আজ খেয়াল বাবুর স্কুলে
গত কিছুদিন ধরে খুব ব্যাস্ত সময়ের মদ্ধ দিয়ে যাচ্ছি। ভোর পাঁচটা থেকে আমার দিন শুরু। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খেয়াল এর জন্য সকাল বেলার খাবার তৈরি , স্কুলের টিফিন রেডী করা, স্কুলে যাওয়ার জন্যে রেডী করা ইত্যাদি হাজার একটা কাজ এসে জুটেছে। তারপর ওকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া ,স্কুল ছুটি হলে আবার বাড়ি নিয়ে আসা। প্রতিদিন এসব নিয়েই দারুন ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি।
করোনা কালীন ছুটির পর স্কুল গুলো আবার ছাত্র ছাত্রীদের পদ চারনায় মুখরীরিত হয়ে উঠেছে। সকাল ৮ টা থেকেই মর্নিং শিফট শুরু। প্রায় সব স্কুলে এই সময় ক্লাস শুরু হয়। ছাত্র ছাত্রী দের সকালে ওঠার অভ্যাস টাই চলে গিয়েছিল সেটা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।খেয়াল কেই ধরুন না করণাকালিন সময় এ অনেক টা অলস ভাবেই সময় কাটিয়েছে ,অনলাইন ক্লাস চললেও সেটা কতটা শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারে। বই এর শিক্ষা কিচুটা লাভ হলেও বাস্তব সম্মত শিক্ষা পাওয়া বেশ শক্ত।
যা হোক করোনা সময় পার করে এখন সাভাবিক সময় ফিরে শিক্ষার্থী রা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পেরেছে এটাই অনেক ।
গত ১১তারিখ থেকে খেয়াল রেগুলার ক্লাস করছে ।আরআমার ও ব্যস্ততা বেড়েছে।
যা হোক বেশ কয়েকদিন ধরেই আপনাদের থেকে দূরে আছি । সময় এবং সুযোগ কিছুই মিলছে না ।
আজ সকাল সকাল উঠে খেয়াল বাবুর জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করলাম , স্কুলের জন্য টিফিন বানিয়ে ওকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে রেডী করলাম ,তাকে সকালে ঘুম থেকে তোলা একরকম যুদ্ধ জয় করার মতো ব্যাপার । যা হোক তড়িঘড়ি করে কিছুটা খাবার খাইয়ে ড্রেস পরিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে নিচে নামলাম।
নিচে নেমে দেখলাম ড্রাইভার রেডী হয়ে অপেক্ষা করছে । আমরা সকাল ৭.৩০ নাগাদ রওনা দিলাম। সকাল বেলায় ও রাস্তায় জ্যাম । যেতে যেতে প্রায় পৌনে ৮ টা বেজে গেলো। স্কুলে পৌঁছে আবার লিফট এর জন্য লাইনে দাড়াও সে আর এক যক্কি।
যা হোক ৮ টার পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই আমরা ক্লাস এ পৌঁছে গেলাম । খেয়াল কে ক্লাস রুমে বসিয়ে দিয়ে মিস না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম ।তারপর আবার বাসার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম । বাসায় এসে বাকি রান্না গুলো শেষ করে আবার ১১.৫০ নাগাদ খেয়াল কে আনতে গেলাম । গিয়ে দেখি ক্লাস শেষ করে খেয়াল ওর বন্ধুদের নিয়ে palygraound এ গিয়ে খেলছে । অনেকদিন পর বন্ধুদের পেয়ে সে তাড়াতাড়ি ফিরতে চাইলো না বলল কিছুক্ষণ আরো খেলবে । বললাম ঠিক আছে খেলো । আমার ও ওদেরকে দেখে খুব ভালো লাগছিল।
আমি ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছিলাম আর ও খেলছিল । এর ফাঁকে আমি ওদের প্রাণোচ্ছল সুন্দর সময়ের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম আর ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
ছবি:১
প্লে জনে খেয়াল
ছবি:২
ঘোড়ায় চড়ার মজাই আলাদা
ছবি:৩
![20220314_115959.jpg]
()
বাচ্চারা ব্যাগ রেখে প্লে জনে খেলায় মত্ত
ছবি:৪
খেয়ালের একজন বন্ধু ওর নাম আয়েশা
ছবি:৫
খেলায় ব্যস্ত খেয়াল
ছবি:৬
আয়েশা স্লাইডিং করছে
ছবি:৭
খেলাধুলা শেষে পেট পুজোর পালা।
ছবি:৭
ছবি:৮
খেয়াল দের সুসজ্জিত ক্লাসরুম
ছবি:৯
খেয়াল দের স্কুলের ক্যান্টিন।অনেক বাচ্চাই এখানে তাদের টিফিন সেরে নেয়।
স্কুল খোলা র পর থেকে খেয়াল অনেক আনন্দে আছে। পড়াশুনা, খেলাধুলা সবই চলছে পুরো দোমে। ভালো থাকুক সব শিশুরা । আনন্দ আর মজার মধ্য দিয়ে পড়াশুনা করুক , তাদের সুন্দর, সুস্থ ভবিষ্যৎ আমাদের একান্ত কাম্য ।
আজ এ পর্যন্তই । সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ছবি: যাপিত জীবন
স্থান: খেয়াল বাবুর স্কুল
ছবির মাধ্যম: আমার মুঠোফোন(samsung S20ultra )
ছবি তোলার তারিখ:১৫-৩-২০২২
আসলে বাচ্চাদের সারাদিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে ঘরে একটু বন্দিজীবন এর মতো হয়ে গিয়েছে। তাই তারা স্কুলে যেতে পেরে এখন অনেক খুশি। খেয়াল বাবুকে দেখে কিন্তু খুব কিউট এবং সুন্দর লাগছে। আর স্কুলটির সবকিছুও বেশ সুসজ্জিত।
অনেক ধ্যবাদ।ভালো থাকবেন।
ব্যস্ততা প্রতিটি মায়েরা একটু বেশিই থাকে। যাই হোক আপনি ঠিকই বলেছেন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় সকালে উঠার একটু কষ্ট কর। কারণ দীর্ঘ সময় অলস সময় পার করেছে খেয়াল। খেয়াল এখন সকালে ঘুমটা একটু বেশি, তাই আবার সকাল সকাল ওঠার অভ্যাস করতে গেলে আপনাকে একটু ব্যাগ পোহাতেই হবে। অসাধারণ ছিল খেয়ালের স্কুলের আনন্দঘন সময়টুকু এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আপনার সুন্দর মনতব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
দিদি প্রায় দুমাস পরে আমার বাংলা ব্লগে ফিরে আসলেন তাই প্রথমে আপনাকে স্বাগত জানাবো। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন!
সকালে খেয়াল ম্যাডামের স্কুল থেকেই ব্যস্ততা বেড়েছে, তাই আপনিও হয়তো পোস্ট করতে পারছেন না। আসল কথা কি করোনা আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকেই আমাদের দৈনন্দিন অভ্যেস গুলো কেড়ে নিয়েছে তাই পুরোনো অভ্যেস গুলোয় ফিরতে একটু তো সময় লাগবে। আশা করছি সামনের কয়েকদিনে পুরোনো অভ্যেসে সরগর হয়ে যাবেন আর আমাদের মধ্যে পুনরায় আগের মতো করে ফিরে আসবেন। 🤗🙏🏾
ঠিক তাই ভাই ,টানা দুই মাস আমার খুব ব্যস্ততা র মধ্য দিয়ে কেটেছে। যার জন্য পোষ্ট করার সময় করে উঠতে পারিনি , তাছাড়া গত দু বছর যে ভাবে জীবন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে তার থেকে বেরিয়ে আস্তে কিছুটা সময় তো লেগে যাবে।
দীর্ঘ দিন পরে আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি আপনাকে। আশা করছি প্রতিদিন আপনার পোস্ট দেখতে পাব এখন থেকে। আর খেয়াল বাবুর জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা।
এত ব্যাস্ততার মাঝে ছবিগুলো তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ব্যাস্ততার মাঝেই আমরা আনন্দপূর্ণ কাজগুলো খুঁজে নেই। দীর্ঘ দিন পর আপনার এমন সুন্দর পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগছে। এভাবেই নিয়মিত পোস্ট করে যাবেন।
খেয়াল বাবু তো অনেক কিউড, মিষ্টি। খেয়াল বাবু খেলতে পেরে অনেক খুশি। তাদের ক্লাস রুম + টিফিন রুম গুলো অনেক সুন্দর। পরিপাটি সাজানো গুছানো। দেখতে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ।