রাজশাহী ভ্রমের ইতিকথা (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন আগে সব বন্ধুবান্ধব মিলে একটা ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন।আমি ইতিমধ্যে “রাজশাহী ভ্রমণের ইতিকথা” নামে একটি পোস্ট করেছিলাম।তো সেখানে সেই ভ্রমণের সম্পূর্ণ গল্পটি তুলে ধরতে পারি নাই।তো আজকে আমি সেই ধারাবাহিকতায় সেই গল্পের বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি সাথেই থাকবেন ভালো লাগবে। প্রথম পর্ব
তো সেইদিন দীর্ঘ একটা জার্নি শেষে আমরা বেলা 1 টায় গিয়ে পৌঁছাই রাজশাহী স্টেশনে।তো আমাদের যেহেতু আগে থেকেই প্ল্যান করা ছিল কোথায় কোথায় যাবো সেই জন্য খুব তাড়াতাড়ি দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। তো স্টেশন থেকে বের হতেই দেখি ভাতের হোটেল গুলার সামনে কিছু লোক ডাকাডাকি করছে। মানে তাদের হোটেল এর প্রচারণা চালাচ্ছে আরকি।এরপর একটা হোটেলে গিয়ে কথাবার্তা বলে ঠিক করে নিলাম।কারণ আমরা মোটে 25 জন ছিলাম তাই আদের জন্যে একটু ছাড় ছিল।এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঠিক করলাম প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো ঘুরতে।তারপর তিনটে অটো ঠিক করে রওনা দিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথমেই আসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে এবং সেখান দিয়ে ভিতরে গেলাম।এরপর সবাইকে বলে দেওয়া হলো যে জার মত ঘুরে সবাই যেনো গেটে এসে অপেক্ষা করে।এরপর প্রথমেই দেখতে গেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর সেই বিখ্যাত রাস্তা প্যারিস রোডে।এই রাস্তাটির ফটোগ্রাফি এর আগে অনেক দেখেছি আর শুনেছি কিন্তু এবার স্বচক্ষে এই সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হলো।আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস যেহেতু অনেক বড় আর একদিনে হেঁটে ঘুরে দেখাও সম্ভব নয় তাই উল্লেখযোগ্য দুই একটি জায়গা ঘুরে দেখেছি শুধু।তারমধ্যে ছিল মসজিদটি,সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার, সৃতিসৌধ ইত্যাদি।তবে যাইহোক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটাই যেনো অন্যরকম ছিলো।যেখানে কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই সবাই নিজের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।ভালই লেগেছে ব্যাপারগুলো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:রাজশাহী মুক্তমঞ্চ
এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরা শেষ হলে আমরা বেরিয়ে পড়ি পদ্মার পাড়ের উদ্দেশ্যে।তো পদ্মার পাড় যাইতেই চোখে পড়লো রাজশাহীর সেই মুক্তমঞ্চ।যেখানে সকল বয়সের মানুষ,সকল পেশার মানুষ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বসে সময় কাটাতে পারে।তো আমরা যাওয়ার সময় দুপুর ছিল এই জন্যে হয়তো তেমন লোক ও ছিলো না।কিন্তু আসার সময় যখন দেখেই পুরো জায়গাটা ভর্তি হয়ে গেছে মানুষ দিয়ে।সবাই সবার অলস সময়টুকু প্রিয় মানুষের সাথে ভাগ করে নিচ্ছে।ব্যাপারটা সত্যিই দারুন ছিল।তবে রাজশাহীর আরো একটি ব্যাপার চোখে পড়ার মতো ছিল।সেটি হচ্ছে রাস্তার সাইডে সন্ধার পর মানুষ যে যার মতো বসে গল্প করছে কেউ গেম খেলছে। অথচ কেউ কিছু বলছে না।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:রাজশাহী ,পদ্মার চর
এরপর ছিল সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত।পদ্মার পাড়ে যখন পৌঁছেছি তখন মনে হয়েছে টুর টা মনে কেবল সার্থক হলো।পদ্মার এ পারে শুধু কাশবন আর কাশবন আর ওপারে শুধু পানি আর পানি।যতদূর চোখ যায় পানি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না।কিন্তু ওই পাশে বিশাল একটি চর জেগে উঠছে।আর সেই কারণেই নাম পদ্মার চর। তো যাইহোক নৌকায় করে ওইপারে যাব গিয়ে করে নিরবিলি একটা সময় পার করবো সেইরকম একটা এক্সাইটমেন্ট তৈরি হচ্ছিল নিজের মধ্যে।আবার ভয় ও লাগছিল কারণ এতবড় নদী এইপার থেকে ঐপার দেখা যায় না মোটামুটি 4 কিল এর মত হবে।আর নদীতেও স্রোত বেশি আর এইজন্য একটু ভয় ও লাগছিল হালকা।আর আমি মনে হায় এতবড় নদী আমার জীবনে আর কখনো দেখি নাই।তারপর আর কি বন্ধুবান্ধবরা সবাই মিলে গেলাম নদীর ওইপারে।নৌকায় উঠে কত গান।উফ দারুন একটা মুহূর্ত আবার ওইসময় পড়ন্ত বিকেলের লাল সূর্যের মিটিমিটি আলো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:রাজশাহী ,পদ্মার চর
তারপর বিরান চরে খোলা নীল আকাশের নিচে খোলা হাওয়া চোখ বন্ধ করলেই যেনো দারুন প্রশান্তি।এরপর সূর্যের আলো থাকতে সবাই কিছু ছবি তুললাম।আর হাটতে হাঁটতে চরের অনেকদূরে গিয়েছিলাম।আর যাওয়ার সময় বাদাম কিনে নিয়ে গেছিলাম।সবাই মিলে বাদাম খেয়ে আর আড্ডা মেরে আবারও স্টেশন এর উদেশ্যে রওনা দিলাম।
রাজশাহীর বিখ্যাত সেই প্যারিসরোড আসলেই খুব সুন্দর। আপনারা ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। পদ্মার পাড়ে কাশবনের মাঝেও ঘুরাঘুরি করেছেন। সবার একসাথে ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো ভাই। এনজয় করেছেন অনেক বুঝা যাচ্ছে।
হ্যা ভাই।ছবিতে যা দেখছেন বাস্তবে তার থেকে আরো বেশি সুন্দর।আর সত্যিই কথা বলতে রাজশাহী শহর টা সত্যিই দারুন।তবে ইনজয় করতে করতে অনেক টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম😁