কুকু দা'র ধাবা
প্রথমদিন দিল্লী আসার পর খাবার দাবার এর ব্যবস্থা ছিল না অজ্ঞতা আশেপাশের খাবার এর দোকান খুজছিলাম।রাস্তার পাশেই দেখতে পেলাম কুকু দা র দাবা। ভিতরে ঢুকলাম ভাবলাম কিছু বাঙালি খাবার পাওয়া যায় কি না কিনতু সে আশায় বলি দিয়ে কুকু দা জানালো রুটি আর থালি পাওয়া
যাবে। কি আর করা সেটাই সোনামুখ করে খেয়ে নিতে হবে।
অর্ডার দিলাম বাটার নান, গ্রেভি চিকেন।
তারা খাবার অর্ডার দেওয়ার পর রান্না শুরু করল কিন্তু আমাদের তো পেটে ছুঁচো দৌড়াদৌড়ি করছিল। তাই বেশিক্ষণ দেরি করতে পাচ্ছিলাম না। তাদের কে তাড়া দিচ্ছিলাম খাবার দেওয়ার জন্য । ১৫ মিনিট পর দোকানের একটি ছেলে খাবার নিয়ে এলো । খাবার এর থালি গুলো দেখতে বেশ আকর্ষণীয় । আমরা আর বেশি দেরি না করে খাওয়া শুরু করলাম। বেশ সুস্বাদু। বাটার নান টা বেশ ভালো খেতে সাথে গ্রেভি চিকেন , অল্পকিছু বাসমতি চালের ভাত ছিল । দিল্লী বা উত্তর প্রদেশ এ ভাত খুব একটা পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সৌভাগ্য বলতে হবে।
আমরা ভাবলাম পাঞ্জাবি খাবার কেমন কি হয় খাবার কিন্তু খাবার যথেষ্ট ভালো ছিলো। দোকানে র নামটা ও বেশ এসপেশাল।
চিত্ৰ:১
কুকু দার ধাবা টি বেশ সাজানো গোছানো। ঝলমলে আলো ও বেলুন দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। দেখতে বেশ সুন্দর। লাল নীল বলের মধ্যে লাইটিং করা । এই জিনিসটা আমার বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে।
চিত্র:২
খাবারের থালি। এক থালি র ভিতর সব ধরণের খাবার একটু একটু দেওয়া হয় ।
চিত্র:৩
থালি তে আছে বাসমতি চালের ভাত, চিকেন , কালারফুল পেঁয়াজ, সালাদ ও বাটার নান, ডাল ফ্রাই।
চিত্র:৪
চিত্র:৫
নিরিবিলি আকর্ষণীয় বসার জায়গা।
চিত্র:৫
এখানে চায়ের ব্যবস্থাও আছে। কেউ চাইলে খাওয়াদাওয়া পর্ব শেষ করে চা এর চাহিদাটাও মিটিয়ে নিতে পারে। এখানকার চা এর স্বাদ অসাধারণ কারণ ফ্রেশ দুধ দিয়ে চা তৈরি করা হয়।
যা হোক আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়িতে ফিরলাম । ফিরেই স্নান করে নিলাম কারণ জার্নিতে শরীরের উপর দিয়ে বেশ ধকল যায়। স্নান করে ফ্রেশ হয়ে সেদিনকার মতো ঘুমিয়ে পড়লাম।
ছবি: কুকু দার ধাবা
স্থান: বৈশালী, দিল্লী
ছবি তোলার ডিভাইস: Samsung S20 ultra
ছবি তোলার তারিখ: 27 অক্টোবর,২০২১
দিদি, আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছে অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো। দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকবেন।