📱দুর্দিনে সোনালী আঁশ,পর্ব-১ || ১২টি ছবি। 10% Benefit of shy-fox.
বন্ধুরা
সবাইকে শুভেচ্ছা,
আমি তখন ৩য় কিংবা ৪র্থ শ্রেণিতে লেখা পড়া করি। সালটাও আমার ভাল মনে নাই। ১৯৭৩ বা ৭৪ সাল হবে।
আমাদের স্কুলটি ছিল, আমার বাড়ি থেকে এক ক্রোশ দুরে।
আমি বর্তমান সময়ে যেখানে বাস করছি সেখানটাই। এটা ভেন্ডাবাড়ি গ্রাম। সেই সময় ক্লাসের বইয়ে পড়ছিলাম। পাট সম্পর্কে। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। এ নিয়ে অনেক রচনা লেখেছি ও পড়েছি।
আমরা যে গ্রামে বাস করি তার অন্তত আড়াই তিন ক্রোশের মধ্যে পাট সে ভাবে আবাদ হতোনা।
কদাচিত কেউ বাড়ির কাজের জন্য বাড়ির আসে পাশে বীজ ফেলাত।
তার মধ্যে একটা জাতকে মেষ্টা নামে ডাকত।এটাই বেশি লাগাত।
এগাছের পাতার ধরন ছিল শিমুল গাছের পাতার মত, তবে এর চেয়ে অনেক ছোট ও খাজ কাটা। এজাতের শাকও কেউ খাইতনা।
আজকালকার পাট পাতার দেখতে যেটা ছিল। এটাকে জাত পাট বলা হতো। এই গাছের কুঁশিকে শাক হিসেবে খাওয়া হতো।
পাটকে,পাট,পাটা,মেষ্টা, কোষ্টা সহ অনেক নামে ডাকা হয়।
সেময় আমাদের দেশে প্রচুর পরিমানে পাট আবাদ হত। তার সুবাদে দেশে অনেক ছোট বড় পাট কল গড়ে উঠেছিল। দেশে বহু লোকের কর্ম সংস্থানও হয়েছিল।
তখন পাট দেশের চাহিদা মিটিয়ে। বাইরে দেশেও রপ্তানি করা হতো।
বাংলাদেশের প্রথম রপ্তানি যোগ্য পন্যটির নামও ছিল পাট।
পাট বিদেশের মাটিতে সোনার দামে বিক্রি হতো বলো পাটকে সোনালী আঁশ নামে উপাধি দেওয়া হয়ছিল।
পাটের এ নাম-জৌলুশ আমি নিজে দেখেছি ও পড়েছি।
এখন আর পাটের সে জৌলুশ নাই। তেমন আবাদ হতে দেখা যায়। পরিবহনও কম, কম চোখে পড়ে।
পাট বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে একটি।
ছবি গুলো তোলা ১ সপ্তাহ হয়নাই।
দুপুর বেলা রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। রাস্তায় এই গাড়িটি দাড়ানো। ড্রাইভার হয়তো কিছু খেতে গেছে। রাস্তায় লোকজন কম। ছাতাটা বন্ধ করলাম। পাট সহ গাড়ির ছবি, আগ্রহ ভরে উঠালাম।
এখন আবার আগ্রহ ভরে আপনদের সাথে ভাগাভাগি করছি ।
ক্রোশ কে কে চিনেন একটু নক করবেন! হা হা হে হে।
দেখুন, মন্তব্য ছুড়ে দিন।
ভাল থাকুন
ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আর এটি আমাদের দুর্দিনের পরম বন্ধু
জি ভাই। লেখার জন্য লেখতে হয়। মানষিকতাই সবকিছু, বলে আমার কাছে মনে হয়। তারপরও বাংলা ব্লগের, কয়েকজন ছাড়া, মোটামুটি সবাই ভালই। আমি তেমন কিছু জানিনা।তাই মুখ বন্ধ করে রাখি। ভাল থাকেন, পরামর্শ দিবেন, এই কামনা করছি
শুভকামনা অবিরাম সাথে ভালোবাসা
অবশ্যই এটা আমাদের দুর্দিনের পরম বন্ধু। ছবি ৎ উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল।
জি, আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা
সোনালী দিনগুলো আবারো ফিরে আসা উচিৎ আমরা যদি পলিথিন বর্জন করে ,পাট শিল্পের দিকে যদি একটু নজর দেই তাহলে পলিথিনের পরিবর্তে পাটশিল্প আরো অনেক এগিয়ে যাবে ।ভাল ছিল আপনার উপস্থাপনা শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
মহাস্থান গড়। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
পাটের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হলেও আগের মতো আর কদর নেই পাট-শিল্পের। ধন্যবাদ আপনাকে।