গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস
শুভ দীপাবলী
দীপাবলী র আলোয় সকল অন্ধকার কাটিয়ে সবার জীবন ভরে উঠুক আলোয় আলোয়।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন বন্ধুরা। আজ আপনাদের কে খুব সহজে পায়েস রান্নার একটি রেসিপি শেয়ার করবো।
আসুন তা হলে শুরু করা যাক:
খুব অল্প উপকরণ দিয়ে গভিন্দ ভোগ চালের পায়েস রান্না করলাম আজ। দারচিনি, এলাচ , বাদাম ছাড়া পায়েস এই প্রথম রান্না করলাম। রান্না করা র পর ভাবছিলাম খেতে খুব খারাপ হবে কিন্তু অতটা ও খারাপ হয়নি। বেশ ভালোই লাগছিলো খেতে।
খেয়াল কয়েকদিন ধরেই বলছিল মা পায়েস রান্না কর কিন্তু পায়েস রান্না করার জন্য তেমন কোনো উপকরণ ই ছিল না।
এখানকার একটি শপিং মলে র সুপার্শপে গিয়ে শুধু গোবিন্দ ভোগ চাল আর চিনিটাই পেলাম। তাই নিয়ে আসলাম । আর কাছের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২লিটার দুধ নিয়ে আসলাম। এখানে দুধ খুব ভালো পাওয়া যায় , একদম ফ্রেশ ।
রান্নার উপকরণ:
গোবিন্দ ভোগ চাল
দেড় লিটার দুধ
চিনি এক কাপ এর মত
লবন এক চিমটি
রান্নার পদ্ধতি:
ধাপঃ১
প্রথমে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিলাম। দুধ এমন ভাবে ফুটালাম যে অনেক গাঢ় হয়ে আসলো। কারণ দুধ যত গাঢ় হবে তত পায়েস খেতে মজা লাগে।
ধাপঃ২
দুধ অনবরত নাড়তে থাকলাম। নাড়তে নাড়তে একসময় বেশ ঘন হয়ে আসলো ।
ধাপঃ৩
দুধ ঘন হয়ে আসার পর এতে ১এক কাপ পরিমান ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ৪
চাল দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকলাম কারণ চাল দুধের মধ্যে দেওয়ার পর নাড়ানো না হলে একটার সাথে একটা লেগে যায়। যার কারণে পায়েস ভালো হয় না।
ধাপঃ৫
চাল টা ফুটে আসার পর পায়েসের ভিতর দিয়ে দিলাম পরিমান মতো চিনি । চিনি টা পরেই দিতে হবে কারণ চিনি আগে দিয়ে ড8লা চাল ফুটতে দেরি হয়। তাই চাল কিছুটা ফোটার পরই চিনি দিতে হবে।
ধাপঃ৬
এবার দুধ, চাল , চিনি একসাথে কিছুক্ষণ জাল দিতে থাকলাম আর অনবরত নাড়তে থাকলাম। দুধ সহ চাল , চিনি ঘন হয়ে আসার পর নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ৭
এখনো পায়েস নামিয়ে ছোটছোট বাটিতে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করলাম।
কোন রান্না সুন্দর করে পরিবেশন ও অনেক টা জরুরি কারণ পরিবেশনের সৌন্দর্য খাবার আকর্ষণীয় করে তোলে।
এখন পায়েস ঠান্ডা হয়ে আসলে তারপর সবাইকে পরিবেশন করলাম। আশাকরি রেসিপিটা সবার ভালো লাগবে।
সব ছবি গুলোর আমার SamsungS20ultra ফোনে তোলা।
আপনার পায়েস টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।খুবই যত্ন নিয়ে রান্না টি করেছেন।আপনার রান্নার প্রণালী টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
পায়েস টা দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আশা করি খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আর আপনি চিনি না কতটা দিয়েছেন যায়না তবে আমি একটু বেশি করেই দিই যাতে খেতে অনেক বেশি মিষ্টি হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পায়েসের রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
পায়েস আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। যদি বাড়িতে তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে তো আরো বেশি ভালো হয়। আপনার আজকের পায়েস রান্নার রেসিপি টা খুবই অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে আপনি প্রতিটি ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে যে কেউ খুব খুব সহজেই রান্না করতে পারবে। অনেক ভালো লাগলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পায়েস রান্নার রেসিপি শেয়ার করলেন। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ । পায়েস আমার খুব প্রিয় একটি খাপার ।
আপু আপনার পায়েসটা দেখতে এত সুন্দর হয়েছে যে মনে হচ্ছে এখনই নিয়ে খেয়ে ফেলি। দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ।
গোবিন্দভোগ চালের নাম শুনেই তো জিভে জল চলে এসেছিল পায়েস এর কথা তো বাদই দিলাম, হিহিহি। পায়েস খুবই মজাদার একটি খাবার। এবং কি কমবেশি সবাই পছন্দ করি। আপনার পায়েস রান্না টি খুবই ভালো লেগেছে। এবং খুব সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইল আপু।
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
পায়েস আমার খুবই প্রিয়। পায়েস এর রেসিপি দেখে পায়েস খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে গেল।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
পায়েস এমনিতেই একটি দুর্দান্ত খাদ্য। প্রতিটি পর্যায়ে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে এবং অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। সর্বশেষ কনটেন্ট এর মূল বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে
অনেক ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপি পায়েস টা অনকে লভোনিও ও অনকে সুন্দর হইসে এবং আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
কি পায়েস রেঁধেছেন আপু দেখেতো লোভ সামলাতে পারছিনা ।একটা বাটি নিয়ে নেব ?পায়েসের কালারটা যা হয়েছে না একেবারে দুর্দান্ত ।অনেক ধন্যবাদ আপু মজাদার একটি খাবারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
এখানে চলে আসেন অবশ্যই পাবেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি শুভেচ্ছা নিবেন। এই সেই গোবিন্দ ভোগ চাল যা শ্রী গোবিন্দ পূজার ভোগে দেয়া হয়। যে কারনেই এই চালের নাম হয়েছে গোবিন্দ ভোগ। আমাদের এখানে তো পাই না। আছে কিনা জানি না। যদি খেজুরের গুড় দিয়ে মিষ্টান্ন রান্না করা যায় তাহলে হয়তো আরো স্বাদ হবে। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
হ্যাঁ, গোবিন্দ ভোগ চাল দিয়ে পায়েস বা মিষ্টান্ন খুব ই ভালো হয়। ভালো থাকবেন।