প্রথেবারের মত “অ্যাশেজ” এর লাইভ কনসার্টে 🤟 (দ্বিতীয় পর্ব)
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সেইদিন অ্যাশেজ এর কনসার্টে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম।আজ তারই ধারাবাহিকতায় সেই পোষ্টের বাকি অংশটুকু শেয়ার করবো আপনাদের সাথে আশা করি ভাল লাগবে।
তো সেইদিন মাঠ ভর্তি দর্শকের মোবাইলের আলোয় পুরো মাঠ তারাবাতিতে পূর্ণ হয়েছিল আর সেই মুহূর্তটাকে আরো পূর্ণতা দিয়েছে অ্যাশেজ এর সেই তারাবাতি গানটি।এরপর একেএকে শুরু করলো অ্যাশেজ এর সব জনপ্রিয় গানগুলো নিজের জন্য,বদলে যাবো,17 পৃষ্ঠা, ও আরো অনেক।
দিনাজপুরে অ্যাশেজ এর যে জনপ্রিয়তা এতটা বেশি সেটা আমি কল্পনা করতে পারি নাই।প্রায় 4 হাজার লোক টিকেট কেটে শুধু অ্যাশেজ এর সোলো শো দেখতে আসছে ভাবা যায়।আর আমার তো মনে হয় জুনায়েদ ইভান এর থেকেও বেশি গান গাইছে দর্শকরাই।সবার চিৎকার দেখে মনে হচ্ছিল একেকজন ছেকা খেয়ে বেকা হয়ে আছে আর সেই কষ্টগুলো আজকে কনসার্টে এসে উবলে দিচ্ছে।তবে আমার জীবনে ছেকা খাওয়া কোনো ট্রাজেটি না থাকায় তেমন একটা ফিল পাচ্ছিলাম না।আর আমার সাথে গানগুলোর তেমন একটা সক্ষতা না থাকায় খুব একটা গলাও মিলাতে পারছিলাম না।কিন্তু দর্শকদের চিল্লাচিল্লিতে আমিও দুই চার লাইন গাচ্ছিলাম একটি আদটু।আর এই গানটা যখন শুরু করে তখন আলাদাই একটা মহল তৈরি হয়েছিল পুরা মাঠ জুড়ে সবার হাতের তালিতে সাউন্ড সিস্টেমের শব্দ প্রায় শোনাই যাচ্ছিল না।
এরপর শুরু করলো আরেক জনপ্রিয় গান "আমার ভিনদেশী তারা"।আসলে একটা কথা বলে রাখা ভালো অনেকেই মনে করেন এই গানটি অ্যাশেজ এর গান।কিন্তু আসলে এই গানটি হলো "চন্দ্রবিন্দু" ব্যান্ড এর গান।কিন্তু লাইভ কনসার্টে অ্যাশেজ এই গানটা কভার করে এই আরকি।আর এমনিতেও এই গানটা সবার প্রিয়।আর এই গানটা যখন শুরু হয় তখন চারদিকে মোবাইলের ফ্ল্যাশ সাথে সবার ভাঙ্গা কণ্ঠস্বরে ভেসে আসছিলো "আমার ভিনদেশী তারা,একা রাতেরি আকাশে"।
এরপর দেখতে দেখেতে শুরু হয় অ্যাশেজ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সমালোচিত গান "তামাক পাতা"।মূলত এই গানের কারণেই আজ অ্যাশেজ এর এত খ্যাতি। এই গান যখন রিলিজ হয় মোটামুটি ভাইরাল হয়ে গেছিলো।আর গানের কথা নিয়ে চলেছে বেশ সমালোচনা আর তখন থেকেই লাইম লাইটে অ্যাশেজ।আর এই গানের পরই শেষ হয় অ্যাশেজ এর দিনাজপুর যাত্রা।
এই কনসার্ট এর একটু ভালো খারাপ দিক বলি।প্রথমত ভালো দিক হলো টিকেট থাকা সত্বেও মানুষ গান শোনার জন্য পয়সা খরচ করে শো দেখতে আসতেছে।যেটা ব্যান্ড মিউজিক এর জন্য খুবই পজেটিভ একটা দিক।এটা থেকে বোঝা যায় এই দেশের মানুষ ব্যান্ড মিউজিক শোনে এবং তারা চায় শো হোক।
আর দ্বিতীয়ত যে ব্যাপারটা খারাপ লেগেছে সেটা হলো বাজে ম্যানেজমেন্ট। সিকিউরিটি তো নাই বললেই চলে। যে যেখানে পাচ্ছে বসে গাজা টানতেছে,লোকাল পোলাপাইনরা আবার গন্ডগোল করতেছে।আর দুঃখের কথা কি বলবো চারদিকে খালি টিকটকার দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে।আর এক পর্যায়ে তো শো চলাকালীন সময় দর্শক স্টেজ এর উপর উঠে গেছে।আর সবাই শুধু ইভান ভাইরে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেছে।এদিকে অন্য যে আর্টিস্টরা ছিল তাদের কোনো খোঁজ নাই।কনসার্ট শেষে হোটেলে যাওয়ার জন্য গাড়ি পর্যন্ত রাখে নাই তাদের জন্য।খালি ইভান বাইরে কারে পাঠায় দিছে।আর এদিকে বাকি যারা ছিল তারা রাগ হয়ে যায়।পড়ে আমরাই তাদেরকে অটো ঠিক করে দেই।
এরপর ইভান ভাইরা আমাদের ফোন দিয়ে তাদের হোটেলের অ্যাড্রেস দিয়ে বললো আমরা যেনো যাওয়ার আগে তাদের সাথে দেখা করে জাই।আমরাও খাওয়া দাওয়া করে ফ্রেশ হয়ে হোটেল গেলাম।গিয়ে দেখি সবাই আছে।তারপর আর কি সবাই ছবি তুললো,আমিও তুলেছি অবশ্য।আর আমাদের কমিউনিটি মোটিভ নিয়ে অনেক কথা হলো।উনি আদের উপদেশ ও দিলেন আর কমিউনিটি এর জন্য একটা ভিডিও করে দিলেন।তারপর আমরাও যে জার মত মেসে চলে আসলাম।সেইদিন আমাদের আসতে আসতে রাত প্রায় 2 টা বেজে গেছিলো।তবে যাইহোক সময়টা অনেক ভালো গেছে।আর ইভান ভাই এর সাথে কথা বলে অনেক ভালো লেগেছে এটা সত্যি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbHqqT9yDhtpFAUjXitFwCkBuVzXm41m8xBUNMpzVkLn7/IMG_20220606_232300_039.jpg)
ড্যাফোডিলে ইনার কনসার্ট দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।এত পরিমান জমেছিল যে পরের দিন প্রায় সবার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিল না।তবে আপনার মত এত টা কাছে যাওয়ার সুযোগ পাই নি।অনেক ভাল লাগল ভাই।
তবে আমার গলার অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। আসলে এসএস এর গান সেরকমভাবে শোনা হয় না তো আর লিরিক্স গুলো ঠিকঠাক পারি না এজন্য কনসার্টে তেমন একটা চিল্লাইতে পারিনি 😁।তবে warfaze,আর্টসেল,অর্থহীন, পাওয়ারসার্জ হইলে পরেরদিন আমারে খুঁজে পাওয়া যাইতো না 😁
এগুলো কোনো গান না ভাই একেবারে অন্যকিছু। অ্যাশেজ মানেই অন্যরকম কিছু। ভীনদেশী তারা একমাত্র গান যেটা অ্যাশেজ এর না হলেও বেশিরভাগ কনসার্ট এ এইটা গাই ওরা। এবং আপনি ইভান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন এটা দেখে সত্যি হিংসা হচ্ছে ভাই। চমৎকার ছিল।।
হ্যাঁ ভাই আর এটাই তো ব্যাড মিউজিকের সার্থকতা। যখন অন্যের জীবনের গল্প গুলোকে সুরের মূর্ছনায় বেঁধে ফেলে,ঠিক তখন শোনার সময় মনে হয় "হয়তো এই গানটা আমার জন্যই"। যেটা অন্যান্য গানের বেলায় খুব একটা পাবেন না।তবে আপনার এলাকায় যদি কখনো অ্যাশেজ এর কনসার্ট হয় আমারে বইলেন দেখা করার ব্যবস্থা করাই দিব। 🖤🤘
সম্ভবত ২০১৭ এর শীতের মাঝে আমাদের ক্যাম্পাসে আসছিল অ্যাশেজ। শেষ রাত পর্যন্ত মাতিয়ে রেখেছিল পুরো ক্যাম্পাস। ইভান ভাই স্টেজে উঠলে সাউন্ড সিস্টেমের চাইতে দর্শকের গলার আওয়াজ বেশি পাওয়া যায়, এটাই সত্যি। অনেক দিন পর এভাবে লাইভ কনসার্টের ভিডিও দেখে সত্যি ভালো লাগলো। আর ম্যানেজ মেন্টের এমন দুর্দশা মেনে নেওয়ার মত না একদমই।
হ্যাঁ ভাই অন্য কিছু। উনি যে ব্যান্ডটাকে এত তাড়াতাড়ি দাঁড় করাবেন এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডগুলোর তালিকায় নিয়ে যাবেন সেটা কেউই ভাবতে পারিনি। তবে ওনার গানগুলা বেশিরভাগই একটা জেনারেশন কে ট্রিগার করে বানানো এই জন্য আবার আমার ভালো লাগেনা। 😁
গল্প মনে হলেও সত্যি বলি, দুদিন আগে আমি অ্যাশেজের ভিনদেশী তারা গানটার কভার শুনছিলাম। কাকতালীয়।
ম্যানেজমেন্ট ভালো হবে কিভাবে তারাই তো গান শুনতে ব্যস্ত। হাঃ হাঃ।
জি দাদা অনেকেই জানে না এই গানটি অ্যাশেজ এর না। যতদূর মনে পড়ে এই গানটি সম্ভবত কোন একটা রেডিও টকশোতে গিয়ে কভার করেছিল। আর সেই কভার ভার্শন শুনে দর্শক এত পছন্দ করে যে পরবর্তীতে স্টেজে এই গান না গাইলে দর্শক তাকে স্টেজ থেকে নামতেই দেন না।
এটা কিন্তু চরম সত্য😁
ভাইয়া এক সময় বিভিন্ন জাগায় কনসার্ট দেখতাম। কিন্তুু সময়ের সাথে সাথে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমি অবশ্য অ্যাশেজ এবং ইভান কাউকেই সরাসরি দেখি নাই। তাদের গান শুনেছি। শেষের ঘটনাটা কাম্য ছিল না। ধন্যবাদ।
আমিও দেখি এবং এখনো দেখি তবে এসব ছোটমোটো কনসার্ট দেখি না পছন্দের যদি ব্যান্ড আসে তবেই যাই। শেষের ঘটনা টার জন্য আমরাও প্রস্তুত ছিলাম না।