি যেমন ওদের ভালোবাসি ওরাও আমাকে ততটা ভালোবাসে।আর আমি এলাকা থেকে চলে যাচ্ছি এই নিয়ে ওদের বেশ মন খারাপ।কারণ কবে আবার সবার সাথে দেখা হবে কি না সেইটা নিয়ে ওদের একটু মনভার।এইজন্য আমার চলে যাওয়াটাকে একটু স্মরণীয় করে রাখতে ওদের ছোট্ট একটি আয়োজন।আমি অবশ্য জানতাম ও না যে ওরা একটা পিকনিক এর আয়োজন করেছে।
যাইহোক বিকেলের দিকে এক ছোট ভাই ফোন দিয়ে বললো ভাই একটু মাঠে আসেন কথা আছে।মাঠে গিয়ে দেখি ওরা বাইক নিয়ে প্রস্তুত পিকনিকের বাজার করতে যাওয়ার জন্য।আমি ওদের আয়োজন দেখে মোটামুটি একটু সারপ্রাইজ হয়েছিলাম।তারপর গেলাম বাজারে কিন্তু বাজার থেকে আসতে মাঝপথে শুরু হলো হটাৎ বৃষ্টি।তারপর বৃষ্টিতে ভিজেই চলে আসলাম।এসে দেখি পিকনিক স্পট ভিজে একাকার অবস্থা।তারপর বুদ্ধি করে একটা রুমের ব্যাবস্থা করে ঠিকঠাক করলাম সব।
এদিকে সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই।যাইহোক দেরি করে হলেও অবশ্য কারেন্ট এসেছিল।তারপর পোলাপাইনদের ডিজে শুরু।আর রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে এদিকে আমার অবস্থা খারাপ। তারপরেও ওদের সাথে একটু মজা নেওয়ার চেষ্টা করলাম।
আর এদিকে রান্না করার সময় গিয়ে দেখি খর কুটা কিছু নাই যা আছে সব ভেজা।আর এই নিয়া মহা মুস্কিল পড়ে গেছিলাম আমরা।যদিও পরবর্তীতে চুরি করে জ্বালানির ব্যাবস্থা করেছিলাম।শেষমেষ খাওয়া দাওয়া করতে করতে এদিকে ভোর হয়ে গেছে।তবে যাইহোক রাতটা অনেক স্মরণীয় ছিল।তবে এই দিনগুলা একসময় খুব মিস করবো।
বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে একসাথে পড়ালেখা করে পরীক্ষা শেষে একেকজনের একেক দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়ায়। আপনি ভিন্ন এক গন্তব্যে চলে যাবেন সেটা আসলে আপনার বন্ধুদের কাছে একটা দুঃখের বিষয় কারণ সবাই মিলে এতদিন ছিলেন। মাঝপথে বৃষ্টি চলে এসেছিল এটা কিন্তু খারাপ না রাস্তার মাঝখানে অনেক সময় বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোই লাগে। ডিজে পার্টির আয়োজন করেছেন তাহলে তো সবাই মিলে দারুন একটি পিকনিক উপভোগ করলেন ।আপনার এই জিনিসটা কিন্তু আমার কাছে ভালো লেগেছে চুরি করে জ্বালানির ব্যবস্থা করেছেন এটা পিকনিকের মজা আরও অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্ট পড়ে।
পিকনিক মানে ডিজে পার্টি হবে না সে কি করে হয়😁।তবে বৃষ্টিতে ভিজে খুব ঠান্ডা লেগে গেছিলো আপু।আর পিকনিক একদম ফাটাফাটি হয়েছিল।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। ভাই ব্রাদার দের সাথে পিকনিক করা অনেক মজা। আপনার এক ছোট ভাই আপনাকে মাঠে ফোন দিয়ে ডেকে ছিল তারপরে গিয়ে দেখেন তারা বাইক নিয়ে রেডি হয়ে আছে পিকনিকের বাজার করতে যাওয়ার জন্য। আপনি তো তখন সারপ্রাইজ ছিলেন পিকনিকের ওখানে কিছু জানতেন না। বাজার করা শেষে আবারো আপনারা বৃষ্টির পানিতে ভিজতে ভিজতে বাড়িতে আসেন তারপরে এসে দেখেন পিকনিক স্পট ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছে। তারপর আপনি বুদ্ধি করে একটি রুম নিয়েছিলেন এই বিষয়টি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।
আপনি তো দেখছি আমার পোস্টেই একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে লিখে দিলেন।একটু আপনার মত করে লিখে দিকে ভালো লাগতো।যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।🖤
তাহলে তো দেখছি বৃষ্টির ফলে আপনাদের পিকনিক করতে অনেক কষ্ট হয়েছে । এক দিকে কারেন্ট ছিল না অন্যদিকে আপনাদের পিকনিকের স্পট এবং প্রত্যেকটা ভিজে গিয়েছিল। রাতে পিকনিক করার ক্ষেত্রে আপনাদের মত আমরাও রাতের বেলা চুরি করে জ্বালানির ব্যবস্থা করি ।
পিকনিক এর জ্বালানি চুরি করার মাঝেও কিন্তু একটা মজা আছে ভাইয়া😁।আর পরে কারেন্ট আসার পর কিন্তু যায় নি আর।তবে দারুন ইনজয় করেছি😍।
বুদ্ধি করে একটি রুম ব্যবস্থা করার উপায়টি ভালোই লেগেছে। তা না হলে বৃষ্টিতে আর রান্না করা তাদের খাওয়া লাগত না। আপনার যাওয়ার মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য আপনার এলাকার ছোট ভাইয়েরা মিলে সুন্দর একটা পিকনিকের আয়োজন করেছে। এবং রাত্রে আপনারা সবাই মিলে বেশ উপভোগ করেছেন মুহূর্তটি।
আসলে তাছাড়া তো আর কোনো উপায় ছিল না আপু।কারণ ওইদিন সারাদিন আকাশ মেঘলা,একটু পর পর বৃষ্টি আসতেছিল।আর এলাকার ভাই ব্রাদারের সাথে প্রায় এরকম পিকনিক হতো।কিন্তু এখন দিনগুলা সত্যিই অনেক মিস করি।🥺
শেষ পর্যন্ত চুরি করে জ্বালানির ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনে মজা পেলাম। ছোটবেলায় অনেক সময় বাসা থেকে অনেক কিছু চুরি করে এনে আমরাও পিকনিক করতাম। ছোট ভাইদের সাথে অনেক আনন্দ করেছেন বুঝতেই পারছি। বর্তমানে কারেন্টের যা অবস্থা তাতে করে বক্স বাজানো মুশকিল।
আগে তো সবকিছুই চুরি করেই করতাম।বাসার ডিম নয়তো কারো হাস অথবা মুরগি।তবে এখন শুধু জ্বালানি টাই চুরি করা হয়😍।তবে কারেন্ট আসার পর ওইদিন আর যায় নি।
ভাইয়া তাহলে চুরি করে জ্বালানি জোগার করলেন হা হা হা। মাঝে মাঝে আমরাও এমন পিকনিকের আয়োজন করি ভাইয়া। ভালই লাগে এরকম কিছু মুহূর্ত স্মৃতির পাতায় জমা করতে। ভাইয়া কি খেলেন সেটা তো কিছু বললেন না। আচ্ছা ঠিক আছে ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাছাড়া তো কোনো উপায় ছিল না ভাই😁।আমাদের যেগুলো ছিল ওগুলো বৃষ্টিতে ভিজে গেছিলো।এইজন্য একপ্রকার বাধ্য হয়েই চুরি করতে হয়েছে।
ভার্সিটি লাইফ থেকে যখন চলে আসি তখন ছোট ভাইদের কাছ থেকে এরকম ভালোবাসা পেয়েছিলাম। আপনার অভিজ্ঞতা দেখে পুরনো সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল খুব। এই মুহূর্তগুলো জীবনের সেরা মুহূর্ত। শেষমেষ রান্না যে করা হয়েছিল এত প্রতিকূলতার পরেও এটাই অনেক। আজীবন ভালোবাসায় পূর্ণ হয়ে থাকুক এই বন্ধন গুলো।
আসলে ছোটভাই গুলা বড্ডো আদরের হয় তাই না দাদা।ওদের এতটা ভালবাসতাম ওদের কোনো ঝামেলা হলে সবার আগে আমিই যেতাম,ওদের যা লাগতো আমিই ম্যানেজ করে দিতাম।আর ওরাও আমার কোনো কথা অমান্য করতো না।এখন ওদের থেকে দূরে এসে খুব মিস করতেছি।