📱 শাপলা/Nymphaeaceae💮🍀
ছবিটি কিছুদিন আগে, চিটাগং রোড, নারায়ণগঞ্জের বাজারে ভ্যান গাড়ি থেকে তোলা।
সবাইকে পবিত্র আশুরার শুভেচ্ছা জানিয়ে, আজকের নিয়মিত পর্ব উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।আমার আজকের লেখার বিষয় -
শাপলা
শাপলা বিশ্বের অতি পরিচিত একটি ফুলের নাম। পৃথিবীর মানুষ স্ব স্ব ভাষায় এর নাম জানলেও, আজও হয়ত সবার চোখে পড়ে নাই। অনেকে দেখেনও নাই। এর রয়েছে অনেক জাত, অনেক রং এবং অনেক আকার।
যতদুর জানা যায়, এর আদি নিবাস মিশরের উপকূল অঞ্চল।
পৃথিবীর সকল মহাদেশ তথা, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং আমাদের এশিয়ায় শাপলা ব্যপক হারে জন্মিতে দেখা যায়।
ভারত উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশে তুলনামূলক ভাবে আরও বেশি দেখা যায়।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের খাল,বিল,ঝিল,নর্দমা,হাওড়,বাওড় সহ যে কোন জলধারে ব্যাপক ভাবে জন্মে থাকে।
অনেক দেশ এবং এলাকায় এর ব্যাপক পরিচিতি লক্ষ করা যায়।
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, সাদা শাপলা।
ভারতের অন্ধ রাজ্যের, রাজ্য ফুল সাদা শাপলা।
শ্রীলংকার জাতীয় ফুল, নীল শাপলা। আমার জানা মতে, 'নিল শাপলা' হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পুজার কাজে ব্যবহার করে থাকে। পাওয়া না গেলে অন্য রঙের ব্যবহার করে থাকে।
সুন্দর ও রংবেরঙের হওয়ায়, এটি আকর্ষণীয় শোভাবর্ধক হিসেবে লাগিয়েও যত্ন আত্তি করা হয়।
জলজ বাগানের প্রথম সারিতে থাকে এই শাপলা।
শাপলা শুধু শোভাবর্ধক ও প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়না। এর ফুলের ডাটা, কন্দ ও পুস্পনাল সবজি ও ঔষধি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে।
শাপলার অনেক জাত, প্রজাতি এবং রঙের মধ্যে রয়েছে, নীল,লাল,সাদা, হালকানীল, হলুদাভ ইত্যাদি ইত্যাদি রং। এর মধ্যে সাদা শাপলা বেশি পাওয়া যায় এবং হলুদাভ রংটি বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই দূর্লভ।
সকল প্রকার শাপলা, বিরুৎ জাতীয় জলজ উদ্ভিদ। মাটির নিচের মোথা বা কন্দ থেকে বংশ বিস্তার করে.শাপলার পাতা পানির উপর ঝাক বেধে ভেসে থাকে।
শাপলার নাইল, তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। অনেকের পছন্দ হলেও অনেকের একেবারেই অপছন্দ।
এতে রয়েছে বিভন্ন ধরনের পুষ্টির সমাহার। যা মানব দেহ সুস্থ রাখতে খুবই কার্যকর।
এর বীজ ও নাইলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,মিনারেল, ফ্যাটি এসিড, কার্বোহাইড্রেট,, এন্টি- অক্সিডেন্ট,সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন সহ অনেক উপকারি উপাদন।
শাপলার নাইলের তরকারি, সাধারণত ছোট মাছ দিয়া রান্না করা হয়।
তবে চিংড়ি মাছ,কোরা নারকেল শর্ষে ফোড়ন দিয়া রাধলে, রাজকীয় খাবারে পরিনত হয়। সাধারণত সাদা শাপলার নাইলের তরকারি খাওয়া হয়ে থাকে।
ঔষধি গুন
দীর্ঘ দিনের কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর, সর্দিকাশি, চর্মরোগ, পেটের পিড়া সারাতে পারে শাপলা। অর্শরোগীরা এর মোথা পুড়ে খেলে উপকার পাবে। এর রসে রক্ত বন্ধের ক্ষমতা রয়েছে।
শাপলা বীজ ও মোথা থেকে বংশ বিস্তার করে থাকে। শাপলার ফল বড় হলে, বড় শুপারীর আকার ধারণ করে। দেখতে শুপারীর মত হলেও, এটি একটি ক্যাপসুল। শত শত,হাজার হাজার বীজ থাকে এর ভিতরে।
বীজগুলো শরিসার দানার মতো ছোটো ছোট এবং কালো রঙের হয়ে থাকে। বীজ থেকে খই হয়। যা সকল মানুষের কাছেই প্রিয়।
শাপলার ফলকে** ভ্যাট** বলে ডাকা হয়। গ্রাম এলাকায় একে ভ্যাটের গাছও বলা হয়।
শাপলা টবে বা বাড়ির যেকোন জলাধারে লাগিয়ে সহজেই চাষ করা যেতে পারে।
যেহেতু এটি জলজ উদ্ভিদ, সেহেতু এর বিশেষ কোন যত্নআত্তি প্রয়োজন পড়েনা।শুধু বীজ ও মোথা লাগালেই হয়ে যায়।
টবে লাগিয়েও বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।
লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Original Photography/ Content
Photographer, @mrnazrul Bangladesh
Device, Walton Primo-6 Max
My Location, Rangpur, Bangladesh
🇧🇩3w3
https://w3w.co/induces.touchy.deducted
Photography Location,Chittagong Road, Narayanganj. Bangladesh.
সুন্দর ব্যাখা দিয়েছেন ভাইয়া ।ভালোই হয়েছে ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সবসময় স্বাগতম।
সাধারণের মধ্যে অসাধারণ একটি পোস্ট। দারুন লেগেছে আমার কাছে। শুভেচ্ছা রইলো।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।