প্রকৃতিতে গ্রামীন উপায়ে মাছ শিকার চেষ্টা। ভিডিও।
প্রকৃতিতে গ্রামীন উপায়ে মাছ শিকার চেষ্টা। ভিডিও
আসসালামু আলাইকুম
আমি @mrnazrul আপনাদের বাংলাদেশী বন্ধু ।
বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন ।
আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ থেকে সময় পার করছেন ।
আলহামদুলিল্লাহ,
আমিও সবার দোয়া নিয়া মহান আল্লাহর রহমতে আজকে আমার নিয়মিত পোস্টটি আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য লিখতে বসলাম ।
ভিডিও লিংক
তো বন্ধুরা আমি সব সময় বলে থাকি নতুনত্বে আমার বিশ্বাস ,আগ্রহ ,কর্মস্প্রেহা, অনুপ্রেরণা সবকিছুই বেশি ।
তবে নতুনত্ব খুঁজতে গিয়ে আমি সব সময় পিছনের সারিতে বসে থাকি ।কেননা নতুনত্ব আমাকে সহজে ধরা দিতে চায় না বা আমিও ধরতে পারি না ।তবে তার পিছনে ছুটাছুটির কোন অভাব আমার মধ্যে আমি উপলব্ধি করি না।
যে পোস্টটি লিখছি এটি খুবই একটি প্রচলিত সর্বজনবিদিত কিছু কথা ।তবে শহরের মানুষ কিংবা উঁচা শহরের মানুষগুলোর কাছে হয়তো কিছুটা এটা ভাবনার হতে পারে ।
আমরা যারা গ্রামে বাস করি কিংবা শহরের অদূরে বাস করি ,তাদের জন্য বিষয়টি খুবই প্রচলিত এবং জানার ।
তো বন্ধুরা আমি বলছি গ্রামীণ পর্যায়ে মাছ ধরার বিষয়ের কিছু সাজ-সরঞ্জাম এবং উপায় এর কথা ।একসময় বাংলার গ্রামগঞ্জে ,পথে ঘাটে প্রচুর মাছ ও শাক পাওয়া যেত ।
যা খাইয়া প্রাণীকুল, মানুষ সবাই সহজে জীবনের পুষ্টিগুলোকে মিটিয়ে নিতে পারত ।
কিন্তু আজকাল আর সেদিন নাই। শহরের পর্যায়ে হয়ে উঠতে চলেছে গ্রাম গুলো। মাঠঘাট ভরাট হচ্ছে, হচ্ছে বিরাট বিরাট খেলার মাঠ ,উঠছে অট্টালিকা ,বাড়িঘরে ভরে যাচ্ছে ফাঁকা জায়গাগুলো ,ডোবা-নর্দমা পূরণ করে সেখানেও বাড়ি করা হচ্ছে।
গ্রাম গুলো এখন শহরের মতো দেখায়। গ্রামের আনাচে কানাচে দোকানপাট ,ব্যবসা কেন্দ্র, টি স্টল সব কিছু দেখা যাচ্ছে।
সাথে সাথে মানুষগুলো হয়েছে বেশি কর্ম চঞ্চল। সব সময় সবকিছুর মূলে রয়েছে, খুদা, দারিদ্রতা ,কুসংস্কার ,ঘনবসতি ,সব কিছুগুলি মিলে গ্রামগুলো এখন শহরে না হলেও গঞ্জের রূপ ধারণ করিতেছে ।গ্রামের কোণে কোণে ,বাঁকে বাঁকে ,গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা কেন্দ্র ।পুকুর গুলো ভরাট করে, করা হচ্ছে মার্কেট ,বাজার , বসতবাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি।
বন্ধুরা যাক সেসব কথা। আমি বলতে চাই এক সময় গ্রামের এই সময়গুলোতে মাছ শাক সহজলভ্য হলেও এখন আর সেদিন নাই। তারপরেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেমন আমি যে স্থানে বাস করি, যে জায়গায় বাস করি এরকম প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে কিছু কিছু ক্ষেতের মাঠ দেখা যায়।
যেগুলোতে বর্ষাকালে মাছ এবং শাক পাওয়া যায়। এইসব মাছ ও শাক গ্রামীন পর্যায়ে ধরার বিশেষ বিশেষ কতগুলো কৌশলও অবলম্বন করা হয়।
তারই একটি কৌশল আমি আপনাদেরকে এখানে দেখানোর চেষ্টা করতেছি ।এখানে দেখা যাচ্ছে একজন লোক বালতি দিয়া জমির এক কোণ বেঁধে পানি সেচ দিয়ে মাছ মারার চেষ্টা করিতেছে ।আবার অন্য জায়গায় দেখা যাচ্ছে দুজন ছেলে মাছ মারার চেষ্টা করিতেছে। এখানে তারা পানি সেচের কৌশল হিসাবে গ্রাম গঞ্জের প্রচলিত হাতে বানানো সেওতি ব্যবহার করিতেছে।
এভাবেই তারা এই ডোবার পানি টুকু শুকিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করবে এবং মাছ ধরবে। আর একটু পানি কমিয়ে গেলে পানি পড়া স্থানে জাল সেটে দেওয়া হবে। যাতে পানি থেকে মাছ উঠলে এই জালের মধ্যে আটকা পড়ে। তারা জালটি এখনো বাড়ি থেকে আনেন নাই ।
এই ছেলে চারটি যখন আমার বাড়ির সামনে দিয়া মাছ ধরতে যাইতেছিল আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ।কোথায় যাও। তারা বলেছিল মাছ ধরতে । আমি বললাম প্রচন্ড রোদ পড়ছে হয়তো আজকে তোমরা অনেক মাছ পাবে । তারা বলল হয়তো বা পেতে পারি। কেননা ওখানে আমরা অনেক আগেই চুয়ার মধ্যে খোল, ভুসি ও গুড়া দিয়ে রেখেছি। যাতে এসব খাবারের লোভে মাছ এসে এখানে ভরে যায় ।
তারপরে কিছুক্ষণ পরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে দেখতে পেলাম, তারা সেলফি দিয়া চুয়া সেচ দেওয়া শুরু করেছে। এমন ছেউতি ব্যবহার করতে দুজন লোক লাগে ।এভাবেই গ্রামগঞ্জে পানি শুকিয়ে মাছ মারানো হয়।
এছাড়া মাছ মারানোর আরো অনেক কৌশল আছে ।কোন কোন সময় কোন চেষ্টা ছাড়াই বেশি রোদে মাছ যখন দুর্বল হয়ে যায় তখনও ধরা যায় ।
আমি তাদের সাথে কথা বলে ভিডিও করা শুরু করলাম ।পাশাপাশি কয়েকটি ছবিও নিলাম ।যেগুলো এখন আমি আপনাদের উপহারে পোস্ট আকারে প্রকাশ করছি।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের, আপনাদের জন্য উপহার ।আশা করি ভালো লাগবে।
সাথেই থাকুন
Visit My Another Activists
Blog
Youtube
Regard By | @mrnazrul, Bangladesh |
---|---|
Category | Flower, Nature, landscape , Skyescape, |
Device | Samsung F22 |
Beneficiary | 10% benefit of shy-fox. |
ভিডিও টি দেখে সত্যি সেই পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমরাও এভাবে পানি সেচে মাছ ধরতাম। তবে এখন তো আগের মতো মাছ নাই, আর চার দিকে যে ভাবে বসত বাড়ি গড়ে উঠতেছে সেই হিসেবে মাছ ধরার জায়গার অভাব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
উপাই নেই, আসলে মিলিয়ে ঝীলিয়ে সব মানিয়ে চলতে হবে। পিছিয়ে যাওয়ার কোন বুদ্ধি নাই। জি, ভালো বলেছেন।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে গ্রামীণ প্রকৃতিক পরিবেশের মধ্যে মাছ শিকারের অনেক সুন্দর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সেই সাথে কিছু ফটোগ্রাফিও তুলে ধরেছেন দেখছি। মাছ শিকার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের নদী থেকে মাছ শিকার করার দৃশ্য আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন স্মৃতিগুলো রেখে যাওয়ার জন্য এমন প্রচেষ্টা। ভালো থাকেন।
আপনার পোষ্টে সত্যি খুব ভালো লেগেছে, আর ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। আসলে এই পদ্ধতিতে আমরা ছোটবেলা মাছ ধরতাম। খুবই ভাল লাগত আর বিশেষ করে আমি মাছ ধরতে খুবই পছন্দ করতাম। এখনো বাড়িতে গেলে মাছ ধরতে চাই যদিও পারিনা সব মনে হয় ভুলে গেছে। ভালো ছিল আপনার পোস্টের উপস্থাপনা।
আসলে জীবন পরম্পরায় জীবনের কোন পর্বে কোন কাজটি কখন আসবে তা আমাদের বোধগাম্বর নয়। যাহা আপনা আপনি চলে। আসে ভালো থাকেন।
মাছ শিকার করতে আমারও খুবই খুবই ভালো লাগে মাঝেমধ্যেই পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সাথে নানা উপায়ে মাছ শিকার করেছি। আপনার মাছ 🐟 করার ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার উপস্থাপনাটা।
বয়সের সাথে মানুষের অনেক কিছু হারিয়ে যায় ।যেমনটা এমন শখ আমার থাকলেও এখন আর সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনা। সুন্দর বলছেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে মাছ ধরার ভিডিওটি দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। মাছ ধরা আমার খুব প্রিয় একটি শখ। আমাদের এলাকায় এই প্রক্রিয়াটিকে "হেইথ" বলে। আর এটা এমন একটা জিনিস দাঁনোর পজিশন যদি ঠিক না থাকে এবং কোমরে যদি শক্তি না থাকে তাহলে এভাবে পানি শেষ সবাই দিতে পারে না। আমার এমনও দিন গেছে একটানা এভাবে পাঁচ ছয় ঘন্টা পানি সেচ দিয়েছি মাছ ধরার জন্য অবশ্য মাঝে মাঝে জিরিয়ে নিয়েছি। তবে দারুন ছিল ফটোগ্রাফি ভিডিও, আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বহমান জীবনের সহনীয় সময় গুলো এখন আর আমাদের মধ্যে সেভাবে নাড়া দিতে পারে না ।সবাই আমরা এখন ব্যস্ত তারপরেও যতটুকু দেখা যায় ,দেখলে ভালই লাগে খারাপ না।
আমি গ্রামে বসবাস করি তো তাই এই ধরনের মাছ ধরার সাথে আমি খুবই ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত। আমি নিজেও এইভাবে অনেকদিন মাছ ধরেছি খুবই ভালো লাগে এভাবে মাছ ধরতে।
অনেকদিন পরে গ্রামীণ পদ্ধতিতে মাছ ধরার এই চিত্রগুলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে অনেক ভালো লাগলো। পদ্ধতিটি আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করে দেখিয়েছেন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে দেওয়া হল