ইন্দ্র মোহন সুইটস
ইন্দ্র মোহন সুইটস একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান।এটি খলনা র একটি ঐতিহ্যবাহি মিষ্টি বিপনি বিতান।ব্রিটিশ আমল থেকে এটি এখন ও এক ই সুনাম ধরে রেখেছে।অনেক ধরে ইচ্ছা ছিল ইন্দ্র মোহন এর মিষ্টি খাওয়ার।আজ হঠাৎ করে ই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর চলে ইন্দ্র মোহন সুইটস এ।
খুলনা ডাকবাংলা মোড় থেকে ভিতরে ঢুকে বড় বাজারের মধ্যে বেশ খানিকটা ভিতরে দোকান ।ছোট বেলায় দেখেছি দোকান
টি মেইন রাস্তার উপরে ছিল।এখন বেশ ভিতরে নিয়ে গেছে।দোকান এ গিয়ে জানতে পারলাম দোকান এর মালিক ইন্দ্র মোহন অনেক আগেই গত হয়েছেন।মালিকের ছেলের বয়স ৯২ বছর।তাঁরা কেউ এখন বাংলাদেশে থাকেন না ,সবাই কলকাতার বাসিন্দা।দোকানে আছেন একজন করমচারি যার বয়স আনুমানিক ৭০, সে গত ৩০ বছর যাবৎ এই দোকানে আছেন।
দোকানের অবস্থা খুব ই খারাপ। তিন চার প্রকার মিষ্টি এখানে তৈরি হয় রসগোল্লা, কালজাম আর ছানা।এর বাইরে তাঁরা কিছু তৈরি করে না। খুলনা র বড় বড় সরকারি বেসরকারি অফিস এই দোকান থেকে মিষ্টি নেয়।তাঁদের আর একটি এস্পেসালিটি তাঁরা এখন ও কলাপাতায় মিষ্টি সরবরাহ করে।
গরম গরম মিষ্টি কলাপাতায় মুড়ে খেতে অসাধারন লাগে।আমি ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি ,আজ ও সে এক ই রকম স্বাদ পেলাম।
বিশেষ করে রসগোল্লা তো অপূর্ব খেতে,ছানার সন্দেশ এর ও তুলনা নেই। মিষ্টি কিনতে কিনতে দোকান এর কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম ।আশাকরি সবার ভাল লাগবে ইন্দ্র মোহন সুইটস এর ফোটো গুলো।
ইন্দ্র মোহন সুইটস যাওয়ার রাস্তা
ইন্দ্র মোহন সুইটস
ইন্দ্র মোহন এর পান্তুয়া
ইন্দ্র মোহন এর রসগোল্লা
ইন্দ্র মোহন এর সন্দেশ
মিষ্টির দামের তালিকা
সন্দেশ
বন্ধুরা আপনারা কেউ খুলনা এলে একবার ইন্দ্র মোহন সুইটস
ঘুরে মিষ্টি খেয়ে যাবেন ।আশাকরি সবার খুব ভাল লাগবে।
মালিকহীন দোকান যেন অভিভাবক হীন হয়ে পড়েছে। এতো পুরোনো দোকান অথচ এতো করুন অবস্থা! সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
তবে একটা ইতিবাচক দিক, তাঁরা মিষ্টির মান এখন আগের মতোই ধরে রেখেছেন।
হ্যাঁ,মিষ্টির দোকানের মালিক কলকাতার বাসিন্দা,কিন্তু দোকানের পুরনো কর্ম চারিরা তাঁদের সুনাম ধরে রেখেছেন।
দোকানের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে ঘাটতি রয়েছে।
সেটা তো ঠিক আছে ,দোকান টির ও যে খারাপ অবস্থা
খুলনার ডাক বাংলার মোড় আমার খুব পছন্দের জায়গা ছিল দিদি। এমন একটা জায়গা যেখানে মোটামুটি সাশ্রয়ী মূল্যে সব কিছু পাওয়া যায়। আর এই মিষ্টির দোকান টাও আমি দেখেছি, কিন্তু খেয়ে দেখা হয় নি। সাতক্ষীরা ঘোষ ডায়েরি নামে একটা মিষ্টির দোকান আছে নাহ্? আমি বলা চলে রোজ ওখান থেকে কিছু না কিছু খেতাম। স্বাদেও বেশ ছিল সব রকমের মিষ্টি।