প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু সময়
আমরা নাগরিক জীবনে চলতে চলতে এক সময় হাঁপিয়ে উঠি
কিছুটা প্রশান্তি লাভের আশায় প্রকৃতি র কাছে ছুটে যাই। দিল্লী
এসে একটা জিনিস আমার খুবই ভালো লেগেছে এখানে প্রত্যেকটি আবাসিক এলাকার মধ্যে প্রত্যেক পাড়ার মোড়ে মোড়ে কিছুটা খালি জায়গা এবং সেখানে এক একটি পার্ক রয়েছে। বিকেল হলেই বাচ্চারা পার্কে গিয়ে খেলাধুলা করে, সাইকেল চালায়, শারীরিক ব্যায়াম করে। অনেকে আবার সকাল সকাল চলে আসে মর্নিং ওয়াক করতে।
আজকে খেয়াল আর আমি বেরিয়েছিলাম আশে পাশে একটু ঘুরে দেখবো বলে। ও ঘরে ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছে। রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে দেখলাম একটা পার্ক । ঢুকে পড়লাম সেখানে । দেখি বেশ কয়েকজন বাচ্চা তাদের মায়ের সাথে এসেছে । তারা কেউ খেলা ধুলা করছে , আবার কেউ দোলনায় চড়ছে। কয়েকজন ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলছে। খেয়াল এখানে নতুন আর ভাষা গত প্রবলেম তো আছেই তাই কারো সাথে খেলাধুলাটা ঠিক ওর জমল না। আমি ওর সাথে কিছুক্ষন খেললাম। কয়েকটা ছবি তুললাম , ।
বিকালের পরিবেশ টা বেশ মনোরম ছিল। এখানে আবার একটু আগে আগে ই শীত পরে যায়। তাই সবাই মোটামুটি শীতের জামা কাপড় পরেই বেরোয়। বেশ একটা ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া ভালোই লাগছিলো।
চিত্র:১
পার্কের ভিতর আছে একটি সুন্দর ফুলের গাছ।গাছটি বেশ খানিটা বড়ো এবং উঁচু । ফুলে ফুলে ভরে আছে গাছটি। কাঁচা হলুদ রঙের ফুলগুলো গাছটিকে দারুন আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
চিত্র:২
খেয়ালবাবু ফুল তোলার চেষ্টা করছিল। কয়েকটি ফুল তুলতে পারে সে খুব খুশি।
চিত্র:৩
ফুল হাতে খেয়াল বাবু।
চিত্র:৪
পার্কে কয়েকটি দোলনাও আছে । সেখানে বাচ্চারা খেলে ।
কয়েকটি বাচ্চা দোলনায় খেলছিল। খেয়াল ও কিছুক্ষণ ওদের সাথে খেললো।
চিত্র:৫
পার্কে একটি স্লাইডার ও আছে। বাচ্চারা স্লাইডার এ চড়তে খুব মজা পায়। খেয়াল বাবু ও ওই জিনিসটা খুব ই পছন্দ করে।
চিত্র:৬
পার্কের ভিতর খানিকটা ফাঁকা জায়গা সেখানে ফুটবল , ব্যাডমিন্টন এসব খেলা হয়, অনেকে আবার এক্সারসাইজ করে।
চিত্র:৭
চিত্ৰ:৮
চিত্র:৯
পরিকল্পিতভাবে পার্কটি তৈরি হয়েছে। নগর জীবনে এরকম
প্রাকৃতিক পরিবেশ কিছুটা হলে মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনে।
যা হোক সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো আমি আর খেয়াল বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
ছবি :পাড়ার পার্ক
ছবি তোলার স্থান: দিল্লী
ছবি তোলার তারিখ: 27 অক্টোবর ২০২১
ছবি তোলার ডিভাইস: SamsungS 20 ultra
আমি মনে করি আপু এটা খুব প্রয়োজন। কারন বাচাদের জন্য পার্ক বা খেলার জায়গা দিন দিন কমে যাওয়াতে বাচ্চারা এখন মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর বেশির ভাগ বাচ্চাদের চোখের সমস্যা একটাই কারন ছোট থেকেই অতিরিক্ত ফোন টিপার জন্য।
হ্যাঁ, বাচ্চাদের এখন মোবাইল, কম্পিউটারে গেম খেলতেই বাস্ত থাকে ।বাইরে বা মাঠে খেলাধুলা করা স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন দরকার তেমনি মানসিক বিকাশেও অনেকটা জরুরি।
একদম ঠিক আপু। বাচ্চাদের বাহিয়ে খেলাধুলা অনেক জরুরি।
ছোট বাচ্চারা পার্ক ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসে। পার্টীতে দোলনা আছে যেটা বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। বাচ্চারা মুক্ত পরিবেশে পরিবেশকে অনেক কাছ থেকে বুঝতে পারে। সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বাচ্চারা মুক্ত পরিবেশে খেলতে যেমন ভালোবাসে তেমনি তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও জরুরি।
এইটা পড়ে আমার কিন্ডারগার্ডেন এর কথা মনে পরে গেলো।ছোট বেলাকার কিছুই মনে নেই তবে আমার স্কুলে এমন একটা স্লাইডার ছিলো। আম্মু বলে আমার নাকি খুব পছন্দের ছিলো।আজকে খেয়াল বাবুর গুলো পছন্দের কথা ভেবে মনে পরে গেলো।
স্লাইডার সব বাচ্চাদের খুব পছন্দের একটি খেলনা। সব বাচ্চাই স্লাইডার উঠতে খুব মজা পায়।
পার্কে সুন্দর মূহুর্তের ফটো গুলো আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।