লেভেল- ৩ হতে আমার অর্জন ; by @mstnusrat

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
লেভেল-৩

IMG_20220203_180452.jpg

আসসালামু আলাইকুম এবং আদাব। কেমন আছেন সবাই। সকলের দোয়া এবং আশীর্বাদ নিয়ে আমি লেভেল -৩ এর লিখিত পরীক্ষা শুরু করছি।

abb স্কুলের মাধ্যমে লেভেল ১ ও ২ পার করে এবার আমি ৩ এর পরীক্ষা দিতে চলেছি। লেভেল -৩ এ আমি অনেক নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় শিখতে পেরেছি এজন্য খুব ভালো লাগছে। আমাদের প্রফেসরদের প্রতি জানাই আমার অগাধ কৃতজ্ঞতা। তাদের আন্তরিকতা এবং পরিশ্রমের জন্যই আমরা এসকল নতুন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারছি।

আমার পরীক্ষা শুরু করছি।

১.মার্কডাউন কি ?
উত্তর :আমরা যে সকল কন্টেন্ট তৈরি করি সেগুলোর লেখা সুন্দর এবং মার্জিত করে উপস্থাপন করার জন্য যেসকল কোড বা চিহ্ন ব্যবহার করি সেগুলোকে মার্কডাউন বলে। মার্কডাউন ব্যবহার করে আমরা লেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি।

২.মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
উত্তর : আমাদের কন্টেন্ট গুলোকে সুন্দর করতে মার্কডাউন ব্যবহার করা প্রয়োজন। পোস্টের মাঝে যদি কোনো সৌন্দর্য না থাকে বা আকর্ষণীয় হয়ে না ওঠে তাহলে পাঠক সেগুলো পড়তে চাইবে না। একটা কথা আছে,
< আগে দর্শনদারী তারপর গুনবিচারী।
তাই পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে বা বেশি সাপোর্ট পেতে হলে মার্কডাউন এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। একটি সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করতে মার্কডাউন এর ব্যবহার জরুরি। মার্কডাউন এর ব্যবহার করলে আমরা লেখায় লাইন সোজা করতে পারবো, হেডিং দিতে পারবো, ইচ্ছে মতো সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবো। সুতরাং বলা যায় লেখাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং কোয়ালিটি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করতে মার্কডাউন এর ব্যবহার অতীব জরুরি।

৩.পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো
প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে যায়?

উত্তর : পোস্টের মাঝে মার্কডাউন এর কোডগুলো তিনটি উপায়ে দৃশ্যমান করা যায়। লেখার শুরুতে চারটি স্পেস দিয়ে, লেখার শুরুতে ও শেষে (') এপোস্ট্রপি ব্যবহার করে এবং (`) এই কোডটি ব্যবহার করে।

৪.নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।
উত্তর : ছবিতে দেখানো টেবিলটি তৈরি করার মার্কডাউন কোড নিচে লেখা হলো:

| User | Post | Steem Power |
| --- | --- | --- |
| User1 | 10 | 500 |
| User2 | 20 | 9000 |

৫.সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি ?
উত্তর : সোর্স উল্লেখ করার জন্য যে কোনগুলো ব্যবহার করতে হবে তা হলো,
[ এখানে লেখা] ( এখানে লিংক) এভাবে লিখে হবে।

৬.বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র - ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত হেডার গুলোর কোড লিখুন।
উত্তর : হ্যাশ, ব্যবহার করে আমরা হেডার দিয়ে থাকি। সর্বোচ্চ ৬ বার আমরা হ্যাশ ব্যবহার করতে পারি। একবার করলে সবচেয়ে বড়, দুইবার করলে একটু ছোট এভাবে ৬ বার করলে একদম টিনি সাইজ হেডার হয়।

# হেডার ১
# # হেডার ২
# # # হেডার ৩
# # # # হেডার ৪ 
# # # # # হেডার ৫ 
# # # # # # হেডার ৬

৭.টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোড টি লিখুন।
উত্তর :
<div class="text- justify> এখানে লেখা লিখতে হবে < /div>

৮.কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত?
উত্তর :কন্টেন্ট তিন প্রকারের হয়। অডিও কন্টেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট এবং টেক্সট কন্টেন্ট।

আমরা সকলেই প্রায় টেক্সট কনটেন্ট লিখে থাকি বা তৈরি করি। তাই টেক্সট কনটেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় এ ধরনের কনটেন্ট নির্বাচন করলে আমাদের কন্টেন্ট অনেক সুন্দর কোয়ালিটি কন্টেন্ট এ পরিণত হবে।

৯.কোন টপিকস এর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী কেন ?
উত্তর : কোনো টপিকের উপর কনটেন্ট তৈরি করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের সেই বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান আহরণ করা প্রয়োজন। কেননা সেই বিষয়ের সকল খুটিনাটি বিষয় গুলো যথাযথ এবং নির্ভুলভাবে লিখতে হলে জ্ঞানের প্রয়োজন আবশ্যক। প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত না থাকলে আমাদের কনটেন্ট কোয়ালিটিফুল হবে না। ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কোনো বিষয়ে ব্লগ লিখতে হলে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরি। তাহলে অভিজ্ঞতার আলোকে সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলে ব্লগ লেখা অনেক সুন্দর হবে।

১০.ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন ?
উত্তর : Steem কয়েনের মূল্য $0.50 হলে এবং আমি $7 ভোট দিলে, $3.5 USD পাবো। যা স্টিম এ কনভার্ট করলে হবে 7 Steem হবে।

১১.সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি?
উত্তর : সর্বোচ্চ কিউরেশন পেতে হলে আমাকে সবার প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কোন কন্টেন্ট টি সবচেয়ে ভালো। এরপর আমাকে ৫ মিনিট পর অবশ্যই সবার আগে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।তাহলে আমি কিউরেশন বেশি পাবো। ৫ মিনিটের মাঝে ভোট দেওয়া যাবে না। কেননা প্রথম ৫ মিনিটের মাঝে ভোট দিলে আমি একটা নির্দিষ্ট পারসেন্টেন্স অনুযায়ী রেওয়ার্ড হারাবো। যেমন ১ মিনিটে ভোট দিলে ৮০% আমার রিওয়ার্ড পুলে ফেরত যাবে ২০% পাবো। প্রথম ৫ মিনিট এর পর থেকে ৬দিন ১২ ঘন্টার মাঝে ভোট দিলে কিউরেশন ভালো পাবো। এছাড়া সবার আগে ভোট দিলে এরপর যদি বড় কোনো ভোট পড়ে তাহলে আমি সর্বোচ্চ কিউরেশন পাবো। তাই ভালো কন্টেন্ট দেখে সবার আগে আগে ভোট দিতে হবে।

১২.নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে, নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে…?
উত্তর : @Heroism কে ডেলিগেশন করলে সবচেয়ে বেশি আর্ন হবে।
কেননা আমরা সময়ের অভাবে কোয়ালিটি কন্টেন্ট খুঁজে বের করে তাতে সবার আগে ভোট দিতে পারি না। এক্ষেত্রে @Heroism সুন্দর লেখাতে ভোট দিয়ে বেশি বেশি কিউরেশন পায়। এবং তা সকল ডেলিগেটর এর মাঝে ভাগ করে দেয়। ফলে আমরা সম্পূর্ণ ভাবে আর্ন করতে পারি।
এছাড়াও @Heroism আমাদের আইডিতে একটা ঢাল হিসেবে থাকে। আমাদের সাপোর্ট করে। কেউ ডাউন ভোট দিলে ঢাল হিসেবে কাজ করে। যেহেতু এটি একটি ডিসেন্ট্রালাইজড প্লাটফর্ম সেহেতু @Heroism আমাদের একটা ভরসার স্থান। তাই হিরোইজম কে বেশি বেশি ডেলিগেশন করে নিজেকে সমৃদ্ধ ও উপকৃত করতে চাই।

Sort:  
 2 years ago 

আপনার উপস্থাপনা টি সত্যিই অসাধারণ ছিল। অন্যান্য যারা পরীক্ষা দিয়েছে তার তুলনায় একটু ব্যতিক্রম ভাবে আপনি আপনার পোস্টটি তৈরি করেছেন। আপনি মোটামুটি সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপনার পরবর্তী লেভেলের জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতেও ভালো করবো। দোয়া রাখবেন।

 2 years ago 

আপনি খুব সুন্দর করে লেভেল৩ এর ক্লাস থেকে নেওয়া শিক্ষা ব্যাখ্যা করেছেন।উপস্থাপন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো আয়ত্ব করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দ্রুত ভেরিফাইড হতে।


ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকেও।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66524.25
ETH 3616.53
USDT 1.00
SBD 2.81