লাল বাগ কেল্লা ভ্রমণের স্মৃতি
লাল বাগ কেল্লা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। ঢাকার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরানো ঢাকার লাল বাগ নামক স্থানে লাল ব্যাগ কেল্লা অবস্থিত।
সম্রাট আরঙ্গজেব এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন আর এটি র নির্মাণ এর পরিকল্পনা করলেও কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারই পুত্র মুঘল সুবেধার মুহাম্মদ আজম শাহ।
শুরুতে লাল বাগ কেল্লার নাম ছিল আরঙ্গগবাদ দুর্গ বা আরঙ্গগবাদ কেল্লা।
পরবর্তীতে এলাকাটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় লাল বাগ এলাকা এবং এলাকার নামের সাথে মিল রেখে দুর্গটির নাম রাখা হয় লাল বাগ কেল্লা।
বর্তমানে সুবেদার সাহেস্থা খানের দরবার হল ও বাস ভবন লাল বাগ কেল্লার জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। লাল বাগ কেল্লার চারটি প্রধান ফটক থাকলেও এর মধ্যে দুইটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান ফটক এর একটি প্রবেশ দার হিসাবে ব্যবহৃত হয় । ছুটির দিনে সকাল থেকে প্রচুর দর্শনার্থী এসে লাল ব্যাগ কেল্লার প্রাচীন নিদর্শন অবলোকন করে।
সে বেশ কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম লাল বাগ কেল্লায়। তখন আমরা ঢাকার যে এলাকায় থাকতাম সেখান থেকে লাল বাগ কেল্লার দূরত্ব খুব বেশি ছিল না তার পরও কেমন জানি যাওয়া হয়ে উঠত না। এক শুক্র বার ঠিক করলাম লাল ব্যাগ আজ যাবোই । যা ভাবা সেই কাজ , সক্কাল সক্কাল উঠে পড়লাম আর সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম । আমি আবার কোথাও যাওয়ার কথা থাকলে বেশি দেরি করতে পারি না। তাড়াতাড়ি সবাই রেডি হয়ে গেলাম । আমাদের বাসা থেকে লাল বাগ কেল্লা রিকশায় তখন ১০টাকা নিত। দুটি রিকশা ঠিক করা হলো এক এক রিকশায় তিন করে উঠলাম । ১0 মিনিটের মধ্যে আমরা কেল্লায় পৌঁছে গেলাম। কেল্লায় ঢোকার মুখেই প্রধান ফটকের সামনে র থেকে টিকিট কেটে নিলাম।
এটাই প্রধান প্রবেশ দার। এই প্রবেশ দার দিয়ে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। এই প্রবেশ দার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
কেল্লার মূল অংশ। এই দুর্গের ভিতর আরঙ্গজেব এর বাস ভবন ও দরবার হল। এখন অংশটি জাদু ঘর হিসাবে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
কেল্লার মূল ফটকের সামনে সুন্দর সরোবর দ্বারা সজ্জিত ছিল। কালের বিবর্তনে যা আজ ম্লান।
কেল্লার দোকার রাস্তা । এই রাস্তা র দু পাশ দিয়ে সুসজ্জিত ভাবে রয়েছে গাছের সারি আর সবুজে র সমারোহ।
লাল বাগ কেল্লা র ভিতর রয়েছে অনেক পুরোনো নিদর্শন যা আমাদের ঐতিহ্য কে করেছে সমৃদ্ধশালী। এবং এর আয়তন ক বেশ বড়। তাই পুরো কেল্লা টি দেখতে আমাদের বেশ সময় লেগে গেল । মোটামুটি বিকাল ৫ টা নাগাদ আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
ছবি:লাল বাগ কেল্লা
ছবি তোলার মাধ্যম: সনি এরিকসন মোবাইল
ছবি তোলার সময় কাল: ২৩ -২ -২০১১
লালবাগ কেল্লার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা আছে কিন্তু জায়গাটিতে এখনো যাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন লালবাগ কেল্লায় যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।❤️❤️
লাল বাগ থেকে ঘুরে আসুন আশা করি ভালো লাগবে।
লাল বাগ কেল্লা সম্পর্কে বইয়ে অনেক শুনেছি পরেছি। তবে নিজে কখুনো জায়নি নিজ দেশে এতাও পুরাতন স্তম্ব সত্যি দারুন ধন্যবাদ আপনাকে লাল বাগ কেল্লা নিয়ে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা।
অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
লালবাগ কেল্লার অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি বর্ণনাসহ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আমিও গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি লালবাগ কেল্লার মধ্যে মনে রাখার মত
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
একবার ঢাকা গিয়ে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম এই কেল্লা। কিন্তু কিছু কারণে ভেতরে আর ঢোকা হয়নি। বহু রহস্য রয়েছে এই কেল্লা ঘিরে। কেল্লাটা অনেক সুন্দর দেখতে। এবং পোস্টের ছবি এবং উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপু খুব সুন্দর ভাবে আপনি লালবাগ কেল্লার বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়লে লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে যারা জানেন না তারা অনায়াসে জানতে পারবে। তাছাড়া আপনি চমৎকার কিছু ছবি শেয়ার করেছেন লালবাগের কেল্লার। ছবি গুলো আসলেই দেখেতে অনেক ভালো লাগছে। আমিও অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা করার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকে
লালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের পুরনো ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক একটি স্থান। বিভিন্ন ভ্রমণপিপাসু লোকজন প্রতিবছর এখানে ভিড় জমায় জায়গাটি একনজর দেখার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন লালবাগের কেল্লা। আপনার পোস্টে ফটোগ্রাফির গুলো দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।