📱 "আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা-৮ (শেয়ার করো তোমার জানা সেরা ইলিশ রেসিপি) 10% Benefit of shy-fox.
আচ্ছালামুয়ালাইকুম।
আমি @mrnazrul, বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এডমিন @moh.arif আনিত, ফাউন্ডার @rme সমর্থিত---
---"প্রতিযোগিতা -০৮ শেয়ার করো তোমার জানা সেরা ইলিশ রেসিপি""
---তে অংশগ্রহণের জন্য এই ---
"প্রতিযোগিতা পর্ব"
--এখানে উপস্থাপন করছি।
আমি আজকে আপনাদের মাঝে ২ টি রেসিপি উপাস্থাপন করার প্রয়াস চালাচ্ছি। যথা--
0১||সিঁদল বড়া ইলিশ রেসিপি
(ভিডিও সহ)
0২||ওল ইলিশ রেসিপি
(ভিডিও সহ)
যাহা সবার সম্মুখে ধাপে ধাপে আমি তুলে ধরছি.......
পৃথিবীতে নানান ধরনের এবং নানান ধর্মের মানুষের মাঝে খাদ্যাভাসের ভিন্নতা দেখা গেলেও, মাছের সাথে কোন ধর্মের ভিন্নতা আজও দেখা যায় নাই।
মাছ সকল ধর্মের মানুষের কাছে উপাদেয় ও পছন্দের খাবার হিসেবে, যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসছে।
স্বাদ ও পুষ্টি বিবেচনায় ইলিশ মাছ সবার কাছেই লোভনীয়।
তবে অতি চর্বি, সুস্বাদু ও সুগন্ধির কারনে, ইলিশ কারো কারো জন্য, "এলার্জি সংবেদনশীলতা" আনে বলে জানা যায়।
পরিমিত মাত্রায় ভক্ষনে তা থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
আসুন তাহলে এক নজরে দেখে নিন। কিভাবে রেসিপি দুটি আমি উপস্থাপন করেছি.....
২টি রেসিপির জন্য আমার প্রথম প্রস্তুতি ধাপটি নিম্নরুপ
0===0-এক-0====0
এক-জোড়া ইলিশ মাছ রেসিপির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এ পর্যায়ে, প্রথমে মাছের আঁশ তুলে পরিস্কার করার চেষ্টা করছি
0===0-দুই-0====0
এপর্যায়ে মাছ দুটো কেটে সাইজ করা শুরু করলাম
0===0-তিন-0====0
মাছ কাটা চলছে
0===0-চার-0====0
মাছ কাটা প্রায় শেষের দিকে। একটি মাছের ডিমও ছিল
0===0-পাঁচ-0====0
এখন পরিপূর্ণ সাইজ করা হচ্ছে।
0===0-ছয়-0====0
মাছ পুরাপুরি কাটা শেষ। এগুলো পর্যায়ক্রমে ২টি রেসিপিতে কম-বেশি ব্যবহার করা হবে।
#০১সিঁদল এবং কুমড়ো বড়ি" রেসিপি শুরু করছি
রান্না করতে যা যা নিয়েছি-
- ইলিশ মাছ ৪ পিস
- সিঁদল দুই পিস
- কুমড়ো বড়ি ১৫ -২০ পিস
- ভোজ্য তেল
- রসুন পেস্ট
- আদা পেস্ট
- জিরা পেস্ট
- কালো এলাচ ২টি
- তেজপাতা ২টি
- মরিচ গুড়া
- হলুদ ও
- লবন
0===00ধাপ#এক-00===0
এটি সিঁদলের মালা। এখান থেকে ২টি শিঁদল ভেঙে নিব
0===00ধাপ#দুই-00===0
।মালা থেকে ২টি সিঁদল ভেঙে নেওয়া হলো।
সিঁদল কি?
বুনোকচু ও শুটকি মাছের গুড়া মিশিয়ে, বিশেষ উপায়ে তৈরি, একধরনের উপাদেয় ও মুখরোচক শুকনা ভেজিটেবল।
যা চর্বি যুক্ত মাছের সাথে আঠা আঠা ঝোলে রান্না করা হয়। আমরা টাকি মাছের সাথে মিশিয়ে সিদ্ধ করে, ভর্তা করেও খেয়ে থাকি। মাছ ছাড়াও যেকোন সব্জির সাথে রান্না এবং সিদ্ধ করে ভর্তা খাওয়া হয়।তবে সকল ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেজে বা বাদামী করে পুড়ে নিতে হবে। রংপুরের সিঁদল বিশ্ব বিখ্যাত।
0===00ধাপ#তিন-00===0
কয়েকটি কুমড়ো বড়ি নেওয়া হলো
কুমড়ো বড়ি কি?
চুন কুমড়ো ও খোসা ছাড়া ভিজানো মাষকলাই মিশিয়ে বেটে, বিশেষ উপায়ে তৈরি এক ধরনের শুকনা ভেজিটেবল।
যাহা মাছ, মাংস ও ডিম সহ যে কোন ভেজিটেবলের সাথে মিশিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। আমরা লাল লাল করে ভেজে, ভর্তা ও চাটনি করে খেয়ে থাকি। অত্যন্ত উপাদেয় ও মুখরোচক।
0===00-ধাপ#চার-00===0
বাসায় গ্যাসের চুলা থাকলেও,দর্শক আকর্ষণ বাড়াতে, প্রতিযোগিতার রান্না হবে খড়ির চুলায়। খড়ির চুলার রান্না স্বাদ বেশি।এটাতো ছবি করার পর আমরা খাবো।তাই।
0===00-ধাপ#পাঁচ-00===0
খড়ির চুলায় আগুন ধরানো হলো।
0===00-ধাপ#ছয়-00===0
সিঁদল ভেঙে কড়াইয়ে ভেজে নেওয়া হচ্ছে। আপনারা চাইলে আগুনের তাপে হালকা করে পুড়ে নিতে পারবেন।কোন অবস্থায় পুড়ে ফেলা যাবেনা
0===00-ধাপ-সাত-00===0
সিঁদল ভাজা শেষ। নরম করার জন্য পানিতে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে
0===00-ধাপ#আট-00===0
বাটন'এ(মাটির বাটনা) সিঁদল পেস্ট করা হচ্ছে। বাটন'টি মাটির তৈরি এবং ঘোটাটি (নোড়া বা ঘোটা)বাশের মুড়া দিয়া বিশেষ ভাবে বাকা কর তৈরি করা হয়।বাটন কুমার ভাইয়েরা মাটি দিয়া তৈরি করে। আমাদের এলাকায় এটা শীল পাটার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়।
0===00-ধাপ#নয়-00===0
কুমড়ো বড়ি ভাজার জন্য কড়াইয়ে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
0===00-ধাপ#দশ-00===0
কুমড়ো বড়ি ভাজা হচ্ছে
0==00-ধাপ#এগারো-00==0
কড়াইয়ের তেলে পিয়াজ ভাজা হচ্ছে। হালকা বাদামি রং ধরলে এখানে মাছ গুলো হালকা ভাজতে দেওয়া হবে।যাতে একটু সিদ্ধ হয়ে, লবন,হলুুদ ও মশলা লেগে যায়.
0==00-ধাপ#বারো-00==0
মাছ হালকা তেলে ভেজে সিদ্ধ করে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় হয়ে আসছে
0==00--0ধাপ#তের0==0
মাছ ভাজা হয়ে গেছে। এখন উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই কড়াইয়ে আবার তেলে পিয়াজ ভেজে সিঁদল কষানো দিয়ে শুরু করা হবে
0==00-ধাপ#চৌদ্দ-00==0
তেলানিতে সিদল পেস্ট দেওয়া হয়েছে। এখন দুই চামুচ হলুদ গুড়া, দেড় চামুচ মরিচ গুড়া, দুই চামুচ লবন, ২টি তেজ পাতা, ২টি কালো এলাচ,এক চামুচ জিরা পেস্ট, আধা কাপ পিয়াজ কুচি,২চামুচ রসুন পেস্ট, একচামুচ আদা পেস্ট দেওয়া হলো। এখন সিঁদল টুকু কিছু কষানো হলো।এর পর কুমড়ো বড়া দিয়ে আবার কষানো হবে
0==00-ধাপ#পনের-00==0
সিঁদলের পর এবার কুমড়ো বড়া গুলো কড়াইয়ে ঢেলে দেওয়া হলো
0==00-ধাপ#ষোল-00==0
সিঁদল ও বড়া কষানো শেষ।এবার সিদ্ধ করার জন্য পানি দেওয়া হচ্ছে। নেড়ে চেড়ে ঢাকা দেওয়া হবে
0==00-ধাপ#সতের-00==0
,কষানোর পর ঢাকনা দেওয়া হলো।থকবক করে উঠা পর্যন্ত জাল দেওয়া হবে এবং ঢাকনা থাকবে।
0==00-ধাপ#আঠার-00==0
ঢাকনা খুলে পানির পরিমান লক্ষ করা হচ্ছে। এখন ভাজা ইলিশ ছেড়ে দেওয়া হল।
0==00-ধাপ#উনিশ-00==0
রান্না শেষের দিকে, পরখ করা হচ্ছে।
0==000-ধাপ#কুড়ি-000==0
চূড়ান্ত পর্যায়ে ডিশে ঢেলে নেওয়া হচ্ছে
0==00.ধাপ#একুশ.00==0
চুড়ান্ত পর্যায়ে ডিশটি সাজানো হলো।
0২||ওল ইলিশ রেসিপি
রান্না করতে যা যা নিয়েছি-
- ইলিশ মাছ ৪ পিস
- ওল, ছোট একটি।
- ভোজ্য তেল
- রসুন পেস্ট
- আদা পেস্ট
- জিরা পেস্ট
- কালো এলাচ ২টি
- তেজপাতা ২টি
- মরিচ গুড়া
- হলুদ ও
- লবন
0==00.ধাপ#এক.00==0
পেঁয়াজের তেলানিতে,মাছ গুলো হালকা ভেজে সিদ্ধ করার জন্য দেওয়া হলো
0==00.ধাপ#দুই.00==0
মাছ ভাজা হচ্ছে
0==00.ধাপ#তিন.00==0
ওল
0==00.ধাপ#চার.00==0
ওল কেটে নেওয়া হয়েছে।
0==00.ধাপ#পাঁচ.00==0
ওল ভাজা হচ্ছে
0==00.ধাপ#ছয়.00==0
ওল তেলে ভাজা হয়ে গেছে এখন মসলা দেওয়া হচ্ছে
0==00.ধাপ#সাত.00==0
ওল লবন,মসলা দিয়ে কষানোর পর মাছ ছেড়ে দেওয়া হলো হলো
0==00.ধাপ#আট.00==0
রান্না শেষ পর্যায়ে। তরকারির পানি অনুৃমান করা হচ্ছে।
0==00.ধাপ-নয়.00==0
পানি কমে এসেছে।তরকারি হয় হয় অবস্থা। হয়ে গেছে।
0==00.ধাপ#দশ.00==0
রান্না শেষ। গামলায় ঢেলে নেওয়া হচ্ছে।
0==00.ধাপ#এগার.00==0
এবার ডিশটি সাজানো হলো।
Regard
এত বড় প্রতিযোগিতায়? পোস্ট দেখে দেখে আমি শিহরিত. অনেক বড় অংশগ্রহণ আপনার।
তবে প্রতিটি পর্যায়ে অনেক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো আপনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ দেখে।
আমার নগন্য লেখায়, আপনার পদচারণা বিশাল বলে আমি ধরে নিলাম। সময় পেলে আবারও বেড়ে যাবেন।
আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।দেখেতো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটা ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ভাইয়া।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনার ভালো লাগার সাথে আমি একমত। আবার আসবেন।
একি পোস্টে দুইটা রেসিপি দেখলাম দারুন ব্যাপার ।আপনার অংশগ্রহণ দেখে খুবই ভালো লাগলো।তবে ছবি কয়েকটা ক্লিয়ার ভাবে বা নরে গেছে তোলার সময়।যাই হোক রেসিপিটি আমার কাছে ভালো লাগছে।আপনার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমার এগুনোর পথ কণ্টক মুক্ত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
আবার আসার আমন্ত্রণ রইল।
বাহ দারুণ। একেবারে কয়েকটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রথম টা সিঁদল বড়ার রেসিপি এটা ইউনিক ছিল। এবং বাকি দুইটা রেসিপি ইউনিক ছিল বলা যায়। রেসিপি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।।
আপনার সুদৃষ্টি পড়েছে, এটাই আমার বড় বিজয়। সবসময় আসতে পথ চেয়ে থাকব।
সত্যিই একটা আনকমন রেসিপি দেখলাম ইলিশের রেসিপি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার বিচক্ষণতা, আমার মাঝে ঢেলে দিয়ে, আমাকে এগুনোর পথ দেখার জন্য আপনাকে সবসময় স্বাগতম জানাচ্ছি।
এক বিরাট ঐতিহাসিক রেসিপি দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লেগেছে আপনার তৈরি রেসিপি। সিদুল বড়া ইলিশ মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু ওল ইলিশ রেসিপি খেয়েছি। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনী দেখেছেন আমি জিতেছি। আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভাইয়া আপনার রেসিপিটা সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক গুলো ধাপ শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে বিষয়টা ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। সত্যি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি হয়েছে ইলিশ মাছের। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
আপনাকে আমার লেখায় এসে মন্তব্য করায়, আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আবার আসবেন।
আপনার রেসিপি গুলোর লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে কিন্তু অতিরিক্ত এডিটিং এর কারণ বেশিরভাগ ছবিই ভালো ভাবে বুঝাই যাচ্ছেনা একদম।আপনি এডিটিং একটু কম করলে দেখে বুঝা যেনো ছবিগুলো। তবে আশা করছি সামনে অনেক বেশি ভালো পোস্ট করবেন এবং ছবিও সুন্দর হবে।
আপনার পরামর্শ আমার পথ পরিস্কার করবে। আবার আসবেন।
আমি একবার সেদল খেয়েছিলাম। মজাই লেগেছিল খেতে। ইলিশের সেদেল অবশ্য খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে।
ওল দিয়ে ইলিশ রেসিপি টা খুব চমৎকার হয়েছে। আপনার লেখা দেখে বুঝতে পারলাম যে দুটি রেসিপি মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর দুটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার জন্য গুগল ফটোতে রেখে দিলাম। সময় হলে দাওয়াত দিব। আবার আসবেন, এই আশায়....
সিদল কি জীবনে খাওয়া তো দূরের কথা আজ আমি আমি প্রথম শুনলাম জানিনা খেতে কেমন লাগে ।আপনি সিদল দিয়ে ইলিশ মাছের বড়া বানিয়েছেন ইলিশ মাছ আছে যেহেতু খেতে মনে হয় ভালই হয়েছে। আর দ্বিতীয় রেসিপিটি ওল দিয়ে রান্না করেছেন এটি আমি কখনো খাইনি আমার ভালো লাগে না খেতে ।যাইহোক আপনার রেসিপি দুটি অনেক ভাল হয়েছে ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।