এবারের পূজা পরিক্রমা
সবাইকে শারদীয়া শুভেচ্ছা
আশাকরি বন্ধুরা সবাই ভালো আছেন। শারদীয়া পূজা আমার খুব ব্যাস্ততার মাঝেই কেটেছে , সবাই যখন পুজোর আনন্দে কেনাকাটা, ঘোরাঘুরি তে মশগুল আমি তখন বিভৎস বিভীষিকার মধ্যে কাটিয়েছি। যা হোক তার পর শেষ মুহুর্তে মা আমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে এটাই মায়ের কৃপা।
ছোট বেলায় আমি ষষ্টি থেকে দশমী অব্দি মন্দিরে কাটাতাম। সকাল সকাল উঠতাম ফুল তুলতাম, মালা গাঁথা, মন্দির সাজানো থেকে শুরু করে পূজা র সব কাজেই আমি অংশগ্রহণ করতাম। পূজার প্রত্যেকটি দিন আমার কাছে দারুন উপভোগ্য। প্রতিদিন পূজা শেষে সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ ছিল আমার খুব পছন্দের কাজ। ষষ্টি থেকে আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন রকম কালচারাল প্রোগ্রাম এর আয়োজন করতাম। পাড়ার সব ছেলেমেয়েদের কাছে ছিল এটা খুব ই আনন্দের একটা বিষয় এই প্রোগ্রাম এ ছোট বড় সবাই আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করে।
প্রতি বার আমি ষষ্ঠী পূজার আগেই আমার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে যাই কিন্তু এবার আর যাওয়া হলো না আমার মেয়েটাও অনেক মন খারাপ করছিল। শেষ মেষ নবমী পূজাতে আমরা সবাই মিলে ভাবলাম একটু মাকে দর্শন করে আসি ,তাই নবমী র রাতে সবাই মিলে বের হলাম আশে পাশের কয়েকটি মন্দিরে পূজা দেখতে। খেয়াল বাবু কিছুটা হলেও একটু আনন্দ পেলো। তার জন্যই বের হওয়া।
সন্ধ্যার আগেই বাসা থেকে বের হওয়ার কথা থাকলেও বেরোতে বেরোতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল। যে হোক সবাই মিলে রওনা দিলাম ফার্মগেট পূজা মণ্ডপের উদ্দেশ্যে। মোটামুটি আধা ঘন্টা র মধ্যে পৌঁছে গেলাম। এবার বাংলাদেশের সব মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। যাতে কোনোরকম অরাজক পরিস্থিতি সৃস্টি হতে না পারে।
মন্দিরে প্রবেশ করাটা বেশ কষ্টের বেপার ,মোটামুটি আদা কিলোমিটার পথ লাইন এ দাঁড়িয়ে অবশেষে মন্দিরে প্রবেশ করলাম।
ফার্মগেট পূজা মণ্ডপ
চিত্র:১
চিত্র:2
চিত্র৩
চিত্র:৪
চিত্র:৫
চিত্র:৬
চিত্র:৭
মাকে দর্শন করার পর ওখানে কিছুক্ষন একটু ঘোরাঘুরির পর খেয়াল বললো ও ফান ক্যান্ডি খাবে , তো ওর জন্য দুটি ফান ক্যান্ডি কিনলাম। আর আমরা বাদাম কিনলাম, পূজায় গিয়ে বাদাম না খেলে ঠিক পুজো পুজো ভাব মনে হয় না।
রাত ৮ টা নাগাদ আমরা ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দিরের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। কিন্তু পথে এত জ্যাম যে পৌঁছতে পৌঁছতে ১ ঘন্টা লেগে গেলো। সেখানেও লাইন এ দাঁড়াও। গরমে হাস ফাঁস অবস্থা, সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লো। আবার সেই করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পূজার আনন্দটাই মাটি। যা হোক লাইন এ দাঁড়িয়ে ভিতরে ঢুকলাম। দেখলাম সন্ধ্যা আরতি হচ্ছে। কিছুক্ষণ আরতি দেখলাম আবার প্রধান মডিরের সামনে মেলা বসেছিলো । ভাবলাম পূজায় এলাম কিছু একটা কিনি। খেয়াল ও তার ঠাকুমার জন্য পুঁথির মালা কিনলাম। মেলা থেকে কিছু না কিনলে কি পূজা পূজা মনে হয়। অসহ্য ভ্যাপসা গরম চারিদিক তাই আর বেশি দেরি না করে গাড়িতে উঠে পড়লাম। বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিন্তু পথে আবার জ্যাম। ঢাকা শহরের যে কি অবস্থা আর বলার নয়। যে হোক এভাবেই আমার এবারে র পূজা দেখা শেষ হলো।
চিত্ৰ:১
চিত্র:২
চিত্র:৩
চিত্র:৪
![20211
চিত্র:৫
চিত্র:৬
চিত্র৭
চিত্র:৮
চিত্র:৯
উপরের ছবি গুলো ঢাকার কেন্দ্রীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরের থেকে তোলা। ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মন্দির । এটি একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় মন্দির তেমনি জাগ্রত মন্দির। এখানে রামকৃষ্ণ পরমাংসদেব এর বড় ভাই পূজারী হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। এখানে মায়ের কাছে যে যা চায় তিনি তাদের মনের সকল ইচ্ছা পূরণ করেন।
ছবি : দুর্গা পূজা পরিক্রমা
ছবি তোলার ডিভাইস: SamsungS20 ultra
ছবির স্থান বাংলাদেশ
খুন ইনফরমেশন মূলক একটা পোস্ট ছিল। অনেক কিছু জানতে পারলাম আগামি কাল পোস্ট করতে অনেক সুবিধা হবে আশা করছি। দোয়া রইল আপনার জন্য 🥰🥰🥰🥰🥰
অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
শারদীয় পূজার শুভেচ্ছা।
শারদীয়া শুভেচ্ছা
ফটোগ্রাফিগুলি খুব সুন্দর হয়েছে।এক কথায় অনবদ্য। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো বৌদি।
অনেক ধন্যবাদ
দিদি , দেবী দূর্গা মা এর ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া মায়ের কাছে নিশ্চই মনের ইচ্ছা টা বলছেন জাগ্রত মন্দিরে।আপনার মনের ইচ্ছা টা পূরন করুক মা । ভাল থাকবেন । বিজয়ার শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ । শুভ বিজয়া।