বুড়ি পদ্মার সাথে-০৬🦩 আবার পদ্মার চরে
বুড়ি পদ্মার সাথে-০৬🦩 আবার পদ্মার চরে
পূর্বাপর
পর্ব -৪ এর শেষ প্যারা
ছবি তোলা শেষে দেখলাম। দোকানদার ভাবি আমাদের জন্য তা চা তৈরি করেছেন। আমাদের খেতে আমন্ত্রণ জানালো। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার সাথে খুব একটা আনন্দ ফুর্তি করে চা খাইতে ছিলাম ।
চা খাইতে খাইতে আমি উপস্থিত উৎসুক জনতা কে আবার একবার চা খেতে বললাম ।তারা এবারও না বলল। আমরা চা খেয়ে একটা পান মুখে দিলাম ।শুভ ভাই তার টা ভোগ করলো ।এখন আমরা রিক্সায় উঠে সোজা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
শেষ
পর্ব -৫ শুরু
📸প্যানোরমা📱
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি @mrnazrul বাংলাদেশ থেকে ।
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?
আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে এই বাদল ভেজা দিনে সবাই সুস্থ থেকে নিজ নিজ কর্মে মনোনিবেশ করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ
আমিও মহান আল্লাহর রহমতে সুস্থ শরীরে থেকে আজকের এই পোষ্ট লেখার চেষ্টা করছি।
আপনারা আমার বুড়ি পদ্মার সাথে প্রথম পর্বে জেনেছেন, আমি বর্তমানে ফরিদপুরে অবস্থান করছি এবং বিভিন্ন জায়গা দর্শন করিতেছি আজ। তার পঞ্চম পর্ব প্রকাশের মনস্থ করলাম।
আপনারা চতুর্থ পর্বে জেনেছেন আমি শুভ দত্ত @shuvo2021 এর সাথে তার পাশের গ্রামগুলোতে ঘুরতে গিয়েছিলাম । গত পর্ব-০৪ সেখানকার ছবি আমি আপনাদেরকে উপহার দিয়েছি।
আজকে শুভ দত্তের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আজকেও পদ্মা পারে গিয়ে ভ্রমণ করার কথা ।যথারীতি সকাল এগারোটার দিকে আমাকে ফোন করে জানালেন তিনি আমার বাসার দিকে আসিতেছেন।
আমি যাতে তৈরি হয়ে থাকি। আমি যথারীতি তার জন্য ঘুম থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে সকালের কার্যাদি ছেড়ে তৈরি হতে ছিলাম ।এর মধ্যেই উনি এসে গেছেন। তখনও আমি তিন তালার উপরে অবস্থান করছিলাম। উনি আমাকে বারবার ফোন দিলে আমি বললাম একটু ওয়েট করেন,ভাই আমি আসতেছি ।তারপরে আমি বাকি কার্যাদি সেরে নিচের দিকে নেমে গেলাম। উনি আমার জন্য একটি পানের খিলি হাতে ধরে এনেছেন ।আমি ওনাকে সালাম-কালাম দিলে উনি আমাকে রিকশায় চেপে বসতে বলে
পানের খিলি টা হাতে দিলো। আমি পান মুখে দিয়া তার রিকশায় উঠে রওনা দিলাম। কিছুদুর সামনে গিয়ে তিনি একটি দোকানের সামনে আবারও যথারীতি দাঁড় করালেন ।
আমরা দুজনেই সেখানে নেমে গেলাম ।এটি ছিল জাহেদ মেমোরিয়াল মা ও শিশু হাসপাতালে পাশের একটি গলি ।
তো আমরা সেখানে নেমে চা খাওয়ার চেষ্টা করলেও চা খাওয়া হলো না ।আমরা নতুন করে আবার পান খেলাম ।
শুভ দত্ত ভাই কয়েকটি বেঁধে নিল ।আমরা এখানে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করলাম । উনি যে গাড়িটি নিয়ে এসেছিল এটি সারাদিনের রিজার্ভ হিসেবে নিয়ে এসেছেন। আমাকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য।
দুপুর বেলা রোদের তীব্রতা একটু বেশিই ছিল। আমরা রোদ নিয়ে একটু ভাবছিলাম আর অটোরিকশা চালককে বললাম আপনি একটু আস্তে আস্তে যান ।
তিনি গাড়িটি আস্তে আস্তে যাওয়া শুরু করলো। এর মধ্যেই শুভ দত্ত বাবু আমাকে দুই দিকের স্থান ও স্থাপনা সম্পর্কে আবারো কিছু কিছু বলা শুরু করলো ।ওনি যেতে যেতে এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজেন্দ্র কলেজের সামনে উপস্থিত হলাম ।সেখানে তিনি আবার নেমে আমাকে কফি খাওয়ার জন্য বললেন।
তারপর আমরা দুজনে আমি এক কাপ কফি এবং সে এক কাপ চা খেয়ে এক পানের খিলি মুখে দিয়া রিকশায় উঠলাম।
রিক্সা যথারীতি আস্তে আস্তে চলছে ।আমরা দুজনেই খোশগল্পে মজিয়ে গেলাম। সে সময় মনে হল যে তিনি আমার বহুদিনের পরিচিত একে অপরের কুশলাদি জিজ্ঞাসা করা হলো।
উনি আমাকে বললেন সন্ধ্যার আগেই ওনাকে ফিরতে হবে কারণ উনার বাড়িতে কিছু কাজ জমে আছে ।যেগুলো সেরে পাশাপাশি উনি আরো কোথাও যাবেন বলে আমাকে জানালেন।
তার সাথে তিনি আমাকে বললেন এই কলেজেরই ভুতপুর্ব প্রফেসর ছিলেন তার বাবা।
বর্তমানে রিটায়ার্ড করেছেন। এই ফাঁকে আমার একটি ফোন আসলে আমি ফোনালাপ সেরে নিলাম ।এতে প্রায় তিন থেকে চার মিনিট চলে গেল ।আমার ফোন শেষ হতে হতেই দত্তবাবুর ফোনে আবার একটি ফোন আসলো ।তিনি বলল তার বাড়ি থেকে এই ফোনটি এসেছে।
এতক্ষণে আমরা পদ্মা নদীর কাছাকাছি ধলার মোড়ে এসে গেছি ।নদী দেখতে পাচ্ছি ।আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে আমরা অটোরিকশা থেকে নামবো। তারপর যথারীতি আগের মতোই পদ্মা নদীর চরে নেমে যাব ।
বন্ধুরা
আমি আগেই বলেছি আজকে আমার তিন দিনের দর্শন ফল কিন্তু পদ্মা নদীতে অন্যদিনের মতো আজকেও ওই ধুধু বালুচর আর বালুচর পানি শুধু নালার মতো করে চলছে ।সেখানে কিছু নৌকা বাঁধা আছে।
আমরা পূর্বে দিনের মতোই নদীর চরে নামার আগেই একটি ছোট্ট টি স্টলে বসলাম ।সেখানে আবারো যথারীতি দুজনে কফি ও চা খেয়ে নিলাম ।তার সাথে কয়েকটি পানও বেঁধে নিলাম।
এবার কোন প্রকার ছবি না তুলে হাঁটতে হাঁটতে একেবারেই পদ্মা নদীর পানির নিকটে চলে গেলাম ।সেখানে গিয়ে আমরা একটি বাঁধানো নৌকায় বসে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললাম এতক্ষণে বেলা প্রায় 2:00 বেজেছে প্রচন্ড রোদ ভালো লাগছিলো না। তার উপর উত্তপ্ত বালুর গরম আমাদেরকে বিকিরণ দিচ্ছে।
প্রায় ঘন্টা দেড়েক গল্পে গল্পে কাটাতে কাটাতে আমরা এ নৌকা থেকে ও নৌকায় বসে বসে গল্প করছিলাম।
এ সময় আকাশে হালকা কিছু মেঘের ঘনঘটা দেখা গেল দেখতে মেঘের দৌড়োদৌড়ি মনে হল। মেঘের সূর্য ঢাকার প্রয়াসে এবং নদীর ঠান্ডা জলে শরীরটা সামান্য কিছু জুড়িয়ে আসলো।
আবার কথা শুরু হল আমাদের দুজনের মোবাইল সম্পর্কে আলোচনা। উনি ওনার মোবাইল টা তে কয়েকটি ছবি ধারণ করলো ।শেষে আমার মোবাইলটা হাতে নিয়ে আমাকে ছবি তোলার কিছু প্রস্তুতি দেখিয়ে, আমাকে ছবি তুলতে বললো ।আমি বললাম প্রত্যেকদিন এমনি ছবি তোলা হয় ।আজকে আমি সেলফি আকারে ছবি তুলব। উনি বললো ঠিক আছে উঠান। আমি বললাম আপনি উঠিয়ে নেন ,বলে ওনার হাতে মোবাইলটা দিলাম ।উনি আমার ওই দিন এই কয়েকটা ছবি তুলল ।আর প্যানোরামার ছবিটি আমি ধারন করলাম।
বন্ধুরা
আজকে আপনাদের জন্য বুড়ি পদ্মার সাথে পর্ব-০৬ নিয়ে এতোটুকু আমার বলার ছিল ।
আবার আসবো পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনারা সাথেই থাকুন
Visit My Another Activists
Blog
Youtube
Regard By | @mrnazrul, Bangladesh |
---|---|
Category | **Flower, Nature, |
Device | Handset |
"Beneficiary* | 10% benefit of shy-fox. |
খুব সুন্দর উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেয়ার করেছেন বুড়ি পদ্মা নদীর চরের কিছু দৃশ্য। আপনি চা খাওয়ার চেষ্টা করে চা খাওয়া হলো না তার পুনরায় পানখা শুরু করলেন এটা তুমি একটু খারাপ লাগলো। হয়তো চা খাওয়ার পরে পরিবেশটা আপনার আরেকটু ভালো লাগতো। তবে যাই হোক সময়টা আশা করি খুবই সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কখনো কখনো পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুলের বাহিরে চলে যায় ।আর তখনই দেখা যায় যত প্রকার বিড়ম্বনা আপনি ভালই বলেছেন।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে পদ্মার চরে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে আপনার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।