সব বিষাক্ত,এলোমেলো অস্পষ্ট.....
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সব বিষাক্ত,এলোমেলো অস্পষ্ট।কিছুই ভালো লাগছে না আর চারদিকে বিষাদে ভরপুর।জীবনের স্বাদটা কেমন জানি বিষাদ হয়ে গেছে।কোনো কিছুতেই যেনো মন বসছে না,শুধু কোনো একটা কিছুর শূন্যতা অনুভব করছি।কিন্তু কিসের শূন্যতা অনুভব করছি সেটা ঠিক জানি না।তবে সেই শূন্যতা এমনভাবে গ্রাস করছে আমায় সেখান থেকে বের ও হতে পারছি না।মনে হচ্ছে মহাকালে হারিয়ে যাবো।কি করবো কি করবো না কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। বোধশক্তি যেনো ধীরে ধীরে কমতে বসেছে,মাথাটা হটাৎ চিন চিন করে উঠে,যা ভেবে রাখি তাও ভুলে জাই।জীবনের নিদ্রিষ্ট কোনো গতিপথ ও নাই।জীবনকে ছেড়ে দিয়েছি সময়ের হাতে।সময় যেখানে গিয়ে থমকে দাঁড়াবে সেখানেই পথ চলা থামিয়ে দিবো।
একটা সময় ছিল যখন সকালে উঠতাম খুব সকালে যখন পাখিরা ডাকাডাকি করতো।গ্রামে থাকতাম তো পাখি আর মুরোগের ডাকেই ঘুম ভাঙত সবসময়।আর এখনো সকালে উঠি তবে দুই উঠার মধ্যে এখন বিস্তর ফারাক।আগে সকালে উঠতাম একটা ফ্রেশ মাইন্ড নিয়ে একটা সুস্থ শরীর নিয়ে।আর এখন সারারাত জেগে থাকি সকালে ঘুমাব বলে।আগে কিন্তু এমনটা কখনো হয় নি আমার।আগে যত যাই করি না যেনো রাত দশটা বাজার সাথে সাথে চোখে ঘুম ঢলে পড়ত। কখনো কখনো তো বইয়ের টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়েছি।কিন্তু যবে থেকে পড়াশুনার জন্য মেসে এসেছি তখন থেকে হয়ে গেছি নিশাচর প্রাণী।রাতকে দিন বানিয়ে ফেলেছি আর দিনকে রাত।প্রথমের দিকে যখন মেসে এসেছিল তখন বড়ো ভাইদের রাত জাগা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছিলাম।কিন্তু এখন সময়ের পরিক্রমায় আমি তাদের চেয়েও বেশি রাত জাগি।প্রথমের দিকে অভ্যাসটা সবার দেখাদেখি হয়ে যায়।তখন রাত জাগা বলতে 2-3 টা পর্যন্ত জেগে থেকে আড্ডা আর মোবাইল টেপার মধ্যে ছিলো।কিন্তু বর্তমানে এমন অবস্থায় এসে পড়েছি ঘুমের জন্যে রীতিমত যুদ্ধ চালাই কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। গত দুই সপ্তাহ ধরে তো রাতে ঘুমাতেই পারি নাই।প্রত্যেকটা দিন দিনে ঘুমাতে হয়েছে।আর এখন রীতিমত ওটাই অভ্যাস হয়ে গেছে।আর এখন চাইলেও রাতে ঘুমাতে পারি না,সারা রাত ছটপট বিছানার এপাশ অপাস করতেই বেলা হয়ে যায়।
যাইহোক এখন শুধু অপেক্ষা পরীক্ষা শেষ করে। বাড়িতে গিয়ে কয়েকটা দিন থাকা ব্যাস আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।আমি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখছি মেসে যারা থাকে তাদের সবারই একটা কমন প্রবলেম আর সেটা হচ্ছে রাতে ঘুম আসে না।আর এর প্রধান কারণ হিসেবে আমি মনে করি আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যাবহার করা।অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন বলতে সারাদিন অলস সময় পার করা,খাবার যথা সময়ে না খাওয়া এবং কোনো ধরনের কায়িক শ্রম না থাকা।আর প্রত্যেকদিন একই কাজ করতে করতে আমরা অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে যাই আর তখন এই সমস্যাগুলো বেশি বেশি ফেস করা লাগে।তবে যাইহোক মেস লাইফটায় মজা আছে স্বাধীনতাও আছে সমস্যা শুধু একটাই মাস শেষ হওয়ার আগে পকেটের টাকা শেষ হয়।😬
আমার নিজেরও আপনার রোগে ধরেছে চারিদিকে শুধু বিষাদ😩। রাত জাগা অভ্যাস আমারও হয়ে গেছে। সত্যি এই অভ্যাসটা বেশ বাজে। অন্যরা যখন ঘুম থেকে উঠে আমরা তখন ঘুমাতে যায়। এই অভ্যাস বাদ দিয়ে দিতে হবে। এবং শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে চলে যেতে গ্রাম্য পরিবেশে।।
কি যে যন্ত্রণা কেবল ভুক্তভুগীরায় বুঝে।লাস্ট এক বছর থেকে একটা পেইন এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।আসলে এই লাইফে কোনো পরিশ্রম এর ব্যস্ততা নেই তো এই জন্যে এমন হয়ে যাচ্ছি।😢
আসলে গ্রামের আর শহরের জীবনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমিও যখন গ্রামে বেড়াতে যাই তখন দেখা যায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু আবার বাসায় আসলে সেই ঘুমাতে ঘুমাতে রাত হয়ে যায়। আপনিও বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে দিতে রাতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলেছেন। আশা করি পরীক্ষা শেষ হয়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে আবার পুরনো অভ্যাসে ফেরত আসতে পারবেন। এর পরের বার আসলে এই অভ্যাসের পরিবর্তন হতে দেবেন না। তাহলে এরকম হতাশা আর ভর করবে না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে মেসে আসলে হয় না আপু।যতই চেষ্টা করেন না কেন ঘুমাতে ঘুমাতে ওই ভর রাত।আসলে মেসের পরিবেশটাই এমন।
সময়ের কারণে মানুষ এর কত রকম পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমনটি আপনি গ্রামে এক রকম ছিলেন শহরে যাওয়াতে ভিন্ন রকম হয়ে গিয়েছেন। যাই হোক আশা করি পুনরায় গ্রামে গিয়ে শান্তি মতো ঘুমাতে পারবেন ধন্যবাদ।
সহুরে জীবনটাই এমন।এখানে সময় কোন দিক দিয়ে যায় বোঝাই যায় না।তবে কর্ম জীবনে গেলে এসব ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।আর আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সেটা ঠিক বলেছেন কর্মজীবনে গেলে তখন সময় কিভাবে যাচ্ছে আসলে সেটাই বোঝা কঠিন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য
আগের যে জীবনটা ছিল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পাখির ডাক সকালের সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি সত্যিই চমৎকার ছিল। আমি এখনো চেষ্টা করছি সে অনুভূতিটা পাওয়ার কিন্তু সেই অনুভূতিটা আর পাওয়া হচ্ছে না। আপনার মত আমারও একই সমস্যা রাতকে দিন বানিয়ে ফেলেছি আর দিনকে রাত বানিয়ে ফেলেছি। যেটার মধ্যে কোন তৃপ্তি বা শান্তি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা থেকে বেরিয়ে আসার আমিও চেষ্টা করছি ভাই।
কেন যে এমনটা হয়।আসলে বয়স বাড়ার সাথে সবকিছুই কেমন জানি পরিবর্তন হয়ে যায়।তবে নিজেকে ব্যাস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে তবে হয়তো এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।