প্রকৃতির ফটোগ্রাফি
প্রকৃতি আমাকে সব সময় আকর্ষণ করে। প্রকৃতির ছবি তুলতে আমি বরাবর ভালোবাসি। সে গুলো কতটা ভালো হয় সেটা জানি না তবে ইচ্ছে হয় সুন্দর প্রকৃতির রূপ আমার ক্যামেরায় বন্দি করতে। আমার ছবি তোলার হাত অতটা সুন্দর নয় তারপর চেষ্টা করলাম আপনাদের সামনে কয়েকটা প্রকৃতির ছবি উপস্থাপন করতে।
চিত্র:১
কাজীবাছা নদীর কুলে
এই ছবিটি আমার একান্ত আপন একটি জায়গার ছবি। আর এই নদীর সাথে আমার আজন্ম যোগাযোগ। এখানে কাটিয়েছি আমি জীবনের অনেক সময়। এখনো সুযোগ পেলেই ছুটে চলে যাই নদীর পাড়ে। নদীর পাড়ে গেলেই আমার মনটা একদম ভালো হয়ে যায়।
ভোরে সূর্যদেব যখন চারিদিক তার বিকিরণ ছড়াচ্ছে সেই মুহূর্তে র সাক্ষী এই ছবিটি। ছবিটিতে নদীর ঘাটে নৌকা বাধা, ভরা জোয়ারের জল এসে নদীর কিনারে ছুঁয়ে গেছে আর নদীর পাড়ের গাছপালা আর সবুজ প্রকৃতি মিলে মিশে একাকার হয়ে অপূর্ব সুন্দর মাধুর্য এনে দিয়েছে।
চিত্র:২
আমার গ্রামে পাশের একটা বাড়ির দৃশ্য
এই ছবিটি তোলা আমার গ্রামের একটি বাড়ি থেকে। সেখানে দেখলাম কয়েটি রাজ হাস মনের আনন্দে জলে খেলা করছে। এই দৃশ্যটি আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছিল তাই ক্যামেরা বন্দি করে ফেললাম। গ্রামে প্রায় আমরা প্রতিটি বাড়িতে এমন দৃশ্য দেখতে পাই। কিন্তু সে সব আজ বিলীন হতে চলেছে। এরকম দৃশ্য আজ কাল গ্রামেও খুব বেশি চোখে পড়ে না।
চিত্র:৩
আমার বাড়ির ছাদ
এই ছবিটি আমার খুব প্রিয় একটি জায়গা থেকে তোলা। আমার গ্রামের বাড়ির ছাদ থেকে ছবিটি তোলা। নীল আকাশে মাঝে সবুজ গাছ গুলো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। তাছাড়া এখন শরৎ কালে আবহাওয়াটা ও অনেক সুন্দর।
চিত্র:৪
পদ্মা নদী
এটা পদ্মা নদীর ছবি । বাড়ি থেকে আসার পথে আরিচা ফেরি থেকে তোলা। শরতের আকাশে সাদা মেঘেদের দল খেলা করছে । আবার দূরে নদীর কিনার গিয়ে একসাথে মিশে গেছে আকাশের নীলিমায়। সবুজের সাথে আকাশের মিলন বরাবরই
অসাধারণ দৃশ্য সৃষ্টি করে থাকে। পদ্মা নদী নিয়ে অনেক কবি,সাহিত্যিক উপন্যাস, কবিতা ,গান লিখেছেন। বহু মানুষের ঘর বাড়ি পদ্মার করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায় তারপর এ নদী আপন মহিমায় সমুজ্জল।
চিত্র:৫
মানিকগঞ্জ এর একটি ছোট রাস্তার পাশে ফোটা কাশ ফুল
মানিকগঞ্জ এর একটি রাস্তার পাশ থেকে এই সুন্দর কাশ ফুলের ছবি আমি তুলেছি। গাড়ি থেকে অবশ্য খুব ভালো তোলা যায় না।তারপর ও সুন্দর সুন্দর সাদা কাশ ফুল গুলো দেখে আর লোভ সামলাতে পারিনি। দেখলাম রাস্তার দুপাশ দিয়ে অসংখ্য সাদা সাদা মেঘের মতো কাশ ফুল ফুটে রয়েছে।কাশ ফুল আমার বরাবর খুব পছন্দের একটি ফুল।দুর্গা পুর সময়টায় এই আর্শিন মাসে এগুলো ফুটে। দেখতে শরতের মেঘের মতো ই লাগে।
চিত্র:৬
কোনো এক গ্রামের কোনো এক টি পুকুর পাড় থেকে তোলা ছবি
গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ছোট হোক বড়ো হোক একটি করে পুকুর থাকে। আর তার পুকুরের পাড়ে লাগানো হয়ে থেকে নারকেল, সুপারি , আম গাছ সহ বিভিন্ন রকমের ফল ,ফুলের গাছ। গাছের ছায়ায় পুকুরের জল খুব বেশি গরম হয় না। আর দেখতে ও খুব সুন্দর লাগে। গাছের ছায়া জলের ভিতর পড়ে যখন আরো সুন্দর লাগে।
চিত্র:৭
গ্রামের বাড়ীতে লাগানো জবা ফুলের গাছ
জবা ফুল গাছ গ্রাম এর সব বাড়ি তে মোটামুটি দেখা যায়। এই ফুল গাছ খুব বেশি কোনো যত্ন আত্তি করার দরকার হয় না। আর ফুল গুলো ও খুব সুন্দর হয়।
আমার মুঠোফোন(SamsungS20 ultra)
ছবি তোলার স্থান: বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার
পরিবেশ ও প্রকৃতি।
আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতে সুন্দর প্রাকৃতিক ছাপ ফুটে উঠেছে
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। প্রকৃতির আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রকৃতির লীলাময় রূপ রস যেনো আমাদের মুক্ত হস্তে সৌন্দর্য ও ভালোবাসা দান করে। সত্যিই অপূর্ব প্রকৃতির ছবিগুলি
অনেক ধন্যবাদ ।
প্রকৃতির সাথে আপনার ছবিটা খুব সুন্দর লাগছে।নীল আকাশের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।সেই সাথে সকল ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রথম ছবি টা খুব মিষ্টি লাগছে দিদি। পুকুরে হাস সাঁতার কাটছে এটাও খুব সুন্দর। আসলে শহরে থাকলে ছোট ছোট অনেক সুন্দর মুহূর্ত মিস হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ দিদি এতটা গুছিয়ে সব উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ, আসলে আমি গ্রাম কে খুব মিস করি তাই যখনই গ্রামে যাই সেই সুযোগটা মিস করি না।
দিদি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। একটা দুইটা ছবি ছাড়া বাকি সবগুলো ছবি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ছবি তোলার হাত যদিও খুব বেশি ভালো না তা ও যতটুকু পারি চেষ্টা করলাম। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর বোধহয় জবা ফুল গাছ দেখলাম।
আপনি খুব ভালো ফটোগ্রাফী করেন ভাইয়া।দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায় আর প্রকৃতির সাথে তো কোনো কিছুর তুলনাই হয়না
অনেক ধন্যবাদ