ছুটির দিনে আমরা পেপারনি রেস্তোরাঁ থেকে ঘুরে আসলাম
গতকাল ছিল শুক্র বার ,ছুটির দিন। ছয় দিন ধরে খেয়াল অপেক্ষা করে কবে শুক্র বার আসবে। আর ওই দিনে একটু বাইরে যাবে। সারা দিন বসে ছিল সন্ধ্যা বেলা তাঁর বাবার সাথে ঘুরতে যাবে।আমরা সব সময় কাছাকাছি ঘুরতে যাই কিন্তু গত কাল খেয়ালের বাবা বলল আমরা পেপারনি রেস্ত্রুরেন্ট এ ঘুরে আসি।এটা আসলে বড় কোনও restrurent নয়। কিন্তু ঢাকা শহরের কলাহল থেকে একটু নিরিবিলি , সবুজের ছোঁয়া পাওয়া যায়।আমরা আগেও দু এক বার ওখানে গিয়েছি।বেশ ভালই লাগে।
খেয়াল ও খুব পছন্দ করে পেপারনি তে যেতে। ইচ্ছা ছিল বিকেল বিকেল বেরোনোর কিন্তু খেয়াল এর বাবা দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পরেছিল আর আমার দুপুরের খাওয়ার পর ভাত ঘুম দেওয়ার ।তাই দেরি হয়ে গেল।সন্ধ্যা হয়ে গেছিল এই মোটামুটি ৭ টা নাগাদ বের হলাম। শুক্র বার থাকায় আমাদের ড্রাইভার ছুটিতে থাকায় জাহিদ ভাই কে আসতে বলা হল। জাহিদ ভাইএর গাড়ি বেশ বড়। যা হোক রওনা দিলাম পেপারনির উদ্দেশে।পেপারনি ঘটার চর এর মধ্যে বেরিবাধ এলাকায়।বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় কিন্তু জ্যাম থাকার কারণে যেতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল।এখন লকডাউন
না থাকায় রাস্তায় ভালই জ্যাম ছিল।খেয়াল তো পথে ঘুমিয়ে পড়ল।
৮টা নাগাদ আমরা পেপারনি তে পৌছে গেলাম।গাড়ি থেকে নেমে খেয়াল দৌড়ে চলে গেল ভিতরে ।জায়গাটা বেশ সুন্দর চার পাশে গাছ পালা , চর এলাকা, নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ।
ঢাকা শহরের কলাহল এখানে নেই বললেই চলে। ভিতরটা বেশ আধুনিক করেছে।
ঢুকেই আমার কাজ শুরু করলাম ,বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ফেললাম।খেয়াল বাবু ও তাঁর নিজের ছবি তুলল।
ছবি : ১
পেপারনি র ঢোকার গেট
গেট টি খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে ।লাইট ,কালার সব চোখে লাগার মতো।
ছবি: ২
গেটের ভিতরে খোলা আকাশের নিচে বসার জায়গা।
সবুজ গাছাপালা ঘেরা পেপারনি
ভিতরে বেশ সাজানো গোছানো
খাবার অর্ডার করলাম
খাওয়া দাওয়া শেষে এবার বার ফেরার পালা।৯:৩০ নাগাদ আমরা গাড়িতে উঠে পড়লাম আর বাসার উদ্ধেশে রওনা দিলাম। পথে পথে আসতে আসতে মনে পড়ল বাসায় সব্জি নেই তাই কাছের একটি বাজার থেকে কিছু সব্জি কিনে নিলাম।তাঁর পর ১০ টা নাগাদ আমরা বাড়ি ফিরে আসলাম।
পেপারনি রেস্তোরাঁয় অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন এবং রেস্তোরাঁটি বেশ সুন্দর ছিল।আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ছবি গুলো ধৈর্য ধরে দেখার জন্য।আপনি ও ঘুরে আসুন পেপারনি তে ভাল লাগবে।
খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন সময়টা।আপনার বাচ্চাটা অনেক সুন্দর।ও দেখি চামচ রেখে হাত দিয়ে খেতে শুরু করে দিয়েছে।
ধন্যবাদ।পেপারনি তে ঘুরে আসুন আশাকরি ভাল লাগবে।
অবশ্যই চেষ্টা করব।
দিদি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আপনার বাচচাটা খুব কিউট। রেস্টুরেন্টটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনার বাচ্চা বোধহয় নুডুলস খুব পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ , ও নুডুলস খেতে বেশ পছন্দ করে।