প্রায় দুই বছর পরে আবার স্কুল গুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে
করোনা মহামারী র কারণে স্কুল গুলো প্রাণহীন ছিল গত দু বছর ধরে।
স্কুলের চিরাচরিত চিত্র প্রায় বিলীন হয়ে যেতে বসেছিল।যেখানে ছাত্র ,শিক্ষক দের পদচারণায় সারাদিন মুখরিত থাকতো সেখানে গত দুবছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল স্কুল গুলো।
করোনা ছেলেমেয়েদের স্বাভাবিক স্কুল জীবনের আনন্দ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে,তারা হয়ে পড়েছিল ঘর বন্ধি।খেলাধুলা, পড়াশুনা সব কিছুই বাধা পাচ্ছিল।অনেক বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।কিন্তু কিছু করার ও নেই বেঁচে থাকার লড়াই এ শিক্ষা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
প্রায় বছর দুই পরে করনার সংক্রমণ কমে আসায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কলেজ খোলার।তাতে ছাত্র ছাত্রী ,শিক্ষক রা তাদের পুরোনো আমেজ ফিরে পেয়েছে।
আজ খেয়াল দের 2nd term পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে ওদের স্কুল এ গিয়েছিলাম। দেখলাম ছোট বড় কিসব ছাত্র ছাত্রী সবাই ভীষণ খুশি, তারা ড্রেস পরে সুন্দর করে সেজে গুঁজে বই খাতা নিয়ে স্কুলে এসেছে।দেখলাম সাস্থ বিধি মেনে বড়দের ক্লাস চলছে।তবে pre প্রাইমারি ক্লাস এখনো শুরু হয় নি।
আমি খেয়াল কে নিয়ে উপরে চলে গেলাম, ওদের মিস আমাকে বলেছিল 901 no রুমে ওদের রেজাল্ট দেবে ।আমি সরাসরি ওখানে চলে গেলাম। আগে ওদের ক্লাস ওখানে হতো, পরে অবস্য চেঞ্জ করে নীচে দিয়েছিল কিন্তু করোনার জন্য ক্লাস আর করা হয়ে ওঠেনি ওদের।
যাহোক 12 টার সময় আমাদের যাওয়ার কথা থাকলেও আমাদের একটু দেরি হয়ে গেছিল তাই দেখলাম ওখানে কোনো মিস নেই ।আমি তখন ওদের ক্লাস teacher এর সাথে যোগাযোগ করলাম তিনি আমাকে বললেন ৩ তলায় এডমিন এ যোগাযোগ করতে।আমি খেয়াল কে বললাম তুমি কি খেলবে প্লে গ্রাউন্ডে নাকি আমার সাথে যাবে।সে বলল আমি কিছুক্ষন খেলি তুমি রেজাল্ট নিয়ে এসো।
খেয়াল ছাড়াও ওর আরো দু একজন বন্ধুরা এসেছিল ওরা সবাই একসাথে প্লে গ্রাউন্ডে খেলতে শুরু করলো।পিওনি, রুষণফ, খেয়াল ওরা একসাথে খেলছিল আর খুব মজা করছিল।মনে হচ্ছিল আমার মেয়েটা অনেক দিন পরে মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারলো।
বন্দি জীবন ওদের শৈশবের আনন্দ,উচ্ছলতা সরলতা সব কিছু কেড়ে নিয়েছিল,আজ মনে হচ্ছিল তারা সকল বন্দিদশা থেকে মুক্ত হলো।প্রানৌচ্ছল নৌকার বেগে ছুটে চললো কিচ্ছুক্ষন।
খেয়াল ও ওর বন্ধুদের কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম ,আমার ও ওদের এইভাবে আনন্দ করতে দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেল।
খেয়াল ও তার বন্ধুদের আনন্দ ঘন মুহূর্ত গুলি ক্যামেরা বন্দি করে ফেললাম ।
চিত্ৰ:১
চিত্র:২
চিত্র:৩
চিত্র:৪
চিত্র:৫
চিত্র:৬
চিত্র:৭
চিত্র:৮
ছবিগুলি আমার samsung ultra s20 ফোনে তোলা।
আপনি ঠিকই বলেছেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে এতে সকল শিক্ষার্থী ই খুব আনন্দিত হয়েছে।বাচ্চাদের আনন্দ ঘন ছবি গুলো খুব ভালো লাগছে।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেকদিন পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে
বাচ্চারা এবার বাইরের মুক্ত পরিবেশে স্বস্থির নিশ্বাস ফিরে পাবে।ধন্যবাদ দিদি।
বাচ্চাদের সাথে সাথে আমরা মায়েরাও স্বস্তি পেলাম।
স্কুল খোলা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ ছিলোনা দিদি। তাদের আসল ভয় ছিলো, করোনা, তাঁরা বাচ্চাদের মানসিক অবস্থার কথা একবারও ভাবছিলেন না। স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা খেলবে, পড়বে এটাতেই তো সকলের ভালো।
করোনা একটা বড় ইস্যু যা ছোট বড় সবার জীবনযাত্রা একদম স্থবির করে দিয়েছে। করোনা র এখনো কারো মন থেকে যায় নি আর সেটা যাবেও না।
ভীতি সঞ্চার করতে সক্ষম। মানুষ একটু সচেতন ভাবে না চললে করোনা যাবার নয়।