📱 চোখের তারায় দিনগুলো মোর....... পর্ব-০১. 10% Benefit of Shy-fox
আচ্ছালামুয়ালাইকুম
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের নিয়মিত পর্ব লেখা শুরু করলাম।
দোয়া করবেন, পর্বটি যেন আপনাদের চাওয়া মত উপস্থাপন করতে পারি।
কয়েক সপ্তাহ আগের কথা। বর্ষাকাল। একটু আগেও বৃষ্টি হয়েছে। সব যেন ভিজে সেঁতসেঁতে হয়ে আছে। আকাশটা গম্ভীর ভাব ধরেছে।
সকালের আনুষঙ্গিকতা সেরে বাড়ি থেকে বের হলাম। চোখে পড়ল মাদ্রাসার গেট খোলা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কে খুলল, কেন খুলল?
এতটুকু মাথায় নাড়া দিল।
এটা ভেন্ডাবাড়ি বছির উদ্দিন জব্বারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ।
পকেট গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। অফিস কক্ষের সামনে, বারান্দায় একটি মোটর সাইকেল দাড়ানো। আরো একটু এগুতেই অফিস কক্ষ খোলা চোখে পড়ল। এতক্ষণে অফিস কক্ষের সামনে এসেছি।
ভিতর থেকে শুনতে পেলাম, "আচ্ছালামুয়ালাইকুম'
আমি ও বললাম, "ওয়া-আলাইকুমুচ্ছালাম"।
এতক্ষনে আমার বুঝতে অশুভবিধা হলোনা যে, এটা "রতন" এর গলার আওয়াজ।
"রতন" মানে আমার ছাত্র। সে ডবল টাইটেল পাস করেছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসার "সুপারিন্টেন্ডেন্ট" হিসেবে কর্মরত। ভাল নাম মোঃ সহিদুল ইসলাম।
"রতন"অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে আসল। এসময় তার সাথে বের হয়ে আসল দুজন সিনিয়র শিক্ষক, অফিস সহকারী এবং পিয়ন। তাদের সাথেও ছালাম-কালাম হলো।
এবার রতন আমার কাছে জানতে চাইল -
: স্যার, কেমন আছেন?
: ভাল আছি। তোমরা সব কেমন আছো?
: আলহামদুলিল্লাহ, ভাল আছি স্যার। কিছু বলবেন?
: না, গেট খোলা দেখে আসলাম।
: স্যার, 'শাওন" এখন কোথায় আাছে?
: ফরিদপুরেই আছে।
: আগেই শুনেছিলাম। অফিসে আমার একটু কাজ আছে, স্যার।
: ঠিক আছে তুমি যাও।
"শাওন" হলো আমার বড় ছেলে। এমবিবিএস ডাক্তার।
বর্তমানে ফরিদপুর সহরে অসুস্থ মা ও শিশুর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
"রতন" আবার সবাইকে নিয়ে অফিস কক্ষে প্রবেশ করল। এসময় আমাকেও বসতে বলা হলো। আমি অসম্মতি দেখালাম।
দীর্ঘদিন মাদ্রাসাটি বন্ধ থেকে মাঠের ঘাস ও আগাছা গুলো বড় বড় হয়ে গেছে। কেমন যেন পতিত পতিত মনে হচ্ছে পরিবেশ।
নতুন লাগানো কাঠাল গাছ কয়টির দিকে চোখ পড়ল।
তার নিচে বড় বড় ঘাস। ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে লাগানো এই এই নয়নতারা ফুল গুলো ফুটেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হলো ঘাস আর ফুল গাছ গুলো বেড়ে উঠার জন্য প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে।
বন্ধুরা
এই ফুলগুলোকে আমরা "নয়নতারা" বা "চোখেরমনি" যাই বলি না কেন। নিভৃতে ফোটা এই ফুল গুলো,আমার চোখের তারায় কিছুক্ষণের জন্য স্থান করে নিয়েছিল।
আমি মোবাইল ক্যামেরায় বেশ কিছু ফুলের ছবি ধারন করেছিলাম।
আকাশটা আবার আন্ধার হয়ে আসল।
আমি এখান থেকে বেরিয়ে, সোজা ভেন্ডাবাড়ি চারমাথা মোড়ে চলে আসলাম.......
সেই বৃষ্টি ভেজা আনন্দ ঘন সময়টি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সাথেই থাকুন।
সত্যি বলতে আপনার প্রতিটি কথা আমার মনে লেগেছে। আপনি এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন আপনার ছেলে ডক্টর এমবিবিএস। শিশু এবং মেয়েদের সেবা করছে আল্লাহ যেন তার মঙ্গল করুক। সে যেন সুস্থ থাকে। তার প্রতি দোয়া রইল এবং আপনি অনেক সুন্দরভাবে ফুলগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। সন্ধ্যামণি ফুল অনেক সুন্দর এবং আপনি যে কথাগুলো বলেছেন সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আপনার কথাগুলো আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাদের এসব কথা, খুবই গঠনমূলক। এই কথা গুলোর সুত্র ধরেই এগুনোর চেষ্টাটা আমার জন্য পাথেয়। আপনাকে সবসময় স্বাগতম।