দিনপঞ্জি শনিবার ১৩ই ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, শরৎ-কাল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
সবাইকে অভিবাদন. আমি @msharif
#বাংলাদেশ থেকে
দিনপঞ্জি
সকাল
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। অন্যান্য দিনের মতো দিন টা স্বাভাবিক দিন ছিল। ঘুম থেকে উঠেছিলাম সকাল 8 টায়। এরপর ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে একসাথে বসে সকালের নাস্তা করলাম। নাস্তায় ছিল আমার সবচাইতে প্রিয় খাবার গরুর নেহারি। নাস্তা করা শেষ হলে যে যার কাজে চলে গেল আমি আমার রুমে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে মোবাইল চালালাম। তারপর স্টিমিট কিছুক্ষণ কাজ করলাম। এভাবে অনেক টুকু সময় পার করলাম।
এরপর আম্মু আমাকে বলেছিল আমি যেন কিছু বাজার করে নিয়ে আসি সাথে কিছু ফল নিয়ে আসি। আমাদের বাসা থেকে জয়দেবপুর বাজার বেশি একটা দূরে নাই তাই আমি রেডি হয়ে বাজারে চলে গেলাম তারপর বাজার করে আসার সময় কিছু ফল সাথে নিয়ে আসলাম। বর্তমানে সবকিছু জাম এতটাই বেশি যে বাজারে গেলে খুবই অবাক হই দাম শুনে। এরপর বাজার করে প্রায় দুপুর 1 তার আগে বাসায় ফিরে আসি।
দুপুর
এবার বাসায় এসে ভালোভাবে ফ্রেশ হলাম। তারপর কিছুক্ষণ রেস্ট করার পর চলে গেলাম গোসল করার জন্য। গোসল করে নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়া শেষ করে কিছুক্ষণ বসার পর দেখলাম আমার মোবাইলে একটি ভিডিও কল আসলো। তারপর দেখলাম সেটা আমার ভাগিনা আমার সাথে দুষ্টুমি করার জন্য ভিডিও কল দিয়েছ। আমি ফোন রিসিভ করে অনেকক্ষণ ভিডিও কলে মজা করলাম অনেক কথা বললাম অনেক হাসাহাসি করলাম। আমি সব সময় ছোট দের কে অনেক ভালোবাসি তাই আমার বাসার সব ছোট বাচ্চারা আমাকে অনেক পছন্দ করে।
অনেকক্ষণ আমি আমার ভাগ্নে ভাগ্নির সাথে মজা করলাম। তারপর তাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। এরপর পরিবারের সকলের সাথে একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেলাম। খাওয়া শেষ করে আমি নিজের রুমে চলে আসলাম এসে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে ঘুমালাম।
বিকেল
এরপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অজু করে আসরের নামাজ পড়লাম। আমার বন্ধু আমাকে ফোন দিল তাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম জয়দেবপুর বাজারে আমাদের একটি পরিচিত দোকান রয়েছে যে দোকানে বসে আমরা সবসময় আড্ডা দেই কথা বলি। তারপর আমি চলে গেলাম ওরা ওয়াসল সবার সাথে বসে গল্প করলাম। অনেক ধরনের কথা হল অনেক পরিকল্পনা হলো।
এরপর বাজারে আরো কিছুক্ষণ সময় দিয়ে ঘুরাঘুরি করে আমরা সুন্দর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সবাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যে যার বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে আমি ফ্রেশ হলাম এর কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের আজান দিল তারপর অজু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম।
সন্ধ্যা
এরপর আমার বউ আমার জন্য এবং আমার পরিবারের সকলের জন্য পাস্তা বানিয়েছিল। আমার অনেক প্রিয় আমার বউ আগে থেকেই জানতো তাই সে আমাকে এবং আমার পরিবারের সকলকে পাস্তা খাওয়ানোর জন্য সবকিছু রেডি করে আমাদেরকে পাস্তা খেতে দিল। এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবার সাথে বসে অনেকক্ষণ গল্প করলাম। তারপর আমি এবং পরিবারের মানুষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে করতে রাত 9 টা বেজে গেল।
রাত
এরপর আমি পরিকল্পনা করলাম যে আজকে আমি আমার দিনপঞ্জি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । তারপর থেকে লেখা শুরু করে একটু আগে শেষ করে আমি পোস্টে সম্পন্ন করলাম।
আমার দিনপঞ্জি পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নিরাপদে থাকুন, সুখে থাকুন
অনেক পছন্দের খাবার।পোস্টটি অনেক সন্দুর হয়েছে।
খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার দিনটিকে অতিবাহিত করেছেন আপনার পোস্টটি দেখে তাই মনে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার দিনটা বেশ ভালো কেটেছে। আপনার ভাগনের সাথে করা দুস্টুমির ছবিটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। আমারও একটা ভাস্তি আছে। বাসায় গেলে আমিও ওর সাথে এমন অনেক মজা করি। শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সকাল আর সন্ধ্যাটা বেষ্ট ছিলো আমার দৃষ্টিতে, হে হে হে হে
সুন্দর এবং স্বাদের খাবার মানেই আনন্দময় সময়, ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের গ্রামের মানুষ নেহেরি জাতীয় খাবার বেশী পছন্দ করে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই সবসময় পাশে থাকার জন্য।
ভালো সময় কাটালেন ভাই ৷