বসে আছি একা কাচা রোদ বিকেলে উদাস ☺️
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
গ্রাম বাংলার ধুলো মাটি গায়ে মেখে বড়ো হওয়া ছেলে আমি।আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটে গেছে এই চেনা জায়গা গুলোতে।কিযে দারুন ছিল সেই দিনগুলো সেটা বলার মত না।আসলে পিছনে ফেলে আসা দিনগুলো সবসময় দারুন হয়।তবে বর্তমানের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারলে এই দিনগুলোও মধুর হয়।কিছুদিন আগে বাসায় ছিলাম।আর এইসময় গ্রামীণ পরিবেশ আর দারুন আবওয়াহা সবমিলিয়ে মন ও শরীরকে সতেজ করে তোলার মত একটা অবস্থা।গ্রামের শান্ত শীতল হাওয়া সবুজের বিচরণ মুহূর্তেই যে কারো ভালো লাগার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।আর বিশেষ করে এই সময়টা চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ,কারণ এইসময়ে চারদিকে সবুজ ফসলের ক্ষেত।
অনেকদিন পর সেইদিন এমন দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম।কতদিন যে রংধনু দেখতে পারি না ঠিক আমার নিজেরও মনে নাই।সেদিন বিকেলের দিকে মাঠে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছি হটাৎ করেই বৃষ্টির আগমন।তারপর দেখি রোদ ও উঠছে আবার বৃষ্টি ও হচ্ছে।আর আমাদের দিকে এরকম রোদ বৃষ্টি হলে সবাই মজা করে বলে “খেকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে”।তারপর বৃষ্টি থামার শেষে দেখি পূর্ব আকাশে রংধনুর বিচরণ।আর অনেকদিন পর এমন দৃশ্য দেখে মনটাই চাঙ্গা হয়ে গেছিলো।
বৃষ্টি শেষে নির্মল অবওয়াহা শাত্ন পরিবেশ আর আকাশে কিছু মেঘের দল।বের হলাম একটু গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটার উদ্দেশে,পরিবেশটাকে উপভোগ করার জন্য।ঠান্ডা হাওয়া যখন গায়ে লাগছিল পুরো শরীর শিরশিরিয়ে উঠছিল।আর মৃদু হাওয়ায় যখন ধানের গাছগুলো দোল খাচ্ছিল তখন অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করতেছিল।
মেঘলা আকাশ থাকতে থাকতে হটাৎ করে দেখি মেঘের কিনারা দিয়ে চিলতে রোদের আলো।এই দৃশ্যটি যখন দেখছিলাম তখন ওয়ারফেইজ এর একটি গানের কথা মনে পড়ছিল☺️।গানের কথাগুলো যেনো এই দৃশ্যের প্রতিচ্ছবি।আর এইসময় গানটা শুনছিলাম আর নিজের কল্পনার জগতে বার বার হারাচ্ছিলাম।
“বসে আছি একা
কাঁচা রোদ বিকেলে উদাস
বৃষ্টি শেষে রূপালী আকাশ
মেঘে জানালাতে
ঝিলমিল সোনালী আভায়
ঝিরঝির বহে হিমেল বাতাস
সোনালী আভায় সাথে ফিরি আমি
মেঘে মেঘান্তরে
হিমেল বাতাসে ডানা মেলি আমি
দূরে দূরান্তরে”
আসলে শরৎ এর আকাশের এমন লুকোচুরি খেলা দেখতে ভালই লাগে।তবে গ্রামীণ পরিবেশে এই দৃশ্যগুলো একটু বেশিই অমায়িক হয়।
শেষ বিকেলে পশ্চিম আকাশে সূয্যি মামা ডোবার অপেক্ষায়।দেখে মনে হচ্ছে গ্রামের এই মেঠোপথ পার হয়ে গাছগুলোর নিচে ডুবে যাচ্ছে সূর্য।সূর্যের রক্তিম নিভু আলোয় চারদিকে লাল হয়ে গেছে।
এরপর সন্ধা নামার আগে সবাই মিলে কিছু গ্রুপ ফটো নিলাম।এরপর আড্ডা মারতে মারতে বাড়ির পথ ধরলাম।তবে দিনটা স্মরণীয় ছিল।জানি না আবার কবে এই গ্রামে যাবো এই রাস্তায় গিয়ে আড্ডা মারবো।তবে এই জায়গা গুলো সবসময় স্মৃতিতে থাকবে।আর ভালোবাসার মানুগুলার কথা নাহয় নাই বললাম।
আমার কাছে এই ছবিটা খুব ভালো লেগেছে।আসলে গ্রামের পরিবেশে বড় হওয়াটা বেশ ভাগ্যর ব্যপার।আসলে সবগুলো ছবিই অনেক ভালো লাগছে।আসলে বন্ধুদের সাথে দেখা হলে মনে হয় আড্ডা ফুরায় না।সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
কোনো দ্বিমত নেই আপনার সাথে।আসলেই গ্রামে বড়ো হওয়াটা একটা ভাগ্যের ব্যাপার।আর যারা গ্রামে বড়ো হয়েছে কেবল তারাই এই ব্যাপারগুলো বুঝে।😍
সত্যি ভাই বিকেলে এইরকম পরিবেশে বসে থাকা সময় কাটানোর অনূভুতি দারুণ হয়। কিন্তু ক্রমেই দিনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। অতীত চলে গেলেই সুন্দর হয় এটা ঠিক বলেছেন। এইবছর রংধনু আমি নিজেও দেখি নি। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন ভাই। একেবারে গ্রামের শান্ত সুন্দর সবুজ নিরিবিলি পরিবেশ।
আসলেই ভাই দিনগুলো দ্রুতই চলে যাচ্ছে।আর কেমনে যে যাচ্ছে বুঝতেই পারতেছি না।আর আমিও এইবছর প্রথম রংধনু দেখলাম।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেকদিন পরে বিকেলবেলা অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমিও মাঝে মাঝে এরকম সময় অতিবাহিত করে থাকি যখন বাসায় যাই। একটা বিষয় শুনে খুবই হাসি পাইছে সেটা হচ্ছে বৃষ্টি এবং রৌদ্র যদি একসঙ্গে দেখা যায় তাহলে আমরাও মাঝে মাঝে বলে থাকি খেকশিয়াল এর বিয়ে হচ্ছে হাহাহা। তবে অনেকদিন হয়ে গেল রংধনু দেখা হয় না আপনি অনেকদিন বাদে দেখেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।
হাহা গ্রামের এরকম অনেক চলিত কথন আছে যেগুলো শুনতে ভালই লাগে।তবে এটা সত্যি অনেকদিন পর রংধনু দেখতে পেয়ে আমার ও দারুন লেগেছে।😍
বৃষ্টির পরে রোদ শুরু হলে গ্রাম অঞ্চলের বিকেলের পরিবেশটা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর হয়। আর এমন মুহূর্তে আকাশে যদি রংধনুর উদয় ঘটে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। বিকেলের শেষে সূর্য অস্তের মুহূর্তটা সত্যি অসাধারণ একটি মুহূর্তের অবতরণ ঘটে। যাহোক, আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারছি বিকেলের সময়টুকু দারুন ভাবে কাটিয়েছেন। আপনাদের গ্রুপ ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
হ্যা ভাই, সেদিনের দিনটি সত্যিই অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকবে।তবে একটা ব্যাপার আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে,আর সেটি হচ্ছে সেই স্রিতি গুলো আমার বাংলা ব্লগে প্রকাশ করতে পেরে।