প্রেম মন্দির বৃন্দাবন
বছর দুই আগে দিল্লী গেছিলাম খেয়ালের বাবার একটা প্রোগ্রামে। সাথে আমার দেবর ও শাশুড়ি মা ও গিয়েছিলেন। শাশুড়ী মা'র বহু দিনের ইচ্ছে পবিত্র ধাম বৃন্দাবন দর্শনের । আমার ও ইচ্ছে ছিল বৃন্দাবন যাওয়ার। খেয়ালের বাবার অফিসের প্রোগ্রাম এর বদৌলতে সে দিল্লি থেকে গিয়েছিল।
আর আমি, আমার শাশুড়ি মা, খেয়াল ও তার ছোট কাকা
আমরা তাজ মহল থেকে দিল্লী ফেরার পথে বৃন্দাবন থেকে
গেলাম।
প্রথম দিন তেমন কিছু দেখা হয় নি কারণ অনেক টায়ার্ড হয়ে পড়েছিলাম। হোটেল আগের থেকে বুক করা ছিল ।তাই সোজা চলে গেলাম হোটেল এ ,গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কাছে পিঠে একটা হোটেল খুঁজে সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া সেরা নিলাম।
তারপর হোটেল এ ফিরলাম একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম
আশেপাশের মন্দির গুলোতে। বৃন্দাবন হল মন্দিরের
শহর।
যেদিকে তাকাবে শুধু শুধু মন্দির আর মন্দির। এত এত মন্দির যা এক বারে সব দেখে শেষ করা যাবে না।
প্রথমদিন গেলাম বনকেবিহারি মন্দির। মন্দির টা অনেক পুরোনো। তবে মন্দির বন্ধ বিধায় বংকেবিহারি কে প্রণাম করার
স্বাদ আর পূরণ হলো না।
তৃতীয় দিনে সকাল সকাল বের হয়ে পড়লাম প্রেম মন্দির দর্শনের উদ্দেশ্যে। খেয়াল বাবুকে সকাল সকাল রেডি করে সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা যে হোটেল এ ছিলাম সেটা প্রেম মন্দির থেকে খুব বেশি দূরে নয়। আমরা একটা অটো নিয়ে নিলাম। অটো তে দশ টাকা ভাড়া নিলো। মিনিট দশেক এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম প্রেম মন্দির। ভাবলাম মন্দির এর প্রসাদ নিয়ে ই পেট ভরাব কিন্তু সেটা আর হলো না। খেয়াল বাবু বিরক্ত করছিল।
মন্দিদের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখলাম, মন্দিরের ভিতরে দেখলাম পুজো হচ্ছে আমরা বেশ কিছুক্ষণ ওখানে বসে পুজো দেখলাম । মন্দিরের ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ তাই ভিতরের ছবি তুলতে পারলাম না।বাইরে এসে আমরা অনেক গুলো ছবি তুললাম।
চিত্র:১
প্রেম মন্দির
মন্দিরের ভিউ টা সত্যি খুবই সুন্দর।
চিত্র:২
এখানে শ্রী কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বত কে এক আঙুলে ধরে রেখেছেন।
চিত্র:৩
এখানে রাধা কৃষ্ণ একসাথে ঝুলন যাত্রায় সখিদের সাথে।
চিত্র:৪
এটি ও ঝুলনের আর একটি দৃশ্য
চিত্র:৫
মন্দিরে ঢোকার মুখে কয়েকটি পাথরের হাতি আছে তার একটি।
ছবি : প্রেম মন্দির
স্থান: বৃন্দাবন
ডিভাইস: Samsung S7 edge
মন্দিরের নামটা খুব সুন্দর প্রেম মন্দির ।ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে প্রথম ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। উপরে মেঘগুলোকে জীবন্ত লাগছে ।আর নিচের ভিউটা সত্যিই অসাধারন। শ্রীকৃষ্ণ কে আমার খুব ভালো লাগে। শ্রীকৃষ্ণ এক হাত দিয়ে পর্বত ধরে রেখেছে এটা আমি নাটকে দেখেছি। খুব ভালো লাগছে দেখত খুব সুন্দর হয়েছে আপু আপনার প্রত্যেকটা ছবি ।উপরের লেখাটা খুব সুন্দর করে লিখেছেন ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
অনেক ধন্যবাদ । বৃন্দাবন মন্দিরের শহর যে দিকে চোখ যায় শুধু মন্দির আর মন্দির। বহু প্রাচীন নিদর্শন এখানে দেখতে পাওয়া যায় ।
করিলাম মন,
শ্রী বৃন্দাবন,
বারেক আসিবো ফিরে।
বৃন্দাবন শুধু নাম শুনেছিলাম দেখা হয় নাই কোনদিন।
বৃন্দাবন,প্রেম মন্দির দেখে ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে ও শুভকামণা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ।
বাহ কি সুন্দর দৃশ্য আমার বন্ধু।
অনেক ধন্যবাদ।
আপনার আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। ছোটবেলা থেকেই বৃন্দাবন নামটি শুনে এসেছি কারণে অকারণে। তবে দেখা হয়নি। আজকে প্রথম দেখলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ হয়েছে। তাই সুন্দরভাবে উপভোগ করা গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মন্দিরের নাম টা সুন্দর দাদা, আর ছবির কথা কি বলবো? বিশেষ করে আপনার আজকের পোষ্ট টা পরে অনেক ভাল্লাগছে আমার
আমরা যারা সনাতন ধর্মের অনুসারী তাদের সবার ইচ্ছে বৃন্দাবন ধাম দর্শন করা। সবার ইচ্ছে থাকলেও পূরণ হয় না, সেখানে আপনি খুব ভালোভাবে এই পুণ্যভূমি দর্শন করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর আশীর্বাদ লাভ করেছেন। এর চেয়ে বড় আর জিবনে কি বা আছে। আমার এখনো যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি। তবে খুব খুব ইচ্ছে আছে এই পুণ্যভূমিতে যাওয়ার।
খুব সুন্দর দৃশ্য আপনার দিন অবশ্যই খুব মজার হবে
মন্দিরের নামটা খুবই ইউনিক এমন নাম আগে শুনি নাই। এমন একটি মন্দির আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
এটি প্রেম মন্দির,বৃন্দাবনে অবস্থিত
সনাতন ধর্মাবলম্বী দের সবচেয়ে পুন্যভূমি বৃন্দাবন পরিদর্শনের সৌভাগ্য হয়েছে।যেটা আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে মনে করি। ভগবান সকলকে এই পুন্যভূমি পরিদর্শনের সৌভাগ্য দান করোক।এই কামনা রইল
প্রেম মন্দির নিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এবং বর্ণনা দুটো অসাধারণ হয়েছে। প্রেম মন্দির সত্যিই একটি মহা পবিত্র স্থান। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।