📱 কৈশোরে কিছুক্ষণ
জুম্মা মোবারক
আচ্ছালামুয়ালাইকুম
সবাইকে জুম্মা বারের "সম্প্রীতি" শুভেচ্ছা জানিয়ে, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নিয়মিত ফটোগ্রাফী পর্ব টি লেখা শুরু করলাম।
সবার কাছে আশির্বাদ ও এতটুকু প্রেম কামনা করছি।
আমার "প্রিয় বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির বন্ধুগন-
আপনাদের আশির্বাদ, প্রেম, দিকনির্দেশনা, খুনসুটি, তাছিল্য এবং এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ, সব মিলিয়ে আমাকে,"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিতে প্রতিদিন একটি করে পোস্ট লেখার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এবং নিয়মিত লিখছি"।
আলোকচিত্র#১
আলোকচিত্র#২
আপনাদের এসব গঠন মূলক ক্রিয়াকলাপ ফলো করে আমি দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে, এডমিন @rme বাবুর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছি। তিনি ১২ নং হ্যাংআউটে আমার নাম ঘোষণা করে এবং আমাকে সহযোগিতার আয়ওতায় রাখার জন্য এতদসংশ্লিষ্টদের নজরে এনে পরামর্শমুলক নির্দেশ দিয়েছেন ।
আশাকরছি,আমিও উপযুক্ত পোস্ট করে, তার বিশ্বাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করব, ইনশাল্লাহ।
আলোকচিত্র৩
আলোকচিত্র#৪
আমার এই বিশাল পাওনা টুকু পাওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এডমিন @rme বাবু সহ,সকল এডমিন, মডারেটর, ডেলিগেটর, লেখক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাই, আমার বিজয়ী শুভেচ্ছা।
আলোকচিত্র#৫
প্রিয় সাথি
কামে-অকামে আপনাদের অনেক সময় নিলাম। কষ্ট হলে নিজ গুনে মেনে নিবেন, এই প্রত্যাশা রাখছি।
আজকে আমার ফটোগ্রাফিতে, মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে এনেছি-গ্রাম বাংলার একটি চিরচরিত রুপ-
একাই পানি সেচে মাছ ধরার দৃশ্য
আলোকচিত্র#৬
আলোকচিত্র#৭
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। দাতের ব্রাশে সামান্য মাজন পউডার লাগিয়ে, মুখের ভিতর গুজে দিলাম।
এবার পকেটে মোবাইল দুইটা নিয়ে, হাতে ছাতাটি নিলাম। চপ্পল জাড়া পায়ে দিয়ে,ছোট মেয়ে "নিশকাত" কে নিয়ে বাড়ির পিছনে গেলাম।
বলতে পারেন এটা আমার প্রতিদিনের একটা শিডিউল।
পিছনের পতিত জমিটায়, একটি ছেলে পানি সেচ করছে। আর একজন গাছের ছায়ার বসে,মনের সুখে বিড়ি ফুকাচ্ছে। আমাকে দেখে জালানো বিড়িটা তড়িঘড়ি, ক্ষনিকের জন্য লুকালো। প্রচন্ড রোদ। আমি ওকে এড়িয়ে পানি সেচের কাছে গেলাম। ওখানে স্যালো মেসিন দিয়ে পানি অনেক আগে কমিয়ে নিয়েছ। ওখানে দাড়িয়ে পাড়ার আরও দুটো ছেলে দেখছে।
আমি বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম ও ভিডিও করলাম ।
তাদের এই ভাদ্র মাষের চড়া রোদে মাছ ধরা দেখে। আমিও সেই কৈশোরের বাবা মায়ের কাছে চলে গেলাম। মনে হচ্ছে,আব্বা, জ্যাঠাতো এক বড় ভাই, দুই বাড়ির দুই মাষড়ার(মাষিক কাজের লোক)কিষান, সবার সাথে যেন আমিও মাছ ধরছি। মজাই লাগলো। প্রায় মিনিট বিশেক পরে বাড়িতে আসলাম।
এখন বিকাল বেলা। পোস্ট লিখে, ক্ষনটি আপনাদের সাথে ভাগ করছি ।
আপনার পোষ্টের প্রথম কথা টা আমার খুবই ভালো লেগেছে
আমরা মানব জাতি আমরা প্রেম ভালোবাসি। প্রেম ভালোবাসা আছে বলেই হয়তো পৃথিবীটা এতো সুন্দর।
আপনার পোষ্ট টা খুবই সুন্দর। আমি ছোট বেলায় এ ভাবে অনেক মাছ ধরেছি, আপনার পোষ্ট দেখে ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো
পোস্টটিতে চোখ বুলিয়েছেন। এজন্যই ভালো লাগছে। আমরা সবাই ছোট থেকেই তো বড় হয়েছি। আপনাকে সবসময় স্বাগতম
একজন ব্যাক্তির জীবন সংগ্রামের অনেক গুলো চিত্র শেয়ার করেছেন আপনি।প্রতি ফটোগ্রাফি সংগ্রামের কথা বলে।এভাবে মাছ ধরা মানেই যেন জীবনের সাথে একটু যুদ্ধ।প্রচন্ড রোদের মধ্যে এরকম কঠোর পরিশ্রম মধ্যবিত্তের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো ভাই।
বাস্তবতা বিবর্জিত মানুষগুলো পৃথিবীতে বড়ই নিষ্ঠুর। এরাই অফিসে, বাপকে কাজের লোক বলে চালিয়ে দেয়।
আমি ছবি গুলো নিছক ফটোগ্রাফি করছি। তখন কোন দর্শন আমার কাজ করে নাই। এখন আপনার কথা শুনে, দর্শন কাজ করতে শুরু করেছে। সবসময় স্বাগতম আপনাকে।
এই তো মাএ পাঁচবছর পূর্বেও আমি এইভাবে মাছ ধরেছি। এরমধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। কিন্তু এখন আর এইভাবে মাছ ধরতে পারিনা সময় এবং সুযোগের অভাবে। স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিলেন।।
আপনার স্মৃতি অনেক প্রখর। এখন আর সময় পাওয়া যায়না তাই। ভাল থাকেন।
🙂🙂