একটি পরিবেশবান্ধব ফুড রিভিউ🙂
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
ঈদের আগের দিন এমনিতেই সারাদিন কাঠ পোড়া রোদ তার উপর রাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং আর সাথে নাই প্রকৃতির হাওয়া।সব মিলে গরমে অস্থির হওয়ার মত একটা অবস্থা।তাই আমার এক ছোটভাইকে ফোন দিয়ে বললাম বাইকটা নিয়ে বের হও আজ রাতে চারদিকে ঘুরে বেড়াবো।আসলে এমন গরম এর মধ্যে বসে থাকাটা একদম বিরক্তিকর।তাই বাইকে ঘুরে বেড়ালে হালকা ঠান্ডা বাতাস লাগে আর ঘুরতেও ভালই লাগে।তাই দুইজন মিলে বাইকে উঠে পথচলা শুরু করলাম কিন্তু কোথায় যাবো সেটা জানি না।আমাদের প্ল্যান ছিলো জখন কারেন্ট আসবে তখন বাড়ি ফিরবো।আর এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে রাত বেজে যায় প্রায় 12 টা,আর এদিকে খুদাও লেগে গেছে।তো বাইকে যেতে যেতে হটাৎ করে ইচ্ছে হলো পার্বতীপুরে যাই।বাইক ছিল যেহেতু সেইজন্য টান দিয়ে পার্বতীপুর যাই।তো পার্বতীপুর এর একটা হোটেল ছিল নাম "মামা ভাগিনা"।বেশ ভালই নাম ডাক শুনেছি এলাকায় কিন্তু কখনো যাওয়া হয় নি।সেই জন্য ভাবলাম আজকে যাওয়া যাক দেখি কেমন অবস্থা।
বাইকে বাইরে রেখে ভিতরে এসে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলাম।এটা একদমই সাদা মাটা টাইপ হোটেল গুলোর মতো ছিল।কিন্তু বেচা বিক্রি নাকি অনেক হয় আর খাবার এর মানও নাকি যথেষ্ট ভালো।আর আমরা যখন গেছি তখনও দেখি হোটেল এর ভিতরে ভিড়ে ভরা।আমি তো দেখে অবাক ফাঁকা জায়গায় হাইওয়ে এর পাশে একটি হোটেল অথচ এত রাতেও কত ভিড়।
এরপর অর্ডার দিলাম দুইটা চিকেন চপ, বাটার বন সাথে দুইটা ঠান্ডা।অর্ডার করার সাথেই ডেলিভারি। বেশিক্ষণ অবশ্য বসে থাকতে হয় নাই।কিন্তু পরিবেশনা মোটেও ভালো ছিল না একদম সাদামাটা হোটেল গুলোর মতোই।কিন্তু খাবার এর কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল।বিশেষ করে ওদের সসটা দারুন ছিল।আর সাথে বাটার নান আর চিকেন চপ ও ভালই ছিলো।প্রথমে হোটেল এর অবস্থা দেখে যেমনটা ভাবছিলাম খাবার এর মান তার থেকে অনেক ভালই ছিলো।সেই হিসেবে খাবার এর রেটিং দিতে গেল ৭/১০।আর হোটেল এর কথা আসলে ৫/10। যেহেতু এত নাম ডাক আছে এই হোটেল এর সেই হিসেবে কর্তপক্ষের ডেকোরেশন আরেকটু খেয়াল রাখা দরকার।যেনো মানুষজনের একটু দৃষ্টি কাড়ে।
খাওয়ার এক পর্যায়ে দেখি আমি আর খাইতে পারতেছি না আমার এখনো অর্ধেক খাওয়া বাকি আছে। আর এদিকে ছোটভাই এর খাওয়া শেষ।তারপর ওর কাছে একটু হেল্প নিয়ে আমার বাকি অর্ধেক খাওয়া টুকু শেষ করলাম।তারপর বিল পরিশোধ করে একটু দম নিয়ে বাড়ির পথে রওনা।তখন রাত বাজে 1 টা 20 মিনিট,আর বাড়ি যাইতে বেজে যায় প্রায় 2 টা।আমি কেবল বাড়িতে গেছি দেখি সাথে সাথে আবার কারেন্ট গেছে।তারপর আবার বাইরে বসে মোবাইল চাপতে চাপতে একটু পর আবার কারেন্ট আসলে তারপর গিয়ে ঘুম।
ডিভাইস | মোবাইলে |
---|---|
অবস্থান | পার্বতীপুর: |
ইশ ছেলে হলে কি মজা,রাত বেরাতে ঘুরা যায়।কি সুন্দর করে বাইকে করে ছোট ভাইয়ের সাথে ঘুরে আসলেন,আবার কি মজার মজার খবার।দেখেই লোভ হচ্ছে। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
এটা অবশ্য ঠিক বলছেন।মেয়েরা অবশ্য এইদিক দিয়ে একটু পিছিয়ে আছে।তবে যাইহোক আপনারা দিনে ঘুরবেন ওই ভালো।আর খাবার গুলও সত্যিই দারুন ছিল।
এতো রাতে খাওয়া দাওয়ার জন্য এখন ঢাকাতে দোকান পাটন খোলা থাকে না। এখনে লোডশেডিং এর জন্য নিয়ম করছে ৮ টার পর সব খাবারে দোকান অফ হয়ে যায়। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
জেলা পর্যায় পর্যন্ত একটু কড়াকড়ি চলছে।তবে থানা পর্যায়ে তো এই জন্যে খোলাই থাকে সবসময়।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে ফুড রিভিউ তুলে ধরেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেকটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের মূল্যবান সময় দিয়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।🖤
সকাল সকাল এমন একটি খাবারের রিভিউ দেখালেন ভাই 😋তন্দুর রুটি আর পোড়া মুরগি আমার খুবই ফেভারি ট 😋😋আপনার 🍲 রিভিউ দেখেই জিভ চলে আসলো ইচ্ছে করছে খেতে শুরু করি😋
আমার অবশ্য অতটাও পছন্দের না।তবে মাঝে মধ্যে খেতে ভালই লাগে।যাইহোক ধন্যবাদ।
ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন ভাই আসলে গরমে বাসায় বসে থাকা থেকে বাইকে চড়ে ঘুরলে গরম অনেক কম লাগে। তবে ঠিকই বলেছেন আর এর পরে আপনি যে খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে। আসলে খাবার এটা খাবার খেতে আমার কাছে ভালই লাগে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য
ভাই গরম সমস্যা না সমস্যা হলো বিদ্যুতের।আর এই জন্যে এমন সিদ্ধান্ত।আর আপনার এই খাবার ভালো লেগে জেনে ভালো লাগলো।একদিন আইসেন আমাদের এলাকায় একসাথে খাবো।😍
ভীষণ ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্ত সহ ফুড রিভিউ। খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আমিও কয়েক দিন রাত্রে হঠাৎ করেই নাস্তা করতে হোটেলে চলে যেতাম। বেশ ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই।সুন্দর সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।ভালো থাকবেন সবসময়।
ফুড রিভিউ পোস্ট গুলো দেখলে আমার যে কি লোভ লাগে ভাইয়া কি আর বলবো। অনেক মজার খাবারের রিভিউ শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি তো একজন শিল্পী মানুষ তারউপর খাবার প্রেমী এই জন্যেই আপনার বেশি ভালো লাগে।যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য এর জন্য।🖤