বুড়ি পদ্মার সাথে-০৪🦩 পাশের গ্রামে ঘোরাঘুরি।
বুড়ি পদ্মার সাথে-০৪🦩 পাশের গ্রামে ঘোরাঘুরি।
পূর্বাপর
আমি বললাম পুরুষ-মহিলা চেহারার রহস্য কি ।তিনি বললেন পুরুষের মাথায় চুল দিলে মহিলা চেহারা ধারণ করে। তবে মহিলার চেয়ে পুরুষের নাক কিছুটা ছোট এবং উঁচু হয়ে থাকে।
পরিশেষে উনি আমাকে কিছু মানুষের মুখাবয়ব এর ছবি এঁকে দেখার চেষ্টা করলেন।
বুড়ি পদ্মার সাথে-০৩। এই পর্বে আপনারা এতোটুকু জেনেছিলেন।
📱
বুড়ি পদ্মার সাথে-০৪🦩 পাশের গ্রামে ঘোরাঘুরি। শুরু
📸🇧🇩
বুড়ি পদ্মার সাথে-০৪, এখান থেকে শুরু-
পদ্মার চরে আরো অনেক ছবি তোলা হল ।অনেক কথা হলো ।অনেক আলোচনা হল ।তারপর আমরা পদ্মার পাড়ে এসে একটি চা'র দোকানে বসে আবার এক কাপ চা খেলাম ।চা খাওয়ার পর আমি একটা পান মুখে গুঁজে দিলাম।
শুভ দত্ত @shuvo2021 বাবু যথারীতি তার প্রয়োজনীয়তা সেরে একটা রিক্সার ব্যবস্থা করল ।আমরা রিকশায় উঠলাম। রিক্সাওয়ালার সাথে দরদাম ঠিক করে নিলাম ।গন্তব্য বলে দিলাম। আমরা ফরিদপুর বাজারের দিকে রওনা দিলাম। ফরিদপুর বাজারের দিকেই শুভ বাবুর বাড়ি। সে আমাকে সারদাসুন্দরী কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে রিকশায় যাওয়ার চেষ্টা করল ।
রিকশায় যাওয়ার আগে বাজারে তার একটু প্রয়োজনীয় খরচ করে আবার রিকশায় উঠে বসলো ।সে চলে গেল আমিও আমার মতে হাঁটতে-হাঁটতে বাসার দিকে চলে গেলাম।
রওনা দেওয়ার আগেই শুভ দত্ত বাবু আমাকে বলেছিল ভাইয়া কালকে সকালে রেডি থাকেন ।রেডি হইয়া আমারে ফোন দেন ।আবার অন্য জায়গায় যাব ।আমি বললাম ঠিক আছে ।
পরদিন সকালবেলা ।সকালবেলা বলতে বেলা প্রায় এগারোটা বারোটা শুভ দত্ত বাবু আমারে ফোন দিলো বললো আপনি রেডি থাকলে আমি এখনই আপনার কাছে চলে আসব। আমি বললাম, এইমাত্র আমি ভাত খেয়েছি রেডি আছি, আপনি ফ্রি থাকলে আসতে পারেন। তিনি বললেন আপনি নেমে আসেন, রাস্তায় দাঁড়ান ।আমি পাঁচ সাত মিনিটের মধ্যেই আপনার কাছে এসে পৌঁছাবো।যেমন কথা তেমন কাজ ।আমি কাপড় চোপড় পরে চারতলা থেকে নেমে সারদা সুন্দরী কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে রইলাম। রোদ একটু বেশি ছিল ।
এতক্ষণে শুভ বাবু আমার কাছে এসে পৌঁছে গেছে আমি রিকশায় চেপে বসলাম ।
আমার সেই পুরনো অভ্যাস, যার সঙ্গে যাবো তাকে জিজ্ঞাসা করার কোন কারণ আমি বুঝিনা।
শুভ দত্ত বাবু আমাকে বলতেছিল আমি আজকে আপনাকে নুতন একটি জায়গায় নিয়ে যাব ।আমি বললাম সেটা আপনার ব্যাপার ।রিকশায় চেপে বসে আছি ।উনি আমাকে একটি দোকানের সামনে নামিয়ে চা পান খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন ।সাথে কয়েকটি পান বেঁধে নিলেন ।বানানো পান গুলো আমাকে দিয়ে দিল ।আমি প্যান্টের পকেটে রেখে দিলাম । এখানে বেশ কিছুটা সময় কাটালাম। অনেক বেশি তাই কাজকর্ম আসতে সুস্থে চলিতেছে। রিক্সা চলল আমার অজানার উদ্দেশ্যে। তবে শুভ বাবুর কাঙ্ক্ষিত স্থানের দিকে ।
পনানান গল্পে মেতে উঠলাম আমাদের আশেপাশে স্টিমিটিল আরো কেউ থাকে কিনা এসব জিজ্ঞাসা করলাম তিনি বললো আরো অনেকে আছে আমি কারো নাম জানার চেষ্টা করলাম না রিক্সা চলতেছিল যাইতে যাইতে প্রায় 15 2012 এক জায়গায় আমি বললাম এখানে থামেন আমি কয়েকটি পেঁয়াজের ফুল ফুলের ছবি তুলব আমি সেখানে পেঁয়াজের ফুলের ছবি তুললাম । রিকশা আবারো চলতে লাগল চলতে চলতে সামনে একটি মোড়ে গিয়ে একটি দোকানের সামনে শুভ বাবু রিক্সা দাঁড় করালো ।
পাশেই দেখা গেল সরকারি ভাবে কিসের যেন কাজ হচ্ছে ।আমার দেখিয়ে বলল যে ,এ জায়গায় আমি কিছুদিন আগে আসছিলাম ।এখানে অনেক গাছের সমাহার ছিল। সে গাছ গুলো কর্তন করে এখানে নতুন করে রাস্তার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আমরা ওখানে নামলাম। নামার পর দেখলাম এক মহিলা দোকানদার এই দোকানের মালিক । দেখলাম সামনে কয়েকজন বসে বসে চা পান সিগারেট খাচ্ছে ।তাদের আতিথিয়তায় আমাকে মুগ্ধ করলো।
তারা আমাদেরকে সালাম-কালাম দিয়ে চা পান খাওয়ার জন্য বলতেছিল ।আমি বললাম আপনারা খান আমরাও খাব ।এ সময় দোকানদার ভাবি বলতেছিল চা খাইলে আমি তাজা পাতি লাগিয়ে লাল চা বানিয়ে দিব, খেতে ভালো লাগবে ।
আমি বললাম তাহলে বানিয়ে দেন ।তারপর আমাদেরকে চা বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেছিল ।অর্থাৎ পানি গরম করতে ছিল। আমি বললাম এখানকার সকলকে চা পান সিগারেট যে যা খায় দিয়ে দেন।
আমার এমন কথায় লোকজন আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল ।
তারা কেউই আমাদের দেওয়া কিছু খেলো না বা খেতে চাইলো না।এইজন্যই খেলো না যে এ সময় তাদের সামনেই অনেক খাবার ছিল ।কেউ চা খায়, কেউ পাষ কেউ সিগারেট ,কেউ বিড়ি ,নানান ভাবে খেতে ছিল ।
তাই তারা আর খেতে চাইলো না ।আমরা যথারীতি পান খাইলাম। বললাম চা তৈরি করেন আমরা পরে খাচ্ছি। ডান পাশে একটি ঐতিহাসিক জায়গা আছে সেখানে আমরা গেলাম জায়গাটির নাম আমি এই পোস্টে উল্লেখ করছি করতেছিনা । পরের পর্বে দেখাবো আমি এ সময় ওই স্থানের সূর্যাস্তের কয়েকটি ছবি এবং খোলা মাঠের ছবি নেওয়ার চেষ্টা করলাম ।
ছবিগুলো এখন আপনাদের সামনে আমি আমি উপহার হিসেবে তুলে ধরলাম।
ছবি তোলা শেষে দেখলাম। দোকানদার ভাবি আমাদের জন্য তা চা তৈরি করেছেন। আমাদের খেতে আমন্ত্রণ জানালো। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার সাথে খুব একটা আনন্দ ফুর্তি করে চা খাইতে ছিলাম ।
চা খাইতে খাইতে আমি উপস্থিত উৎসুক জনতা কে আবার একবার চা খেতে বললাম ।তারা এবারও না বলল। আমরা চা খেয়ে একটা পান মুখে দিলাম ।শুভ ভাই তার টা ভোগ করলো ।এখন আমরা রিক্সায় উঠে সোজা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
চলবে
Regard By | @mrnazrul, Bangladesh |
---|---|
Category | Flower, Nature, Animal.Recipe.Photography,Digital art. |
Device | Walton Primo-R6 Max |
w3w | Location |
Beneficiary | 10% benefit for shy-fox |
ভাই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ছবি যেন কথা বলছে। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আপনি খুব দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই আমার মন জুড়িয়ে গেলো। আসলে ভাই আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফ অসাধারণ ছিলো। বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশ আমি মনে করি সবাই পছন্দ করে। ধন্যবাদ ভাই
আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুব চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি দেখে আমি খুব মুগ্ধ হলাম। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রকৃতি ক্যামেরার ভিতরে ঢুকলে এমনিতেই আরো রুপ নিয়ে বের হয় ।জি ভাই।
আপনার এই পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে পাশের গ্রামের ঘোরাঘুরি করার সময় অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন, সেই সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উপভোগ করার মতো ছিল আমাদের সেই চলাফেরাটা।
অনেক ধন্যবাদ ভাই গ্রামে ঘুরা ঘুরি এবং অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকুন সর্বদা।
ভালোই ঘোরাঘুরি করা হয়েছে ।অনেক স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। সব লিখলে তো স্টিমিট একবারে ভরে যাবে।
আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলে মুগ্ধ হয়েছি। এরকম দৃশ্য দেখলে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রথম দুটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দৃশ্য গুলো যখন আমি ধারণ করেছিলাম ,তখন তেমন সুন্দর বলে আমার কাছে মনে হয়েছিল না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় অনেক ভালো লাগছে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগলো আমার কাছে।
এরকম সুন্দর গ্রামীণ পরিবেশে শুভ দাদা আর আপনি দুজনে মিলে খুব সুন্দর মজা করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
জি মজায় মজায় ডুবে গেছিলাম।