লা জবাব ডিপার্টমেন্টাল স্টোর
দিল্লি এসে আমারা যে এলাকায় উঠেছি জায়গাটি একটি আবাসিক এলাকা। এখানকার বাড়ি গুলো মোটামুটি একই উচ্চতার। চার পাঁচ তোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। হাই রাইজ বিল্ডিং এখানে নেই বললেই চলে। শান্ত শিষ্ট একটা নিরিবিলি পরিবেশ । বড় কোনো দোকান পাট নেই , ভরসা একমাত্র একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর । দোকান খুব বেশি বড় না হলেও সব ধরণের জিনিস নিত্ব প্রয়োজনীয় জিনিস এখানে পাওয়া যায়। হটাৎ কোনো কিছু দরকার হয়ে পড়লে খুব সহজেই লা জবাব থেকে আমরা দরকারি জিনিস টা নিয়ে আসি। লা জবাব থাকায় আমাদের অনেকটা সুবিধাই হয়েছে বলতে হবে।অচেনা অপরিচিত জায়গায় এসে হঠাৎ করে তেমন কিছুই চেনা না থাকলে এমন একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর প্রাত্যহিক জীবনের অনেক চাহিদা মিটিয়ে ফেলতে পারে।
আমরা এখানে আসার পর থেকে মোটামুটি জল,তেল, লবন
থেকে শুরু করে চাল, ডাল সবই এই দোকান থেকে কিনে
থাকি। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লা জবাব খোলা থাকে।
খেয়াল কে ও মাঝে মাঝে দোকান টায় নিয়ে যাই ওর পছন্দ
মতো চকলেট ,কোল্ডড্রিংক , চিপস এগুলো কিনে নিয়ে
আসে।সব সময় ওকে নিয়ে আসলে বাইরে যাওয়া সম্ভব হয়
না । লা জবাব ওর জন্য ভালো একটি অপশন।
আজ বিকেলে গিয়েছিলাম কিছু কেন কাটা করতে ভাবলাম
কয়েকটি ছবি তুলে ফেলি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
চিত্র:১
লা জবাব এর ফ্রন্ট সাইড। গ্রাউন্ড এর ভিতরে মেইন দোকানটি।
চিত্র:২
রাস্তা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে চলে যেতে হয়।
চিত্র:৩
![20211111_142305.jpg]
()
দোকানে ঢোকার মুখেই শাড়ি শাড়ি ঝোলানো চিপস এর প্যাকেট।
চিত্র:৪
দোকানের ভিতর হরেক রকমের জিনিসে ঠাসা। সব ধরণের জিনিসই এখানে পাওয়া যায়।
চিত্র:৫
লা জবাব আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে র সঙ্গী হয়ে উঠেছে। যে কোন প্রয়োজনে ওদের ফোন নম্বরে কল করলে ওদের ডেলিভারী বয় এসে জিনিস পত্র পৌঁছে দিয়ে যায় । লা জবাব এর মত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর প্রাত্যহিক জীবনে র অনেক প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে।
এই ডিপার্টমেন্ট গুলো আসলেই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে৷
কারণ এই ডিপার্টমেন্ট গুলোতে আসলে সব ই থাকে। যার কারণে দূরের সুপার শপ গুলোতে আর যেতে হয়না। এলাকাতেই সব পাওয়া যায়৷
হ্যাঁ,এক দম ঠিক বলেছেন আপু। আর অপরিচিত জায়গা হলে তো সহজে সব কিছু পাওয়া যায় না। তখন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গুলো অনেক কাজে দেয়।
ভাই যদিও দিল্লি যাওয়া হয়নি ।তবে এমন বড় বড় দোকান গুলোতে প্রোয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায় ।অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার হয়না ।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
ঠিক তাই
আপু আমার কাছে দোকানের নামটা খুব মজার লেগেছে। লা-জবাব কেমন একটি ভালো লাগা কাজ করে নামের মধ্যে। দোকানটাতে আবার একটু সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে হয় এ বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে । বাসার আশেপাশে এরকম একটি দোকান থাকলে আসলেই অনেক উপকার হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এই দোকান থেকে খুব সহজেই পাওয়া যায়।
হ্যাঁ, দোকান গুলো খুব কাজের।