📸সময়টা ছিল বন্ধুর📱||10% Benefit for shy-fox.

Monday 07 February 2022

📸সময়টা ছিল বন্ধুর 📱

আচ্ছাসলামুয়ালাইকুম/আদাব

হ্যালো

"আমার বাংলা ব্লগ" বাসি বন্ধুগণ।

আপনারা সবাই কেমন আছেন! আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালই আছি।

চলমান জীবনের পথ পরিক্রমায়, আমরা অহরহ নূতনের সাথে পরিচিত হচ্ছি। জীববৈচিত্র্যের এই দুনিয়ায় কোন কিছু হেলাফেলা নয়। জীব ও জড় বলে আমরা যে কিছুকেই অভিহিত করি না কেন। তা সবই মহান শ্রষ্টার সৃষ্টি হিসেবে আমাদের কাছে প্রকৃতির দান।

পথে-ঘাটে,মাঠে ও ঘরে, দু-চোখে যা অবলোকন করি সবের মধ্যে আমরা গুঢ় রহস্য বা তত্ত্ব দেখতে পাই। সৃষ্টির মহান কারিগর, জীব গুলোকে জড়'র জন্য এবং জড় গুলোকে জীবে'র জন্য একিভুত করে থরে থরে সাজিয়েছেন।

এই সাজে মানুষের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বা সব কিছু মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অনুম্মোচিত যা কিছু নিয়ে আমরা ভাবি, তাও মানুষের ভাবনার জন্যই।মানুষের ভাবনা ভাবার ইচ্ছাটা স্রষ্টার এক অমীমাংসিত উপাখ্যান।

কেননা স্রষ্টার এই অবলীলা সৃষ্টি সম্পর্কে আমরা বেশিদূর ভাবিয়ে, ভাবনায় আনতে পারি না।

স্রষ্টা আমাদের মধ্যে ভাবনার পাহাড় ঢুকিয়ে দিলেও তার সীমাবদ্ধতাও কিছু দিয়েছেন । যার ফলে অনেক ভাবনার আমরা কোন কূলকিনারা খুঁজে পাইনা।

হাজার হাজার বছর থেকে আসা, এসব ভাবনা আমাদের অঙ্কুরেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়ে আসিতেছে।

বন্ধুরা

যাক সেসব কথা, বলছিলাম আমার চলার পথের কথা।

গতকাল আমার চলার পথটা কোনভাবেই মসৃন ছিল না, যা ছিল খুবই বন্ধুর।

একেতো কঠিন শীত ও শৈত্যপ্রবাহ, তার উপর শৈত্যের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ও শীতল-স্নিদ্ধ মাখা বাতাস।

কাজ যখন আসে তখন করতেই হয়, এটাই আমাদের জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম। আমার আজকে কাজটি এমনই এক অন-অনুকূল পরিবেশে শুরু হয়েছিল।

কাজটিকে করায়ত্ত করতে, ২০+২০=৪০ কিলোমিটার রাস্তা ভ্রমণ করার দরকার পড়েছিল।

বাড়ি থেকে বের হয়ে, অটো নামের তিন-চক্রের বৈদ্যুতিক গাড়িতে চেপে বসে, সেই কুড়ি কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।

তখনো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। অটো ড্রাইভার তার পর্দাটা দিয়ে আমাদেরকে ঢেকে দিল। বৃষ্টি আর শীতের ভয়ে সামনে, পিছনে, ডানে-বামে কোন দিকে দেখা সম্ভব হচ্ছিলনা।

গাড়ির ভিতর অন্ধকারে বসেই প্রায় দেড় ঘন্টার ব্যবধানে, কাঙ্খিত কাজের স্থানটিতে পৌঁছতে পেরেছিলাম। ঘন্টা খানেকের মত কাজ সেরে, দোতলা থেকে নেমে প্রকৃতির একই অবস্থা দেখতে পাই। বৃষ্টির ঝাপটা আগের চেয়ে কমলেও এখনো পুরাপুরি থামেনি। আবার সেই অটো ঘরে বসে পড়লাম। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে বৃষ্টি থেমে গেলেও শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে ছিল।

বাড়িতে পৌঁছাতে আরও ৩-৪ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হবে। অটো ড্রাইভার পর্দা সরিয়ে এবার আমাদেরকে উন্মুক্ত করে দিল। আর কিছুদূর আসতেই ডাইনে এই সর্ষের ক্ষেত আমাদের চোখে পরলো। সামনে একটি ছোট্ট বাজার ছিল তাও আমরা পেরিয়ে নিলাম।

এবার অটো থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পোস্টে উপস্থাপিত কয়েকটি ছবি ধারণ করলাম। এ সময় আমার সাথে আমার পরিবারের আরও দু'জন সদস্য ছিল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এটি আমার ছোট মেয়ে "নিস্কাত"।

এখন আমি ছবিগুলো আপনাদের উপহার হিসেবে নিবেদন করছি। আশা করছি, আপনাদের হয়তো ভাল লাগতেও পারে।

সাথেই থাকুন।

Visit My Another Activists

My Blog Twitter Facebook Youtube

Regard By	@mrnazrul, Bangladesh
Category	Flower, Nature, Animal.Recipe.Photography.
Device	Handset
w3w	Location

Regard