শেয়ার করো তোমার উৎসবের ভ্রমণ কাহিনী || প্রতিযোগিতা-১৭
শেয়ার করো তোমার উৎসবের ভ্রমণ কাহিনী || প্রতিযোগিতা-১৭
🌹
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি @mrnazrul আপনাদের বাংলাদেশি বন্ধু।
বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন।
আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল ভাবে দিনাতিপাত করিতেছেন।
আমিও আপনাদের দোয়া ও মহান আল্লাহর রহমতে সুস্থ থেকে আজকের পোস্টটি লেখার চেষ্টা করছি।
আমরা ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছি যে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যের সাথে, পুনঃ পুনঃ মিলন মেলার কায়দা হিসাবে , মাঝেমধ্যেই কাঙ্খিত কাঙ্খিত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
তারই অংশ হিসেবে আমাদের কমিউনিটি এডমিন শুভ ভাই(@shuvo35) উৎসবের ভ্রমণকাহিনী নিয়া কমিউনিটির ১৭ তম প্রতিযোগিতা আনয়ন করিয়াছেন।
ইতিমধ্যে আমরা অনেকেই অংশগ্রহণ করেছি। আবার অনেকেই প্রস্তুতি নিতে চলেছি।
সবমিলে চলছে আমাদের সাজো সাজো রব । যে প্রতিযোগিতায় আমাদের ফাউন্ডার @rme বাবুর সম্মতি রয়েছে।
আমি আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সংক্ষিপ্ত আকারে ভ্রমণ বর্ণনা নিয়া উপস্থিত হয়েছি।
ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী বৎসরের দুই ঈদের বড়টি হল ঈদুল ফিতর। যা কয়দিন আগে বৃষ্টি ভেজা হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পার হলেও রেশ কাটতে আরো কয়েকদিন লেগে যাবে।
আমরা আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে থাকব। এটি বছরে মাত্র একদিন আসে। সব মিলে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত আমরা ঈদের নামে আনন্দ-ফুর্তি করতে পারি।
ঈদের দিনে সাধারণত কোন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে ছোটরা পাড়া-প্রতিবেশী এবং পাশের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাতায়াতের চেষ্টা করে।
তাহারা ঘুরাফিরা করে বাকি সময়টা কাটাই। অনেকেই বেরিয়ে পড়েন বিনোদন কেন্দ্র গুলোর দিকে। এদিনের বিকালে নির্ধারিত কিছু স্থানের তালিকা মনে মনে থাকলেও, বাড়ি থেকে বের হয়ে কোন দিকে যাওয়া হবে তার কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনা।
এই নির্ধারণ করে কোন দিকে রওয়ানা দিবে তা সঠিক হয়না। সাথে দলবল থাকলে তিন চার জনের মতামত তো নিতেই হয়। তারমধ্যে চেষ্টা করা হয় তিন চারটি স্থানে নির্বাচন করা। কোথায় কেমনে করে যাবে এটার কোন নিশ্চয়তা থাকে না।
কেউ যায় গাড়িতে কেউ যায় ঘোড়াতে, কেউ যায় পায়দলে কেউ যায় ব্রেন দলে। কেউ যায় গাইতে গাইতে
।কেউ যায় ছুটতে ছুটতে। কথা ও কর্মের জন্য কোন মিল থাকেনা । এভাবেই চলে যায় ঈদের দিনের বিকাল এবং সন্ধ্যা টা।
পরদিন থেকে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত খাওয়া ঘোরাফেরা। যাদের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে সাথে করে নিয়ে আসা। তাদেরকে নিয়ে কোন কোন দিকে বিনোদনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনারা সবাই জানেন ঈদ বিনোদন নিয়া, ঈদের দিনের বিকেলের কিছু ছবি এবং কিছু কথা আমি প্রকাশ করেছিলাম। আপনারা অনেকে এটি পড়ে মতামতও প্রকাশ করিছিলেন।
আগের পোস্টটি কেউ পড়তে চাইলে এখানে আমি তার লিংকটি দিলাম। ভাল লাগলে একবার দেখে নিতে পারেন
ঈদের দিনের সন্ধ্যা।
এই ছিল আমার আগের পোস্টে লিঙ্ক।
ঈদের পরদিন, রাত থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দুপুরের দিকে বের হয়ে। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করা হবে। রাত থেকেই মেয়ে দুটো পিড়াপিড়ি করতে ছিল। আমার সাথে বের হবে।
তাদের রাত যেন পোহাতে চায়না। এর ফাকে ছোট মেয়েটা কতবার যে বলেছে, সকালে ঘুমাও সকালে উঠতে হবে, এখনো ঘুমান না কেন সকালে কিভাবে উঠবেন, কালকের কথা মনে আছে তো, ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন আদরের প্রশ্নবানে, আমাকে আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে তুলেছিল।
হইহল্লা ফুলটুসি কুনসুটি মোবাইল বাজানো,সব মিলে তারা রাত দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত জেগে থাকলো ।
যথারীতি পরদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আমাকে ডাকা শুরু করলো। এই ডাকাডাকি সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলতে থাকলো। সাড়ে বারোটার সময় বিছানা ছেড়ে আমি উঠে দেখি। তারা ঈদের নতুন জামা জুতো গুলো পরেছে, আমার উঠার অপেক্ষায় করতেছে।
আমি উঠে যথারীতি আনুষঙ্গিকতা সেরে। বের হতে হতে প্রায় বাড়িতে আট টা বেজে গেল। এখন তাদের ছবি তুলতে হবে।
এবার ছোট মেয়েটাকে আমার বাড়ির ফুল গাছগুলো পাশে দাঁড়িয়ে, কয়েকটি ছবি তুলে ফেললাম। তার মধ্যে দুটি ছবি আমি এখানে পোস্ট করলাম।
তার ছবি তোলা শেষ হলে। আমি তাকে কোলে নিয়ে কয়েকটি সেলফি তুললাম। তার মধ্যে দুটি ছেলফি আমি এখানে উপস্থাপন করলাম। এতক্ষণে বড় মেয়েটিও সামনে এসে হাজির । এখন তার ছবি তুলতে হবে।
এবার বড় মেয়েটিরও কয়েকটি ছবি তুললাম। তারমধ্যে এখানে একটি ছবি পোস্ট করলাম। এবার ছোট মেয়ে এবং বড় মেয়ে একসঙ্গে ছবি তুলবে তার বায়না।
এবার দুই বোনের ছবি তুললাম। তার মধ্যে একটি ছবি এখানে পোস্ট করলাম।
আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য, সাথে আমার সিশে মাচার ধন,একমাত্র আদরের গিন্নি তৈরি। তাকেও ছবি তোলার কথা বললে সে অসম্মতি জানাল।
দল বেধে চার জনে বাড়ি থেকে বের হবো।তার ফাকে আমি আরও একবার পানি ও পান খেযে নিলাম।
এবার সোজা গেটের বাইরে।
বেলা আড়াইটা বাজারে কোন দোকান পাট খোলা নাই। রোদ বাবাজী একটু চড়া। চোখে ও কপালে বার বার হানা দিচ্ছে। এবার বলেই ফেললাম, ছাতা নেওয়া হলোনা।
গিন্নি এবার মৃদু মেজাজে বলে ফেলল। চলো,আর ছাতা নেওয়া লাগবেনা।
রাস্তা ঘাটে গাড়িঘোড়া একেবারে কম। আমরা রয়েছি বাজারের এই মাথায়। পার হয়ে ওই পারে যেতে হবে। আমরা বাজারের এই মাথায় কাঁচা তরকারি বাজার দিয়ে প্রবেশ করলাম।
কাঁচা বাজার পেরিয়ে এবার ভেন্ডাবাড়ী জামে মসজিদের সামনে গিয়ে উঠলাম। রোদটা আরও একটু বেশি মনে হল
।আমি ওদেরকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে, একটি বিকাশের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানে সামান্য লেনদেন করে। পূর্বদিকে রূপালী ব্যাংকের দিকে হাঁটা দিলাম।
এবার হাঁটতে হাঁটতে মনে হল, ফ্যান্টম @rme দম্পতির মহানুভবতার কথা। চোখের সামনে ভেসে উঠলো, সফল দম্পতির সন্তান, আমার বাংলা ব্লগ এর আগামীদিনের কর্নধার বাবু টিনটিন( @tintin) এর কথা।
তাদের দেওয়া ঈদ সালামির নামে উপহার, আমাদের সাথে মহা মিলনের একটি উপায় ছিল।
আমি আমার গিন্নি ও দু মেয়েকে টিনটিন@tintin এর কথা বললাম। বললাম তার নামে,তার বাবা-মার ঈদ সালামীর কথা।
তারা আগেই এটা জানলেও, আজকে ক্যাশ করলাম তাই তাদের জানালাম।এবারের ঈদ পুরোটাই আমি, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়া উদযাপন করলাম।
কয়েক মাসের আয় জমিয়ে, ২০ (কুড়ি) হাজার টাকায় একটি মোবাইলও কিনেছি।
এসব কথা বলতে বলতে আমরা রুপালি ব্যাংকের সামনে পৌছিলাম। আমাদের জার্নি হবে,জার্নি বাই ভ্যান।
একজন ভ্যানচালক এসে আমাদের উঠতে বলল।আমরা উঠে, এর আসেপাশে দু পাক দিয়ে এলোমেলো কথা আর কাজে বেশ সময় কাটিয়ে দিলাম।
এবার গন্তব্যে ফিরে আসলাম।সোজা ঝিল মিল পার্কে। আজ নতুন ছোট একটা ব্যানার দেখলাম। এখানে ভ্যান থেকে নামলাম। গিন্নি ছোট মেয়েটাকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করল।বড় মেয়েটা এখানে আমার কয়টি ছবি তুলে নিল
তার দুটি এখানে পোস্ট করলাম।
এবার আমি পার্কে প্রবেশ করলাল। লোকজন একটু কম।
যারা ছিল, তাদের ছবি আমি ধারন করলাম না।
অফিসে দেখলাম, পার্কের কর্মকর্তারা বসে আলোচনায় রত। এসময় পার্কের কর্নধার প্রিন্সিপাল রাজু,সাংবাদিক আনজারুল, মাস্টার সুভাশ বাবু ও আরো কয়েকজন বসেছিল।আমি গিয়ে বসলাম। তাদের সাথে, কিছুক্ষণ সুখ-দুঃখের আলোচনায় মেতে উঠলাম। মেয়েটা আমাদের আরও কয়েকটি ছবি তুলল তার মধ্যে এই দুটি ছবি পোস্ট করলাম।
আমার এ বছরের ঈদ আনন্দের সমস্ত প্রসংশা, মহান আল্লাহর পরেই,@rme পরিবারের কৃতিত্ব।
ধন্যবাদ মহান আল্লাহকে এবং সবাইকে।
Visit My Another Activists
My Blog Twitter Facebook Youtube |
---|
Regard By | @mrnazrul, Bangladesh |
---|---|
Category | Flower, Nature, Animal.Recipe.Photography,Digital art. |
Device | Samsung F 22 |
w3w | Location |
Beneficiary | 10% Benefit for @shy-fox |
Regard
Twitter link
https://twitter.com/IslamAzm/status/1523026834476085248?t=HHYOUqPjyKVlesAXco571A&s=19
Screenshot
শেয়ার করো তোমার উৎসবের ভ্রমণ কাহিনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি পুরো ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ঝিলমিল পার্কের ফটোগ্রাফিতে আশেপাশের পরিবেশ টা আমার খুব ভালো লাগলো। যেহেতু আমি ঝিলমিল পার্কে কখনো যাইনি আরো কিছু ফটোগ্রাফি দেখলে খুব ভালো লাগতো। দেখেই বুঝতে পারছি সময়টা বেশ আনন্দের মধ্যে কাটিয়েছেন। আনন্দঘন মুহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি, সহনীয় পরিবেশ খুব একটা মন্দ নয়। আমিতো দিনে দুই-তিনবার এমনিতেই প্রবেশ করি মনে করি এটা আমার খুলি।
প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে সব কিছু বর্ণনা করেছেন। ঝিলমিল পার্ক আমাদের এলাকার কাছে থাকলে আমিও ঘুরে আসতাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সময় হলে সবাইকে এখানে দাওয়াত দিয়া আনা হবে বর্তমানে শুধু সাজানো-গোছানো চলছে।
সময় এলে সবারে দাওয়াত দিব।
এখন শুধু সাজানো আর গোছানোনোর কাজ চলছে।
প্রথমেই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতায় আপনার পোস্টটি চোখে পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর পুরো ভ্রমণকাহিনী এত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন এবং এত সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যা আসলেই অনেক আকর্ষণীয় এবং অনেক সুন্দর লেগেছে।
জি, এই সবার সাথে আমিও প্রতিযোগিতায়
অংশগ্রহণ চেষ্টা করলাম।
দোয়া করবেন।
ভ্রমণকাহিনীর সুন্দর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ভ্রমণ কাহিনী গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভ্রমণের নামে লোকালে ঘোরাফেরা।
এইতো হল আমার ভ্রমণ-কাহিনী।
আপনার মেয়ের সাথে ঈদ উদযাপনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আমিও অনেক রাত জাগি সেজন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। আপনি আপনার মেয়েদের সাথে দারুন একটা মুহূর্ত পার করলেন সেটা জেনে অনেক ভালো লাগে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যাই করি না কেন কাছেই সব। কোথাও দূরে যাওয়া হয়নি। আসলে ঘুম জাগা যেন আমাদের একটা নেশা হয়ে গেছে।
আপনার উৎসবের ভ্রমণকাহিনী পোস্ট করে আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন দেখছি। ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণকাহিনী পোস্ট আমার কাছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন এই পোস্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পোস্টও করা হলো।
আবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সবার
সাথে তাল মেলানো হলো।
তাই একটু চেষ্টাটা বেশি করা হলো।
বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি ভাই।আর বাপ মেয়েকে একসাথে দারুন লাগছে😍।আসলে বড়দের চেয়ে ছোটদের ঈদ আনন্দ টাই একটু বেশি আর আর তাদের আনন্দই আদের বড়ো আনন্দ।যাইহোক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।🖤
বড়দের আবার ঈদ কি ভাই
ছোট থাকতেই করেছি শেষ,
এখন যখন ছোটরা করে,
তখনই দেখতে লাগে বেশ।