শুভ জন্মাষ্টমী (ব্যস্ততায় ভরা একটি দিন)

ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আজ জন্ম তিথি ,ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এই তিথিতে পুণ্যলগ্নে মথুরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।পৃথিবীটা যখন পাপ, তাপ,অন্যায়-অবিচার বেড়ে যায় তখনই জীব জগতের কল্যাণের জন্য , জীব জগতের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ভগবান যুগে যুগে অবতার রূপে অবতীর্ণ হন।
দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতীর্ণ হন । তখন মথুরার রাজা কংসের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল।তখনই জীবউদ্ধারের উদ্দেশ্য ,কংসের অত্যাচারের হাত থেকে এই
পৃথিবীকে রক্ষা করতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

তিথি অনুসরণ করে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি পালন করা হয়। শুক্লা পক্ষের অষ্টমী তিথিতে আমরা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করি ।আমরা সারা দিন রাত উপোস করে পূজা করি। রাত্রে অষ্টপ্রহর ব্যাপী পূজা করা হয় ।ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পছন্দের খাবার লাড্ডু, তালের বড়া ,নারকেল নাড়ূ প্রসাদ হিসাবে ঠাকুরের নিকট নিবেদন করা হয়।
আজ আমিও অল্প আয়জনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করলাম।
সারাদিন আজ খুব ব্যস্ততায় কেটে গেল।সকাল থেকে জন্ম অষ্টমীর আয়োজন করতে করতে প্রায় দুপুর হয় গেল। সকাল থেকে উপস করেছিলাম পূজার জন্য । পূজার সরঞ্জাম গুলো সব পরিষ্কার করে নিলাম,ঠাকুরের ঘর পরিষ্কার করলাম।কিন্তু
প্রসাদ তখনও রেডি করা হয় নি।তাই তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নিয়ে রেডি হয় নিচে নামলাম। ড্রাইভার কে বললাম গাড়ি বের করতে। unimart রউনা দিলাম প্রসাদ কিনব আর টুকি টাকি কিছু জিনিস কেনার ছিল।
unimart এ মোটামুটি সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। আমি ৫ রকম ফল আর ৫ রকম মিষ্টি কিনলাম। অন্যান্য কিছু জিনিস ও কিনলাম।তাঁর পর বাসায় রওনা দিলাম।বাসায় এসে তাড়াতাড়ি জামা কাপড় ছেড়ে ছাদে গেলাম ফুল তুলতে ।আমার ছাদ বাগানে অনেক গুলো নয়ন তাঁরা ফুটে ছিল ,আর কয়েকটা দেখলাম মিনি টগর ও ফুটেছে ।ফুল তুললাম সাথে কিছু তুলসী পাতা তুলে নিলাম। বাসায় এসে ঠাকুর ঘর সুন্দর করে সাজালাম। ফুল দিয়ে ঠাকুর ঘর সাজাতে আমার খব ভাল লাগে।
ঠাকুর ঘর সাজিয়ে নিয়ে প্রদীপ , ধুপ দানি সব রেডি করলাম।
ফল ধুয়ে কেটে নিলাম , মিষ্টির প্যাকেট খুলে ঠাকুরের সামনে সামনে সাজিয়ে উৎসর্গ করলাম। ধুপ দ্বীপ জ্বালিয়ে আরতি করলাম। এভাবেই আমি এবারের জন্মাষ্টমী পালন করলাম।
এর ফাঁকে আমি ঠাকুরের কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।
সে গুলো এখন আপনাদের সামনে শেয়ার করছি।

ছবিগুলো আমার samsung s20 ultra মোবাইল ফোন এ তোলা।